গুলিস্তান-আজিমপুরে বাস পোড়ানোর ভিডিও দুটি পুরোনো: ডিএমপি
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত অনেক ভিডিও ফুটেজ এবং লেখালেখি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তান ও আজিমপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের হরতাল সমর্থনে বাস পোড়ানো সংক্রান্তে কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওই ভিডিও দুটি অনেক পুরোনো। কে বা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে রোববারের ভিডিও বলে প্রচার করছে। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাজধানীর গুলিস্তান ও আজিমপুরে এ রকম কোনো ঘটনা সংঘটিত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে। মানুষের মনে অহেতুক ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা হিসেবে একটি কুচক্রী মহল এসব পুরোনো ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে।যেকোনো ধরনের সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তৎপর রয়েছে। কুচক্রী মহল কর্তৃক এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য নগরবাসীদের অনুরোধ করা হলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২০ জুলাই ২০২৫ ০৫:৩১ পিএম
চরফ্যাশনে জমির বিরোধ নিয়ে অসহায় পরিবারের ওপর হামলা ও অপপ্রচার
ভোলার চরফ্যাশনে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক অসহায় পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি ও হামলার শিকার করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বকশী বাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার এ অভিযোগ তুলে ধরে।ভুক্তভোগী হাছান বানু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আলআমিন বিএসসি, আমির হোসেন, হাসান, নাজমা ও আলেদা বেগম আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর ৩২শতাংশ জমির বিরোধ নিয়ে বিভিন্নভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে।হাছান বানু বলেন, আমার শ্বশুর নজীর আহমদ বকশী প্রায় ১২ বছর পূর্বে দেড় লাখ টাকায় আমার কাছে ৩২শতাংশ জমি বিক্রি করলেও আমাকে কোনো কাগজপত্র দেয়নি। আমার বাবার বাড়ি থেকে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমি বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা দিলেও আমার শ্বশুর বছরের পর পর বছর ধরে আমাকে জমির কাগজপত্র বা দলিল দেননি। তবে আমার স্বামী ও সন্তানরা ওই জমিটি দীর্ঘ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছে।গত শনিবার (১২ জুলাই) আমার ছেলে আমিরুল ইসলাম ওই জমিতে আবাদকৃত ধানের চারায় সেচ দিতে গেলে আমার শ্বশুর নজীর আহমেদ ও ভাতিজা বিএসসি আলআমিনের নেতৃত্বে আমির হোসেন, হাসান,নাজমা,আলেদা বেগমসহ অন্তত ১০জন একত্রিত হয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার স্বামী ইয়াছিন বকশী,ছেলে আমিরুল ও মেয়ে বিবি কুলছুম এবং সুফিয়াকে আহত করে। স্থানীয় এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে।হাছান বানুর ছেলে আমিরুলল ইসলাম বলেন, প্রতিপক্ষরা আমাদের আত্মীয় স্বজন হলেও আমাদের কাছে বিক্রি করা জমি বুঝিয়ে না দিয়ে আমার রোপণকৃত ধানের চারাগুলো নষ্ট করে ফেলে এবং উল্টো থানায় আমাদের নামে লিখিত অভিযোগসহ সাংবাদিক মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের উপর হামলার দায় চাপিয়ে দিয়ে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর বানোয়াট খবর প্রকাশ করেছে। এতে আমার ও আমার পরিবারের সম্মান নষ্ট করার পায়তারা করছে প্রতিপক্ষ গ্রুপটি। আমি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আলআমিন বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। তবে পারিবারিকভাবে আমি শুনেছি চাচাতো ভাই আমিরুল ও আমার চাচা ইয়াছিন বকশী আমার দাদা নজীর আহমদ বকশীকে জমির মধ্যে হামলা করে আহত করেছে।এই ঘটনায় স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী জানান, হাছান বানু ও তার পরিবারের সঙ্গে মিথ্যা হামলা মামলা করে আলআমিন গং দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি করে আসছে। এবং নজীর আহমদ তার কাছে জমি বিক্রির ওয়াদা করে টাকা নিলেও তাদেরকে জমিটি বুঝিয়ে দেননি। এতে করে ওই এলাকায় একাধিকবার সালিশ ফয়সালার মাধ্যমে হাছান বানুকে জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য নজির আহমেদকে নির্দেশ দিলেও তিনি তা মানছেন না বলেও এলাকার সালিশদারগণ জানান।চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজান হাওলাদার বলেন, “ঘটনার বিষয়ে উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”ভোরের আকাশ/এসএইচ