ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বিলম্ব অথবা নির্বাচন বানচাল করা।
তিনি বলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিনক্ষণ জানাবেন, স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এখন উপযুক্ত সময় নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সবাইকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মত মেনে নিতে হবে এমনটা ভাবলে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। সংস্কার কোনো বাইবেল নয়। এটি চলমান প্রক্রিয়া।
এর আগে, এদিন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই। জনগণের ভোটের অবমূল্যায়ন রুখতে সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বিলম্ব অথবা নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। সরকার দ্রুত নির্বাচনের দিনক্ষণ জানাবেন, স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এখন উপযুক্ত সময় নয়।বিএনপির এই নেতা বলেন, সবাইকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মত মেনে নিতে হবে এমনটা ভাবলে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। সংস্কার কোনো বাইবেল নয়। এটি চলমান প্রক্রিয়া।এর আগে, এদিন বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন দেশের মানুষ মেনে নেবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই। জনগণের ভোটের অবমূল্যায়ন রুখতে সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। মহাসমাবেশকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ধিত অংশ ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি গৌরবময় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।ছবি: সংগৃহীতঘোষণাপত্রে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে ৬টি কমিশনের প্রস্তাবনা আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। আমরা সেই প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্র রোধ করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করার বিষয়টি মূখ্য রেখে আমরা আমাদের প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি। আমাদের প্রস্তাবনাগুলোকে সক্রিয় বিবেচনায় নেওয়ার জন্য আজকের মহাসমাবেশ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি। ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা হলো-১. সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতিরূপে পুনঃস্থাপন।২. সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন।৩. জুলাই সনদের ঘোষণা ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্য।৪. ভবিষ্যৎ স্বৈরাচার ও দলীয় কর্তৃত্ববাদ রোধে মৌলিক রাষ্ট্র সংস্কার।৫. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনে ফ্যাসিবাদী প্রভাবমুক্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।৬. পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার ও পালাতক অপরাধীদের ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক পদক্ষেপ।৭. পাচার করা অর্থ উদ্ধার ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ।৮. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও খুনখারাবি রোধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা।৯. ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি প্রকাশ ও দেশবিরোধী চুক্তির বাতিল।১০. জাতীয় নির্বাচনের আগে সব পর্যায়ে স্থানীয় নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান প্রণয়ন।১১. দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও সন্ত্রাসীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।১২. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করা।১৩. ঘুষ-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।১৪. ইসলাম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ডে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।১৫. জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের প্রতিহত করা।১৬. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ইসলামের আলোকিত আদর্শ বাস্তবায়নের আহ্বান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে চাই। এই জুলাই আগস্টেই তাদেরকে সম্মান দিতে হবে।শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনাসভা ও বিশেষ অনুষ্ঠানের ভেন্যু পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।রিজভী বলেন, আমরা ১ জুলাইকে কেন্দ্র করে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমরা যথাযথভাবে কর্মসূচি পালন করতে চাই। যাদের সন্তানরা গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য দুনিয়া থেকে চলে গেছেন তাদের বিশেষ সম্মান জানাতে হবে। সেই প্রত্যয় নিয়ে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জুলাই আন্দোলনে সারা দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।তিনি বলেন, আমরা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনের লক্ষ্যে প্রথম কর্মসূচি পালনের জন্য ভেন্যু পরিদর্শন করেছি। এই কমিটির উদ্যোগে ভেন্যু পরিদর্শন করলাম। যাতে অনুষ্ঠান ভাবগাম্ভীর্য সহকারে পালন করতে পারি। অতিথিরা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা যাতে সুন্দরভাবে বসতে পারে। অনুষ্ঠান যাতে সার্থক হয়।তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক সংকট রয়েছে। মব কালচার আছে। এসব থেকে মুক্ত হতে হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। গত বছরেও আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২। এবার সেটি হয়েছে ৩.৯। আমরা সরকারকে সেটি দেখার জন্য বলবো। আমরা তো সমালোচনা করবোই। অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি নির্বাচন কমিশন দ্রুত একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন।শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, জুলাই বিপ্লবকে স্মরণীয় করে রাখতে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমাদের দাবি ও প্রত্যাশা খুব শিগগিরই শেখ হাসিনার বিচার কাজ দৃশ্যমান হবে। জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হবে। আমরা বিশ্বাস করি এই নির্বাচনে জনগণের দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জয়লাভ করবে এবং জনগণের সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবে।তিনি বলেন , আমরা শহীদ ও আহত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি এবং করছি। আমরা মনে করি একটি কমিশন বা সংস্থার মাধ্যমে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়াবো। আমাদের এ ধরনের কাজ অব্যাহত থাকবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির সদস্য সচিব ও গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাহদী আমিন, ড. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফারজানা শারমিন পুতুল প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিন দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দাবিগুলো হলো সংস্কার, বিচার ও পিআর (সংখ্যানুপাতিক ভোটে) পদ্ধতিতে নির্বাচন।শনিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায় ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা বাসে ও হেঁটে সমাবেশে আসছেন। উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ইতোমধ্যেই সমাবেশস্থলে যোগ দিয়েছেন লাখো নেতাকর্মী।আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে আগত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সকাল ১০টায় কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রথম পর্ব। এ পর্বে সারদেশ থেকে আগত জেলা-মহানগর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখছেন।আজ মহাসমাবেশে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির পক্ষের সবগুলো রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।উপস্থিত আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।এতে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।উল্লেখ্য, মহাসমাবেশের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম গতকাল শুক্রবার মাঠ পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি জানান, সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার বাস রিজার্ভ করা হয়েছে। লঞ্চ ও ট্রেনে করে কয়েক লাখ জনতা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ