জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মাজাহারুল ইসলাম
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৫ ০৯:২৫ এএম
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাতেও শঙ্কাহীন হচ্ছে না ভোটের হিসেব। বরং নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর এ নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধে জড়িয়েছে দলগুলো। বিএনপি এটিকে স্বাগত জানালেও জামায়াত এনসিপি বলছে এটি সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন ভণ্ডুুলের নীল নক্সা। এর ফলে কোনোভাবেই মসৃন পথে এগোচ্ছে না ভোটের হিসেব। যার স্পষ্ট্য সূত্র শোনা গেছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কণ্ঠে। তিনি বলেছেন সামনের নির্বাচন হবে ইতিহাসের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ।
সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ করলেও পিআর দ্বন্দ্বে আটকে যেতে পারে জনগণের কাক্সিক্ষত ভোট-এটাই ভাবছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে রোডম্যাপ ঘোষণার পরেও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে রাজনীতিতে রয়েছে ভয়ঙ্কর অস্থিরতা। ভোট নিয়ে উদ্বগ-উৎকণ্ঠা থেকে যাচ্ছে জনমনেও। নির্বাচন ইস্যুতে দলগুলো ঐক্যমতে না আসলে ১/১১ মতো পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে দেশ। জামায়াতে ইসলামী বলছে, জুলাই চার্টার রিফান্ড ও পিআরের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে কিন্তু কঠোর বিরোধিতায় রয়েছে বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলো।
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) রোডম্যাপ ঘোষণায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণে পরিলক্ষিত হয়, ইসির রোডম্যাপে বিএনপি সাধুবাদ জানালেও জামায়াত বলছে, এটা গতানুগতিক ও কিছুটা বিভ্রান্তিমূলক এবং এনসিপি এই রোডম্যাপকে সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল।
একইসঙ্গে জুলাই সনদের খসড়া মতামতে বিএনপি বলছে, যেসব সংস্কার কার্যকরে সংবিধান সংশোধন করতে হবে, সেগুলো আগামী সংসদে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে জামায়াতে ইসলামী বিরোধিতা করে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট দাবি করেছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধান ও আইনের ওপর প্রাধান্য পাবে সনদ। কোনো আদালতে সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এ দুই অঙ্গীকারে বিএনপি রাজি নয়। তবে, এতে একমত জামায়াতে ইসলামী। আর সনদের আইনি ভিত্তি চাইলেও সংবিধানের ওপর প্রাধান্য চায় না এনসিপি। একইসঙ্গে জামায়াত ইসলামী জুলাই সনদের অধীনে নির্বাচন চায়, বিরোধিতায় রয়েছে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন ঘিরে এক ধরনের অনিশ্চয়তার পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
বিএনপি বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাধাগ্রস্ত হলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে। দেশে উগ্রবাদী জনগোষ্ঠী এবং পরাজিত ফ্যাসিবাদী অপশক্তি উত্থানের পথ সুগম হবে। গণতান্ত্রিক বিশ্বের ইমেজ সংকটে পড়বে বাংলাদেশ। তাই সংকট উত্তরণে চাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ। যে সংসদ দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে। গণতান্ত্রিক বিধি-ব্যবস্থা শক্তিশালী করার কেন্দ্রবিন্দুই হলো সংসদ।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গোটা দেশ এখন নির্বাচনমুখী। সবাই ভোট দেওয়ার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। অথচ ভোট বাধগ্রস্ত করতে একদলে উঠেপড়ে লাগছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে উগ্রবাদের রাজনীতি ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অনেক চক্রান্ত আছে, ষড়যন্ত্র আছে। একটা ষড়যন্ত্র চলছে, সে ষড়যন্ত্রটা হচ্ছে, মধ্যপন্থা রাজনীতি, উদার পন্থার রাজনীতি, উদারপন্থি গণতন্ত্রকে সরিয়ে দিয়ে একটা উগ্রবাদের রাজনীতি নিয়ে আসার। এটি বাংলাদেশের জন্য চরম ক্ষতিকর হবে। সে জন্য উদারপন্থি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে মতভেদ থাকবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখনকার পরিবেশে মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ছে। মানুষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনের বিকল্প নেই।
নির্বাচন না হলে জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেইসঙ্গে ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়বে। অনেকেই চেষ্টা করছে। বিদেশেও কাজ হচ্ছে ফ্যাসিবাদ ফেরাতে।
সংস্কার বিষয়ে তিনি বলেন, সংস্কারের কথা বিএনপি বলেছে সর্বপ্রথম। জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এনেছিলেন। খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র এনেছেন। অনেকে বলার চেষ্টা করছে, বিএনপি সংস্কারবিরোধী। কিন্তু সব সংস্কার বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থান প্রসঙ্গে গতকাল শুক্রবার নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, নিত্যনতুন দাবি করে নির্বাচন আটকানোর চেষ্টা করে দেশে ১/১১ নামিয়ে আনলে লাভটা হাসিনার হবে।
এনসিপির আহ্বায় নাহিদ ইসলামকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, নতুন সংবিধান চান, তবে মুজিববাদী সংবিধান মেনে যে শপথ নিলেন, তখন মনে ছিল না? এই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সংবিধানকে স্বীকৃতি দিয়ে, হাসিনার রাষ্ট্রপতির হাতে শপথ নিয়ে আবার তাকে অবৈধ বলা যায়?
তিনি আরো বলেন, নিত্যনতুন দাবি করে নির্বাচন আটকানোর চেষ্টা করে দেশে ১/১১ নামিয়ে আনলে লাভটা কিন্তু হাসিনার হবে। তখন কিন্তু আমি-আপনি আমরা কেউ বাঁচতে পারব না। সুতরাং একগুঁয়ে মনোভাব না দেখিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার ও বিচারের পথপ্রক্রিয়া আবিষ্কার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি সবার নেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেজন্য আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। তবে একটি পক্ষ সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সংস্কার ও বিচারকে এগিয়ে নিতেই সুষ্ঠু ভোট দরকার।
জোনায়েদ সাকি বলেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন এই মুহূর্তে দেশের জাতীয় স্বার্থ। গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য সবারই ভোটের গুরুত্ব উপলব্ধি করা উচিত। দেশ এখন ক্লান্তিলগ্নে রয়েছে। অভ্যুত্থানের পর স্বৈরাচারের পতন হলেও এখনো ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থাপনার বিদায় হয়নি।
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন এখন আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর করতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ইসির ঘোষিত রোডম্যাপ গতানুগতিক এবং কিছুটা বিভ্রান্তিমূলক। কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। এমনকি জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান এবং এর বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত হয়নি। এমতাবস্থায় এই রোডম্যাপ ঘোষণা অপরিপক্ক ও আংশিক। এতে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করে দেশে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনে জুলাই জাতীয় সনদের আইনিভিত্তি প্রদান এবং এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত ছিল।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, রোডম্যাপ ঘোষণা ইতিবাচক তবে, যতো দ্রুত জুলাই সনদের আইনিভিত্তি হবে, সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ ভবিষ্যতে সংকট তৈরি করতে পারে, যার দায় সরকারকেই নিতে হবে। সংস্কারকে আইনি ভিত্তি দিয়ে সেই অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাই চার্টারকে আইনগত ভিত্তি দিতে হবে এবং এর ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে। কিন্তু সেগুলো না করেই নির্বাচনের যে পথনকশা ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ভণ্ডুল করার নীলনকশা বলে আমরা মনে করি। আমরা এটা হতে দেব না। আমরা সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বাধ্য করব, জুলাই চার্টার রিফান্ড ও পিআরের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মাওলানা আতাউর রহমান বলেন, আধুনিক জাতি রাষ্ট্রে নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। আমরাও নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছি। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ একটি রক্তস্নাত বিশেষ পরিস্থিতিতে বিরাজ করছে। দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্র চিরস্থায়ী মুক্তির জন্য। সেই বিষয়ে কোনো রোডম্যাপ না দিয়ে পুরোনো বন্দোবস্তের নির্বাচনী রোডম্যাপ জুলাইকে অস্বীকার করার নামান্তর।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য নানা কার্যক্রম চললেও দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, সংস্কারের সব চেষ্টা এখন কাগুজে দলিলে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, নির্বাচন কি বিদ্যমান নিয়মে হবে না পিআর পদ্ধতিতে হবে, তা নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি। নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করা যায়নি। নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা জাতির, আশা, আকাঙ্ক্ষা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাকে উপেক্ষা করে পুরোনো অশুভ রাজনৈতিক বন্দোবস্তকে জিইয়ে রাখার অপচেষ্টা ছাড়া কিছু না।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি দেওয়ার উপায় নির্ধারণ হয়নি। জুলাই সনদ চূড়ান্ত না করে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে কোনে সিদ্ধান্তে উপনীত না হয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের সামিল।
তিনি বলেন, এনসিপি নির্বাচনবিরোধী নই। সেদিক থেকে রোডম্যাপ ঘোষণা ইতিবাচক তবে, যতো দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি হবে, ততো দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়া যাবে। সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ ভবিষ্যতে সংকট তৈরি করতে পারে, যার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান হওয়ার আগে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ ঘুমিয়ে নেই। তারা সব রাজনৈতিক দলকেই পর্যবেক্ষণ করছে। পরিকল্পিত নির্বাচন হলে সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পৌঁছাতে দেবে না।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণাকে ইতিবাচক। একইসঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের অনিশ্চয়তার কারণে নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছে দলটি।
এ বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সমাধান বা ঐকমত্যে না আসতে পারে, সেটি হবে দুর্ভাগ্যজনক। তার জন্য অতীতের মতো দলগুলোর সঙ্গে দেশ ও দেশের জনগণকেও তার মাশুল দিতে হবে।
তিনি বলেন, অনেক সময় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল হীন স্বার্থের কারণে দেশ ও জনগণের স্বার্থ দেখতে চায় না। এটি উচিত নয়। সে জন্য দলগুলোর মধ্যে কোনো কোনো বিষয় নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও দেশ ও জনগণের স্বার্থে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত। এটা সবার জন্যই মঙ্গল ও কল্যাণকর হবে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মো. সাহাবুল হক বলেন, রোডম্যাপ ঘোষণা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার একটি আনুষ্ঠানিক সূচনা হলেও এটি অনিষ্পন্ন মূল প্রশ্নগুলোর সমাধান করে না। নির্বাচনের তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি, যা একটি মৌলিক অনিশ্চয়তা। সবচেয়ে বড় দ্বিধা নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে। কেননা, এবারের সংসদ নির্বাচন কি গতানুগতিকভাবে সরাসরি ভোটে হবে, নাকি পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে, তা এখনো অমীমাংসিত। এই অনির্দিষ্টতা রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি অনীহা ও অনিশ্চয়তার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
ভোরের আকাশ/মো.আ.