নির্বাচন কমিশন ভবন। ফাইল ছবি
ইসিতে বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০টি। আর গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বেশ কিছু নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থান হয়েছে। যে সব দলের এখনো নিবন্ধন হয়নি। আর এর মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ রোববার (২২ জুন)। আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন সহায়তা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ১০০টির মতো দল আবেদন করেছে। এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বেশ কিছু দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেড় মাসের মতো সময় বৃদ্ধি করে ইসি। এনসিপিসহ কয়েকটি দলের আজ রোববার আবেদন করার কথা রয়েছে।
দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি থাকতে হয়। এছাড়াও কোনো দলের কেউ পূর্বে সংসদ সদস্য থাকলে বা পূর্বের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
ইসিতে বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), এবি পার্টি, নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য এবং গণসংহতি আন্দোলন নামের দলগুলোকে নিবন্ধন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এগুলোর প্রায় প্রতিটিই আবেদনের পাঁচ থেকে ছয় বছর পর আদালতের আদেশে নিবন্ধন পেয়েছে।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তী সময়ে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল করে ইসি। দলগুলো হলো- জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা।
সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় সমাবেশ সফল করতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট এলাকায় মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।বুধবার (৯ জুলাই) রাতে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।কারওয়ান বাজারের আম্বরশাহ শাহী জামে মসজিদের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শুরু হওয়া কর্মসূচি ফার্মগেট গোল চত্বরে পথসভা দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশ ও মিছিলে দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।পূর্ব সমাবেশে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, আগামী ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ সফল করতে রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় জনস্রোত সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াত ঘোষিত ৭ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক, বৈষম্যহীন ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে দলটি।তিনি আরও বলেন, “জনপ্রতিনিধিরা জনগণের শাসক নয়, বরং হবে সেবক। আমরা সে ধরনের সমাজ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”রাজধানীবাসীকে সমাবেশে যোগদানের আহ্বান জানান তিনি।কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মজলিসে শূরা সদস্য জিল্লুর রহমান, আহসান উল্লাহ, ইউসুফ আলী মোল্লা, কলিম উল্লাহ, আবু সাঈদ মণ্ডল এবং এস এম মনির আহমেদ প্রমুখ। ভোরের আকাশ/হ.র
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার জুলাই-আগস্টে সারাদেশে গণহত্যা চালায়। সেই গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিচার দাবি করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি তোলেন।তাজউদ্দীনপুত্র শেখ হাসিনা সরকারের গণহত্যা নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘দ্য ব্যাটল ফর বাংলাদেশ: ফল অব শেখ হাসিনা’ শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই সাহসী যোদ্ধাদের, যারা তাদের প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বৈরশাসনের হাত থেকে মুক্ত করেছে- এই গণহত্যার জন্য দায়ী সকলের বিচার করতেই হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গণহত্যার দায়ে শুধু শেখ হাসিনা নয়, দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুসকে দেখতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশি রোষানলের শিকার বিএনপি। আর সর্বশেষ গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন শেখ হাসিনা। গণহত্যার জন্য শুধু শেখ হাসিনা নয়, দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নিপীড়ন-নির্যাতন, হত্যা, গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিকটিম আমাদের দল বিএনপি।তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আর সংস্কার কখনও সাংঘর্ষিক নয়। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়। যারা নির্বাচন পেছানোর কথা বলছেন, তারা বিষয়টি আরও ভেবে দেখবেন। দেশ বাঁচাতে, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারকে সঠিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।গণহত্যার বিচারে উদাসীনতা রয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে হাজার মানুষ হত্যার দায় নিয়ে ১১ মাস আগে ভারতে পালিয়ে যান জনরোষে পদচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। এত দীর্ঘ সময় পরও শেখ হাসিনা ও তার দলের বিচার না হওয়া দুঃখজনক।এ সময় সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে একটি আধুনিক ও পরিবর্তিত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার ভাষায়, বর্তমান প্রজন্ম আগের তুলনায় অনেক বেশি অগ্রসর এবং তারা একদিন দেশের ভবিষ্যৎ রূপদান করবে।৮ জুলাই (মঙ্গলবার) বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনালস–২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ আয়োজনটি যৌথভাবে পরিচালনা করে ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি ও দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগ।গণতন্ত্রের ঘাটতির প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে গণতন্ত্র চর্চা অব্যবহৃত থেকেছে। পাকিস্তান আমল থেকেই আমরা গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে এসেছি। কিছু সময়ের জন্য সুযোগ মিললেও তা স্থায়ী হয়নি।রাজনীতিতে তরুণদের আগ্রহ কমে যাওয়ার একটি জরিপের তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, মাত্র ১.৮৭ শতাংশ তরুণ রাজনীতিতে আগ্রহী—এই তথ্য তাকে হতাশ করেছিল। তবে অনুষ্ঠানে তরুণদের মধ্যে যে উদ্দীপনা দেখেছেন, তাতে আশাবাদ ফিরে পেয়েছেন বলে জানান।বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, মতভেদ থাকবেই, সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। একজন বলবে, অন্যজন পাল্টা বলবে—এই ভাবনাই একটি উদার গণতন্ত্রের ভিত্তি।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের এক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতিচারণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সেই নেতা একজন দেহরক্ষী নিয়েই সাধারণভাবে চলাফেরা করতেন। অথচ আমাদের দেশে কেউ একবার মন্ত্রী হলেই গাড়ির বহর, প্রটোকল—সব মিলিয়ে একেবারে আলাদা এক জগতে প্রবেশ করেন। এই মানসিকতা বদলাতে হবে।তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা এমন একটি প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই, যারা নেতৃত্ব দেবে, ভাববে, কাজ করবে—এবং বাংলাদেশকে বদলে দেবে। এই তরুণরাই হবে ভবিষ্যতের চালিকাশক্তি।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক হেলথ স্পেশালিস্ট ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম ইলিয়াস, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু এবং আইনজীবী রাশনা ইমাম। ভোরের আকাশ/হ.র