একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, একটি দলকে সরিয়ে অন্য দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য চব্বিশ সালের গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়নি। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, মৌলিক এবং গঠনমূলক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অধিকার সুরক্ষিত রেখে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এনসিপি সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, বিচারব্যবস্থা এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ জাতির সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন। এটি আমাদের অঙ্গীকার এবং এই অঙ্গীকার রক্ষা করতে হবে। যাতে বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরতান্ত্রিক বা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে পথ আমাদের বন্ধ করতে হবে। আমরা একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রত্যাশা করি।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দলে সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার তুষার, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিনসহ আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রামের রাউজানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রাণ হারানো আব্দুল হাকিম বিএনপির কেউ নন বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানান তিনি।রিজভী বলেন, রাউজানের মদুনাঘাট ব্রীজ সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুস্কৃতিকারিদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনায় মো: আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হন। উল্লিখিত সহিংস ঘটনা সম্পূর্ণরূপে সমাজবিরোধী কিছু দূর্বৃত্ত চক্রের পরিকল্পিত হিংস্র কর্মকাণ্ড। এর সঙ্গে রাজনীতি বা বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। নিহত ব্যক্তি ও দুস্কৃতকারীদের কেউই বিএনপির নেতাকর্মী নন। কয়েকটি গণমাধ্যমে নিহত ব্যক্তিকে বিএনপির কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরুপে ভিত্তিহীন।তিনি বলেন, এই সহিংস ঘটনা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির একটি বড় ধরণের নজির। এই রক্তাক্ত ঘটনা ওই এলাকার জনমনে উদ্বেগ ও ভীতির সঞ্চার করেছে। বর্তমানে মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, চারিদিকে অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা ও হতাশা বিরাজমান, যা এই বর্তমান সরকারের কাছ থেকে জনগণ প্রত্যাশা করে না। জনপ্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার কারণেই দুস্কৃতিকারীরা অপকর্মে মেতে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি রাউজানের সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং অবিলম্বে এলাকায় আধিপত্যকামী দুস্কৃতকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাউজানের মদুনাঘাট ব্রিজ সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। নিহত হাকিম রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ‘হামিম অ্যাগ্রো’ নামে একটি গরুর খামারের মালিক ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো।বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৯টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় আমিরে জামায়াতের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি হেড অব মিশন ফেডরিকো জামপারেল্লি।জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, ইতালি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রদূত বৈঠকের শুরুতে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তার দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন।বৈঠকে তারা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশ-ইতালির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও টেকসইকরণ, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ দুই দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ইতালি দূতাবাসের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর মি. ফেদেরিকো জামপারেল্লি। আমিরে জামায়াতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশে গত বছর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।আর সেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি প্রায় ২০ বছর নির্বাসনে জীবন কাটাচ্ছেন। ৫৯ বছর বয়সী তারেক রহমান হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে এবং বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বর্তমানে কার্যত দলটির প্রধান নেতা। বিএনপি নেতাদের বিশ্বাস, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংসদীয় নির্বাচনে তারা জিততে পারে।যুক্তরাজ্যভিত্তিক আরেক গণমাধ্যম বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান এরই মধ্যে বলেছেন, সময় এসেছে, ইনশাআল্লাহ, আমি শিগগিরই ফিরে আসব। হয়ত কিছু ব্যক্তিগত কারণে এখনো ফিরতে পারিনি। কিন্তু আমার মনে হয়, সময় এসেছে।তিনি আরও বলেন, এটি এমন একটি নির্বাচন, যার জন্য মানুষ অপেক্ষা করছিল, আমি এই সময় নিজেকে দূরে রাখতে পারব না। ২০২৬ সালের এ নির্বাচনকে দেশটির জন্য অন্যতম ফলপ্রসূ নির্বাচন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি একটি অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।গত বছর ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলনের মুখে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে এ সরকার গঠন করা হয়। সেই আন্দোলন ও তৎকালীন সরকারের দমন অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জন প্রাণ হারায়।শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পলে ফলে দেশে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয়। এ সময় এ শূন্যতা পূরণে দায়িত্বে আসেন শেখ হাসিনার সমালোচক এবং নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার। পরে আওয়ামী লীগকে যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়।তারেক রহমান, যিনি জনপ্রিয়ভাবে তারেক জিয়া নামে পরিচিত, ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে তিনি নির্বাসিত ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে একাধিক মামলায় তাকে দণ্ডিত করা হয়। ২০০৪ সালে শেখ হাসিনার একটি জনসভায় গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমান নিজেকে দোষী হিসেবে স্বীকার করেননি। গত বছর শেখ হাসিনার উৎখাতের পর তার উপর থাকা সব অভিযোগ থেকে তিনি মুক্তি পান।তারেক রহমানের মা, ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া অসুস্থ এবং এখনো নিশ্চিত নয় তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন কি না।তারেক রহমান বলেন, তিনি সুস্থ অবস্থায় জেলে গিয়েছিলেন এবং অসুস্থ অবস্থায় ফিরে এসেছেন, তিনি যথাযথ চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। কিন্তু… যদি তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তিনি অবশ্যই নির্বাচনে কিছু না কিছু ভূমিকা রাখবেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্টভোরের আকাশ/মো.আ.
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।বুধবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ