ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:২১ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার পথে যারা বাধা দেবে, তারাই দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সবচেয়ে বড় শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
রোববার (৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে দেশের স্বাধীনতা সর্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যে দেশটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে শত্রুভাবাপন্ন দেশ হিসেবে দেখেছে, সেই ভারতের কোলে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ মতো এত বড় নির্মম ও নির্দয় চিহ্নিত গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত।
তিনি বলেন, বর্তমানে শেখ হাসিনা পলাতক অবস্থায় আছেন। তিনি এমন একটি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, যে দেশ বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে এবং সীমান্ত সিল করে রেখেছে। ফলে বাংলাদেশের জনগণ পার্শ্ববর্তী দেশে যেতে পারছে না। যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে এ গণহত্যাকারীদের লুটেরা এবং তাদের বন্ধুদের আমাদের রুখতে হবে। সজাগ থাকতে হবে। আর আমরা যদি সজাগ না থাকি তাহলে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ তখনই বিপন্ন হবে যখন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে জনগণ সম্পৃক্ত একটি সরকারের অনুপস্থিত থাকবে। মানুষের মধ্য দিয়ে যে সরকার আসবে সেই সরকারের দায়িত্ববোধ আর অনির্বাচিত অথবা অন্তর্র্বতীকালীন সরকার এর দায়িত্ববোধ এক হয় না।
শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, বাংলাদেশে এমন একটি সরকার ছিল, যারা টানা ১৫ বছর ধরে তথাকথিত নির্বাচনের নামে প্রহসনের মধ্য দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় ছিল। সেই সরকারই দেশের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক শক্তি। শেখ হাসিনা তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেকে জাতির ও বিশ্ববাসীর কাছে গণদুশমন ও গণবিরোধী শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে এত বড় ফ্যাসিবাদী, গণহত্যাকারী ও লুটপাটকারী শাসন কখনো দেখা যায়নি।
ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, এই বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে, স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে আমাদের পরীক্ষিত নেতৃত্ব দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে হবে। তারা গত ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই নেতৃত্বের প্রতি আমাদের সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থাকলে আমরা সবাই থাকব। বাংলাদেশ থাকলে একদিন সব সমস্যার সমাধান হবে। বাংলাদেশ থাকলে থাকবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, থাকবে স্বাধীনতার জন্য রক্ত দেওয়া লক্ষ মানুষের স্মৃতি। বিশ্বের সামনে বাংলাদেশ তখনও থাকবে একটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতার সংগ্রামে গৌরবময় দেশ হিসেবে।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে রক্ষা করি, স্বাধীনতাকে রক্ষা করি এবং পূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপত্বিতে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়ছার লিংকন, চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দীন কবির, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ