নির্বাচন নিয়ে বিএনপির ভাবনা জানতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন: আমীর খসরু
বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আগামী দিনে বিএনপির চিন্তা ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে যেহেতু নির্বাচন হবে, এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বস্তি আছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকের বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী দিনে সংসদকে সহযোগিতা করতে চায় এবং প্রত্যাশা করে যে, স্বচ্ছভাবে সংসদ চলবে। এছাড়াও বিচার বিভাগের সচিবালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে তারা একমত এবং এর জন্য ফান্ডিং করতেও চায়।
তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী দিনে অনুদান ও ঋণের বাইরে গিয়ে উন্নয়নের অংশীদার হতে চায়।
সৌজন্য সাক্ষাতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে আলাপ-আলোচনার চেয়ে খাওয়া-দাওয়া বেশি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, চূড়ান্তভাবে আমরা একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব। তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের বীজ বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আমরা জানতাম ফ্যাসিবাদের পতন হবে। কিন্তু কবে, কখন ও কোন পদ্ধতিতে হবে—সেটা আমাদের জানা ছিল না।সংস্কার প্রশ্নে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি সহযোগিতা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, দশ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না—এ প্রস্তাবে বিএনপি একমত হয়েছে। এখানেই ফ্যাসিবাদকে রুখে দেওয়া হলো। এরপর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে সেটি হবে গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।সালাহউদ্দিন বলেন, গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরি। গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে মালিকের চাকরি না করে বিবেকের চাকরি করেন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ভোরের আকাশ/হ.র
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে উভয়পক্ষের এমপিরা স্বাধীনভাবে ভোট দেবেন—এমন প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনে বিএনপি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক ঐক্যের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, “আমরা যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি, তাতে সব দল একমত হয়েছে। আমরা আরেকটি প্রস্তাব দিয়েছি—রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে উভয়পক্ষের এমপিরা স্বাধীনভাবে ভোট দেবেন। এটা হবে একটি বিপ্লব। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছি, এটাও বড় ধরনের অর্জন। আমরা যদি প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্বাহী বিভাগকে আইনগত ও সাংবিধানিকভাবে সীমাবদ্ধ করি, তাহলে নির্বাহী বিভাগ দুর্বল হয়ে পড়বে এবং রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে।”সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখতে হবে। এজন্য আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি। স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। এই ব্যবস্থায় একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করলে স্বৈরাচারের উৎপত্তি রোধ করা সম্ভব।”তিনি বলেন, “নির্বাহী বিভাগকে খর্ব করার মাধ্যমে নয়, বরং একে তার নিজস্ব দায়িত্ব পালনে সক্ষম করতে হবে। বিচার বিভাগ ও আইনসভাকেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।”সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সব গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে, যাতে তারা নিজ নিজ এখতিয়ার অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। তখন আর এই দেশে স্বৈরাচারের পুনঃউত্থান ঘটবে না।”সব রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা কেউ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র, কেউ অকল্যাণমূলক রাষ্ট্র চান—এমন যেন না হয়। আমাদের সবাইকে একটি সাধারণ আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তা হলো জনগণের মুক্তি, বৈষম্যহীন, সাম্যভিত্তিক ও মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন সমাজব্যবস্থা গঠন। শুধু ভাষণে নয়, বাস্তব কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “আমরা সংস্কার নিয়ে অনেক কথা বলছি, কিন্তু কেউ হতাশা প্রকাশ করছেন না। কারণ, আমরা আশাবাদী মানুষ। আলোচনা চলছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এক জায়গায় ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব। আমরা বলেছি—বাংলাদেশে কেউ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রিত্ব করতে পারবে না। এভাবেই স্বৈরাচারকে রুখে দেওয়া সম্ভব।”আলোচনায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য এখনই দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচনকে দাপটমুক্ত করতে হলে ধর্মের অপব্যবহার, প্রশাসনের দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে।”তিনি জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্দেশে বলেন, “তাদের উদ্দেশ্য কী, সেটা স্পষ্ট নয়। গত ১৬ বছর দেশের জনগণ ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করেছে। কেউ স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে গেলে এক থেকে দুই বছর সময় লাগবে। এসব খেলা বন্ধ করতে হবে। দড়ি নিয়ে বেশি টানাটানি করবেন না, কারণ দড়ি ছিঁড়ে যেতে পারে।”আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।ভোরের আকাশ/হ.র
বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আগামী দিনে বিএনপির চিন্তা ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে যেহেতু নির্বাচন হবে, এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বস্তি আছে।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।বৈঠকের বিষয়ে আমীর খসরু বলেন, শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী দিনে সংসদকে সহযোগিতা করতে চায় এবং প্রত্যাশা করে যে, স্বচ্ছভাবে সংসদ চলবে। এছাড়াও বিচার বিভাগের সচিবালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে তারা একমত এবং এর জন্য ফান্ডিং করতেও চায়।তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী দিনে অনুদান ও ঋণের বাইরে গিয়ে উন্নয়নের অংশীদার হতে চায়।সৌজন্য সাক্ষাতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। ভোরের আকাশ/হ.র
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে মাসব্যাপী নানা আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।তিনি জানান, আলোচনা সভা, রক্তদান, গ্রাফিতি অঙ্কন, পথ নাটক, ফুটবল প্রতিযোগিতা, শিশু অধিকারবিষয়ক অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমসহ মোট ২২টি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন রাখা হয়েছে এ কর্মসূচিতে।ঘোষিত কর্মসূচিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:১ জুলাই: চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা; উপস্থিত থাকবেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি এবং নিহত-আহত পরিবারগুলো।৩ জুলাই: জেলা পর্যায়ে ড্যাবের উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি।৫ জুলাই: ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট।৯ জুলাই: ফারজানা পুতুল ও সানজিদা তুলির ব্যবস্থাপনায় সেমিনার।১১ জুলাই: জাসাসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।১২ জুলাই: নিহত-আহত পরিবারের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করবেন তারেক রহমান।১৫ জুলাই: ঢাবির টিএসসিতে ছাত্রদলের আলোচনা সভা এবং শহীদ আবু সাঈদ ও ওয়াসিমকে স্মরণে কর্মসূচি (রংপুর ও চট্টগ্রামে)।১৮ জুলাই: ঢাকা মহানগর বিএনপির মৌন মিছিল এবং ওলামা দলের দোয়া মাহফিল।১৯ জুলাই: আইসিসিবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আলোচনা সভা, জিয়া উদ্যানে ও জেলায় বৃক্ষরোপণ, পেশাজীবী সংগঠনের সভা।২২ জুলাই: মহিলা দলের কর্মসূচি।২৩ জুলাই: শাহবাগে ‘জুলাইয়ে লাশের সারি’ শীর্ষক প্রতীকী স্তম্ভ ও ড্রিক গ্যালারিতে ফ্যাসিস্ট কার্টুন প্রদর্শনী।২৬ জুলাই: মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘রোড টু জুলাই’ শিরোনামে গ্রাফিতি ও গণসংগীত।২৭ জুলাই: বিভাগীয় শহরগুলোতেও একইধরনের কর্মসূচি।২৮ জুলাই: স্বেচ্ছাসেবক দলের ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা অভিযান; শিশুদের নিয়ে আলোচনা সভা।৩১ জুলাই: আইনজীবী ফোরামের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’।২ আগস্ট: ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ‘পালাবো না, কোথায় পালাবো?’ শীর্ষক পথ নাটক ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ।৩ আগস্ট: ছাত্র সমাবেশ, শহীদ মিনারে।৪ আগস্ট: যুবদলের উদ্যোগে কর্মসূচি।৬ আগস্ট: বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় বিজয় মিছিল।সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির নেতৃবৃন্দ—আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ইমরান সালেহ প্রিন্স, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শিরিন সুলতানা, কায়সার কামাল, যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন এবং মায়ের ডাকের সমন্বয়কারী সানজিদা তুলি। ভোরের আকাশ/হ.র