সংগৃহীত ছবি
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথ আয়োজনে বসতে যাচ্ছে আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। এই আসরে অংশ নিতে যাওয়া বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন। গতকাল ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও তার সহধর্মিণী মিসেস মনু ভার্মা ঢাকায় ইন্ডিয়া হাউসে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সম্মানে এই সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
স্বাগত বক্তব্যে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানান, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বহু গভীর ও ঐতিহাসিক বন্ধনে গাঁথা—ভূগোল, ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি ছাড়াও দুই দেশের মানুষকে এক করে রেখেছে ক্রিকেটপ্রেম। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত ও বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে এবং উচ্চমানের ক্রিকেট খেলে নিজেদের দেশকে গর্বিত করছে।
তিনি নারী ক্রিকেট দলকে নারীর ক্ষমতায়ন ও তরুণ শক্তির প্রতীক আখ্যায়িত করে আরও জানান, আমরা গর্বের সঙ্গে নারীদের পাশে আছি। আশা করি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল দেশের প্রতিটি কন্যাশিশুকে অনুপ্রাণিত করবে, স্বপ্ন ও আবেগকে অনুসরণ করে নিজেদের কাঙ্ক্ষিত ক্ষেত্রে সফল হতে। এসময় তিনি দলের জন্য শুভকামনা জানিয়ে আসন্ন বিশ্বকাপে সাফল্য ও নতুন উচ্চতা অর্জনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবারের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নারী ক্রিকেটাররা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট উইংয়ের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম এবং সাবেক ক্রিকেটার সাথিরা জাকির জেসি, যিনি প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে আইসিসি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করবেন।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবার ফুটবল মাঠের বাইরেও ইতিহাস গড়েছেন। পাঁচবারের ব্যালন ডি'অরজয়ী এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড বিশ্বের প্রথম সক্রিয় ফুটবলারের মর্যাদায় বিলিয়নিয়ার হয়ে উঠেছেন।যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক তথ্য সংস্থা ব্লুমবার্গের মতে, রোনালদোর মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার, যা তার ক্যারিয়ারের আয়, বিনিয়োগ ও ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্টসহ গণনা করা হয়েছে। ২০০২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে রোনালদো শুধুমাত্র বেতন থেকে ৫৫ কোটি ডলারের বেশি উপার্জন করেছেন। এছাড়া নাইকিসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে তার দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি তাকে বছরে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার আয় দেয়।২০২২ সালে রোনালদো ইউরোপীয় ফুটবলকে বিদায় দিয়ে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন, যেখানে তার চুক্তি করমুক্ত ২০ কোটি মার্কিন ডলার বেতনধারার। সম্প্রতি তিনি আরও দুই বছরের নতুন চুক্তি করেছেন, যার মোট মূল্য ৪০ কোটি ডলার।ফোর্বস সাময়িকীর তালিকায় তিন বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আয় করা ক্রীড়াবিদ হিসেবে শীর্ষে থাকা রোনালদো কেবল ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ই নন, বরং তিনি ফুটবলের সবচেয়ে সফল ব্যবসায়ীদের একজন হিসেবেও স্বীকৃত।ভোরের আকাশ/তা.কা
ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ দল। মাত্র ২২১ রানের টার্গেট দিয়েও বোলাররা শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন দারুণভাবে। বিশেষ করে দুই স্পিনার তানভীর ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একসময় ম্যাচে ফেরার আশাও জাগিয়েছিল দলটি। কিন্তু শেষদিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং হাশমতউল্লাহ শাহিদির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় আফগানিস্তান।আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি দলটি—৪৮.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ২২১ রানে। ইনিংসের ভরসা ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ, খেলেছেন সর্বোচ্চ ৬০ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস।লক্ষ্য তাড়ায় আফগানিস্তানও শুরুতে চাপে পড়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ৪৭.১ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।বল হাতে লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে।ভোরের আকাশ//হর
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরদিনই অস্ট্রেলিয়া গেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সোমবার অনুষ্ঠিত বিসিবির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন দেশের সাবেক অধিনায়ক বুলবুল।নির্বাচনের পরদিন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় বোর্ড সভা, যেখানে নতুন পরিচালকদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। একই রাতে রাজধানীতে আয়োজিত হয় ‘নাইট অব সেলিব্রেশন’। সেই অনুষ্ঠানের পরই আজ ভোরে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বিসিবি সভাপতি।বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বুলবুলের পরিবার বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন। পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতেই তিনি সেখানে গেছেন। প্রায় এক সপ্তাহ পর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।এর আগে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বুলবুল বলেছিলেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নের প্রেমে পড়ে গেছি। অল্প সময়ের জন্য এসে যখন ছোট ছোট কাজ শুরু করেছিলাম, সাফল্যগুলো চোখে পড়েছিল। সেই সাফল্যের টানেই থেকে গেছি। দেশকে সেবা দেওয়ার এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।”বুলবুল জানিয়েছেন, দায়িত্বের শুরুতেই তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চান।“কে বোর্ডে আছেন বা কে নেই, সেটা বড় বিষয় নয়। আমরা সবাই দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। প্রয়োজনে তামিমদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছেও যাব। নির্বাচনের আগে বিতর্ক থাকতেই পারে, তবে আমরা গঠনতন্ত্র মেনে নির্বাচন করেছি,”— বলেন তিনি।নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর বুলবুল বিসিবির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটির দায়িত্বও নিজের হাতে রেখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ওয়ার্কিং কমিটি এবং গ্রাউন্ডস কমিটি।অন্যদিকে, ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্বে থাকছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম।গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান হয়েছেন ইশতিয়াক সাদেক এবং বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির নেতৃত্বে আছেন আসিফ আকবর।জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ হয়েছেন হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রধান, আর আবদুর রাজ্জাক পেয়েছেন মহিলা উইংয়ের দায়িত্ব। তবে বিসিবির সাবেক সহসভাপতি ফারুক আহমেদ কোনো কমিটিরই প্রধান হননি।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক নির্বাচন নিয়ে আবারও আলোচনায় এসেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নির্বাচন বর্জনকারী কয়েকটি ক্লাবের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এবারের নির্বাচনকে তিনি কোনোভাবেই “নির্বাচন” মনে করেন না।বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, “আমি মনে করি না এটা কোনো নির্বাচন ছিল। একটা ছোট উদাহরণ দিই—আমি যখন ই-ভোটিংয়ের জন্য আবেদন করি, বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে আমি নাকি ভোট দিয়েছি। অথচ সেটা ভুল ছিল। বিষয়টি বুঝে আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই এবং ইসিকে (নির্বাচন কমিশন) ই-মেইল পাঠাই। ওরা গতকাল রিপ্লাই দিয়েছে—আমার কোনো ভোট কাস্টিংই হয়নি।”তামিম জানান, তিনি ও তার সহযোগীরা নীতিগত কারণে নির্বাচনী সমঝোতা থেকে সরে এসেছিলেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ক্লাব সংগঠকদের উদ্দেশে অনুরোধ করেন, ভবিষ্যতে যেন কেউ নিজেদের অবস্থান না বদলান।তামিমের ভাষায়, “আমরা সমঝোতার সঙ্গে একমত ছিলাম না বলেই সরে এসেছি। যাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটার প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। তবে আজকে যে বক্তব্য আপনারা দিচ্ছেন, ভবিষ্যতেও যেন সেটাই বজায় থাকে। পরবর্তীতে স্টেটমেন্ট বদলে আবার আমাদের পাশে এসে বসবেন না, দয়া করে।”নিজের জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতা নিয়েও আত্মবিশ্বাসী তামিম বলেন, “আমি নিশ্চিত ছিলাম—যদি আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থী হতাম, সহজেই জয়ী হতে পারতাম। এ নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই ক্রিকেটের স্বার্থে আছি।”ভোরের আকাশ//হ.র