সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের মারিনা এলাকায় অবস্থিত ৬৭ তলা আকাশচুম্বী ভবন ‘মারিনা পিনাকল’-এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে দ্রুত পদক্ষেপে সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৩ জুন) গভীর রাতে ভবনটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট ছুটে গিয়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ভবনটির ৭৬৪টি অ্যাপার্টমেন্টের ৩ হাজার ৮২০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভবনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দুবাই সরকারের মিডিয়া অফিস (ডিএমও)। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টা ৪৪ মিনিটে এক্স-এ দেওয়া একটি পোস্টে ডিএমও জানায়, বিশেষায়িত দলগুলো ৬৭ তলা ভবনের সব বাসিন্দাকে সফলভাবে সরিয়ে নিয়েছে এবং পুরো সময় তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।রাত ২টা ৯ মিনিটে আরেকটি পোস্টে ডিএমও জানায়, অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসক দল ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া বাসিন্দাদের শারীরিক ও মানসিক সহায়তা দিচ্ছেন। পরবর্তী পোস্টে (রাত ২টা ২১ মিনিটে) ডিএমও নিশ্চিত করে, বিশেষ ইউনিটের সহায়তায় মারিনা পিনাকলের ৭৬৪টি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ৩ হাজার ৮২০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কারও কোনো আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।ভোরের আকাশ/জাআ
১৫ জুন ২০২৫ ১১:২২ এএম
মাগুরা মহম্মদপুরে গভীর রাতে বাড়িতে আগুন
মাগুরার মহম্মদপুরে গভীর রাতে কাঠ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইসলাম মোল্যার বাড়িতে আগুনে পুড়ে সর্বশান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষতি হয়েছে দশ লাখের উপরে। ইসলাম মোল্যা উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর উত্তরপাড়ার মৃত কালু মোল্যার ছেলে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার গভীর রাতে পরিবারের সবাই যখন ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ চারদিকে আগুন দেখতে পেয়ে সবাইকে নিয়ে দ্রুত ঘরের বাইরে আসে। ইসলাম মোল্যা ও তার পরিবারের সদস্যদের চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেও কাজ হয়নি। এর মধ্যে কাঠ ব্যবসায়ী ইসলাম মোল্যার সব কিছু, বসবাসের ঘর, রান্না ঘর সহ ঘরে থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার সহ যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। তবে কেউ আগুনের সুত্রপাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারে নাই। অনেকের ধারনা বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট অথবা কেউ শত্রুতা করে আগুন লাগিয়ে দিতে পারে। সরেজমিন, আগুনে পুড়ে সর্বস্ব হারিয়ে ইসলাম মোল্যা ও তার পরিবার বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহীনুর আক্তার বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোন আবেদন এখনো পায়নি। যদি আবেদন করে, তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুতই সহযোগিতা করা হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা