আর্জেন্টিনায় মেসির শেষ ম্যাচকে স্মরণীয় করার আহ্বান কোচ স্কালোনির
আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেছেন, সেপ্টেম্বরের ফিফা বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলা হবে লিওনেল মেসির জাতীয় দলে সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ। বিশেষ করে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ম্যাচটি হতে পারে মেসির নিজের দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচ।স্কালোনি বলেন, “এটা আমাদের জন্য এক বিশেষ মুহূর্ত। মেসির মতো একজন কিংবদন্তিকে হারানো কঠিন, তাই তার খেলা উপভোগ করাটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই এই সময় উপভোগ করব।” তিনি আরও যোগ করেন, “মেসি কেবল আর্জেন্টিনার ফুটবল নয়, পুরো বিশ্ব ফুটবলের জন্য অমূল্য। তাই এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা না করে তার খেলার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করা উচিত।”স্কালোনি মেসির জন্য দলের সদস্যদেরও এক বিশেষ বার্তা দিয়েছেন: “এটি কোনো সাধারণ মুহূর্ত নয়। আমাদের সবাইকে একসাথে এই সময়কে উপভোগ করতে হবে। মেসি যখন জাতীয় দল ছাড়বেন, আমরা তার পাশে থাকব।”এছাড়া কোচ আঞ্জেল ডি মারিয়ার বিখ্যাত ফ্রি কিক গোলের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন, যা তিনি নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের বিপক্ষে রোসারিও সেন্ট্রালের হয়ে করেছিলেন। স্কালোনি বলেন, “আমি তার জন্য সত্যিই খুশি। এটা তার ফুটবল জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।”মেসির এই শেষ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টিনার পুরো দল তার পাশে থাকবে এবং স্কালোনি নিশ্চিত করেছেন, প্রতিটি মূল্যবান মুহূর্ত সবাইকে উপভোগ করতে হবে।ভোরের আকাশ//হ.র
৩১ আগস্ট ২০২৫ ১২:৫৬ এএম
আর্জেন্টিনায় ফুটবল ইতিহাসের ‘অন্যতম ভয়ঙ্কর মারামারি, ম্যাচ বাতিল
আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে কোপা সুদামেরিকানার শেষ ষোলোর ম্যাচে চরম সহিংসতার ঘটনায় খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ম্যাচটি চলছিল স্বাগতিক ইন্ডিপেনডিয়েন্তে ও চিলির ইউনিভার্সিদাদ দে চিলে–এর মধ্যে। দর্শকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ১৯ জন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ১৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও একজন গুরুতর আহত হয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া শতাধিক সমর্থককে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছে চিলির ক্লাবটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউনিভার্সিদাদ দে চিলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে– তাদের সমর্থকদের ওপর ইন্ডিপেনডিয়েন্তের দর্শক ও স্থানীয় পুলিশ বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। এই রাত ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সহিংস অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৯ সমর্থকের মধ্যে ১৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। আরেকজন মস্তিষ্কে আঘাত নিয়ে আইসিইউতে নেওয়ার পর তার অবস্থা এখন কিছুটা ভালো।সহিংসতার ঘটনায় ম্যাচটি মাঝপথেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বিরতির সময় চিলিয়ান সমর্থকরা নিচের গ্যালারিতে থাকা স্বাগতিক সমর্থকদের দিকে বিভিন্ন বস্তু, এমনকি একটি স্টান গ্রেনেড পর্যন্ত নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে ইন্ডিপেনডিয়েন্তে সমর্থকরা অবাধে চিলিয়ান সমর্থকদের গ্যালারিতে প্রবেশ করে ইউনিভার্সিদাদ দে চিলের সমর্থকদের উপর হামলা চালালে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্কে পালাতে বাধ্য হন চিলিয়ান সমর্থকরা।বিবৃতিতে চিলির ক্লাবটি জানায়, ইন্ডিপেনডিয়েন্তের সমর্থকরা অবাধে আমাদের গ্যালারিতে প্রবেশ করে চরম সহিংস ও অমানবিক হামলা চালায়। তাদের ভয়াবহ নৃশংসতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। স্বাগতিক সমর্থকরা চিলির খেলোয়াড়দের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে ড্রেসিংরুমেও ঢোকার চেষ্টা করেছিল এবং তাদের টিম বাসের জানালা ভাঙচুর করা হয়। এমনকি প্রায় ১০০ চিলিয়ান সমর্থককে আটক করলেও স্বাগতিক দলের কোনো হামলাকারীকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি।অন্যদিকে, চিলির ক্লাবটির অভিযোগ অস্বীকার করে আর্জেন্টাইন ক্লাব ইন্ডিপেনডিয়েন্তে জানিয়েছে, ম্যাচ শুরুর আগেই সফরকারী সমর্থকরা ঝামেলা শুরু করে এবং স্টেডিয়ামের সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট করে দেয়। তারা টয়লেট ভাঙচুর করে এবং স্বাগতিক সমর্থকদের দিকে আতশবাজি নিক্ষেপ করে, যার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় অগ্রহণযোগ্য সংঘর্ষের জন্ম হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা সফরকারী সমর্থকদের মাত্রাতিরিক্ত সহিংসতা নিয়ন্ত্রণের জন্য যথেষ্ট ছিল না।সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতের আহবান জানিয়েছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, ফুটবলে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। খেলোয়াড়, সমর্থক, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মীসহ যে কেউ সুন্দর এই খেলাটি উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য ভয়মুক্ত পরিবেশ দিতে হবে। সব নিরপরাধ ও ভুক্তভোগীদের প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে। আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব বর্বরোচিত ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
২৩ আগস্ট ২০২৫ ১০:৫০ এএম
পিএসজির কাছে বিধ্বস্ত মেসির মায়ামি, ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায়
কাগজে-কলমে শক্তিমত্তার ব্যবধান ছিল বিশাল। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছিল স্পষ্ট ফেবারিট, তবে ইন্টার মায়ামির দলে লিওনেল মেসির উপস্থিতির কারণে একে হালকাভাবে নেয়নি প্রতিপক্ষ কোচ লুইস এনরিকে। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে কোনো ছাড় ছিল না। পিএসজির দাপুটে ফুটবলে পুরোপুরি পর্যুদস্ত হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিকে।রোববার (২৯ জুন) আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়াম ছিল মায়ামির গোলাপি জার্সিধারী সমর্থকদের ভরপুর। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই তাদের উল্লাস স্তব্ধ হয়ে যায়। জোয়াও নেভেস ও আশরাফ হাকিমির গোলের পর এক আত্মঘাতী গোল মিলে পিএসজি ম্যাচের প্রথমার্ধেই স্কোরবোর্ডে ৪-০ ব্যবধান গড়ে ফেলে। এরপর পুরো ম্যাচে আর মায়ামির কোনো প্রতিরোধই দেখা যায়নি।প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে দিশেহারা করে তোলে পিএসজি। ৩৯তম মিনিটে নেভেস তার দ্বিতীয় গোল করেন। এরপর টমাস এভিলেসের আত্মঘাতী গোল এবং হাকিমির যোগ করা সময়ের গোলে একপ্রকার ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে মায়ামি।ম্যাচের পরিসংখ্যানেও স্পষ্ট পিএসজির আধিপত্য। ৬৭ শতাংশ বল দখলে রেখে তারা নিয়েছে ১৯টি শট, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে মায়ামি ৭টি শট নিলেও মাত্র ৩টি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয়।দ্বিতীয়ার্ধে মেসির পাস থেকে গোলের বড় সুযোগ পেয়েছিলেন লুইস সুয়ারেজ, কিন্তু কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। মেসি নিজেও একবার জোরালো হেডে চেষ্টা করেছিলেন, তবে সেই বল দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক দোন্নারুমা।ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে ইনজুরি কাটিয়ে নামেন উসমান দেম্বেলে, তবে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি তিনিও। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের বড় জয় নিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে পিএসজি। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হতে পারে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ অথবা ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো।ভোরের আকাশ//হ.র
৩০ জুন ২০২৫ ০৩:৪১ এএম
কলম্বিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ড্র
লিওনেল মেসি মাঠে নেই, প্রতিপক্ষের চেয়ে একজন খেলোয়াড়ও কম- তবুও হাল ছাড়েনি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে লুইস দিয়াজের গোলে পিছিয়ে পড়লেও, শেষ মুহূর্তে থিয়াগো আলমাদার দুর্দান্ত গোলে ১-১ সমতায় ফেরে আলবিসেলেস্তেরা। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এনজো ফার্নান্দেজ, তবে দলীয় আত্মবিশ্বাসেই এক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়রেসের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা ও নেস্টোর লোরেঞ্জোর কলম্বিয়া। ম্যাচটিতে দারুণ উত্তেজনা ছড়ালেও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয়। ১০ জনের আর্জেন্টিনা গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়লেও থিয়াগো আলমাদার দুর্দান্ত গোলে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে দেয়।ম্যাচের শুরুটা আর্জেন্টিনার জন্য ছিল নড়বড়ে। প্রথম ১৮ মিনিটে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও, গোলে শট নেওয়ার ক্ষেত্রে কলম্বিয়াই ছিল এগিয়ে। ম্যাচের ২৪ মিনিটে লুইস দিয়াজের একক নৈপুণ্যে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। লিভারপুলের এই তারকা বামপ্রান্ত থেকে বল নিয়ে চার ডিফেন্ডারের জটলার মাঝে ঢুকে দুর্দান্ত গোল করে কলম্বিয়াকে এগিয়ে দেন।এরপর ম্যাচে ফিরতে আর্জেন্টিনাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রায় ৮০ মিনিট পর্যন্ত। এর মাঝেই ৭০ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় আর্জেন্টিনা, যখন এনজো ফার্নান্দেজ কলম্বিয়ান মিডফিল্ডার কাস্তানোর মাথায় বুট দিয়ে আঘাত করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পরও দমে যায়নি আর্জেন্টিনা।ম্যাচের ৮০ মিনিটে থিয়াগো আলমাদা ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এক মাটি কামড়ানো শটে আর্জেন্টিনার মান রক্ষার গোল এনে দেন। ৭২ মিনিটে লিওনেল মেসিকে তুলে নেওয়ার মাত্র মিনিট চারেকের মাথায় এই গোল আসে।৩০ মিনিটে একবার সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা, কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়। বিরতির আগে কলম্বিয়ার রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা। বিরতির পর ৬৩ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজ একটি ভালো সুযোগ হাতছাড়া করেন।শেষ পর্যন্ত, আলমাদার গোলই খেলার ফল নির্ধারণ করে। ১-১ গোলের ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে। এই ড্র আর্জেন্টিনার জন্য বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ