ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫ ০৫:১৬ পিএম
বিএনপি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, তাঁর দল বিএনপি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে।
রোববার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালে বিএনপিই প্রথম সংবাদপত্রের স্বাধীনতার দ্বারকে খুলে দিয়েছে। এর আগে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশালের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, আমরা ধোয়া তুলসি পাতা নই। আমরা সব সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সময়ে নিঃসন্দেহে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আগের চেয়ে অনেক বেশি। তবে সমস্যাটা হয়ে গেছে এমন, একটি সংবাদ গোষ্ঠী আরেকটি গোষ্ঠীকে আক্রমণ করে এবং তাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠীও জড়িয়ে পড়ে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় নানা মত থাকবে। কিন্তু সেটা গ্রহণ না করে সংবাদপত্র গুঁড়িয়ে দেওয়াটা আমরা সমর্থন করি না। সেটাকে আমরা গণতন্ত্র হিসাবে দেখি না।
তিনি সাংবাদিকদের দমন পীড়নের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমাদের সময় সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন অনেকটাই কম হয়েছে। তবে, দেশে এখন একটা পরির্তনের সময় চলছে,নানা রকম ঘটনা ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, একটা গণতান্ত্রিক দেশ গড়ে তুলতে হলে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সবার চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এমন যদি হয় যে, আমি যা ভাবছি বা যা বলছি, সেটাই ঠিক; এমনটা হলে হবে না। তেমনি একইভাবে কোনো গণমাধ্যম যদি আমার কথা বলে, তাহলে ঠিক আছে, আর আমার কথা না বললে ঠিক নেই, তাহলেও হবে না।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/আমর