রাজনৈতিক কারণে সাম্যকে হত্যা, বললেন রিজভী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, শাহবাগে জাতীয় সংগীত বন্দের আন্দোলনের বিরুদ্ধে সাম্য একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলো। এটাই কী তাকে হত্যার কারণ? বিগত ১৬ বছর ছাত্রলীগের নিপীড়ন-নির্যাতন দেখেছি। এখন তো তারা নেই। তাহলে এখনও কেন ক্যাম্পাসে ছাত্রদের রক্ত ঝরছে? পুলিশকে গুরুত্বের সাথে বিষয়টিকে খতিয়ে দেখতে হবে।
এ সময় কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দল বা আদর্শের মানুষকে বিশেষ সুবিধা দিলে তার পরিণতি ভালো হবে না বলেও অন্তর্বর্তী সরকারকে হুশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলো শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, নীতি-আদর্শ পরিপন্থী ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানান।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। এ কারণে তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে। চাঁদার দাবিতে এক পোশাক কারখানার ব্যবসায়ীকে মুঠোফোনে কল করে কারখানা পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির কথোপকথনের একটি অডিও প্রকাশ পেয়েছে তাঁর। ওই কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বিমানবন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জে ফিরিয়ে আনতে পুলিশের একটি দলকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হচ্ছে।এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফতুল্লার এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর সাথে ফোনালাপের অডিও ফাঁস হলে তা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভোরের আকাশ/এসআই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।রিজভী বলেন, শাহবাগে জাতীয় সংগীত বন্দের আন্দোলনের বিরুদ্ধে সাম্য একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলো। এটাই কী তাকে হত্যার কারণ? বিগত ১৬ বছর ছাত্রলীগের নিপীড়ন-নির্যাতন দেখেছি। এখন তো তারা নেই। তাহলে এখনও কেন ক্যাম্পাসে ছাত্রদের রক্ত ঝরছে? পুলিশকে গুরুত্বের সাথে বিষয়টিকে খতিয়ে দেখতে হবে।এ সময় কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দল বা আদর্শের মানুষকে বিশেষ সুবিধা দিলে তার পরিণতি ভালো হবে না বলেও অন্তর্বর্তী সরকারকে হুশিয়ারি দেন তিনি।এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হন সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলো শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সম্মানে বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।বুধবার (১৪ মে) রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক নৈশভোজে রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারকে বিদায় জানানো হয়।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ১২টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা।আয়োজনে অতিথিদের স্বাগত জানান ড. মঈন খানের স্ত্রী মিসেস আব্দুল মঈন খান এবং অ্যাডভোকেট খন্দকার রোখসানা।বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, নৈশভোজে অংশগ্রহণকারী কূটনীতিকদের সঙ্গে দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে লক্ষ্য করে বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। ঘটনাটিকে ‘উগ্র ও হঠকারী আচরণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “এ ধরনের বর্বরতা গণতান্ত্রিক চর্চাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।”বুধবার (১৪ মে) রাত ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।হাসনাত বলেন, “সমালোচনা করা নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু শারীরিক লাঞ্ছনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এর কোনো যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা থাকতে পারে না। মাহফুজ আলম একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি হিসেবে সমস্যা সমাধানে এসেছিলেন। তাকে লাঞ্ছিত করা অত্যন্ত অনভিপ্রেত।”তিনি আরও বলেন, “মনে রাখা প্রয়োজন—আপনাদের প্রতিনিধিত্বের দাবিতেই তিনি আপনাদের সামনে এসেছেন। এ ধরনের আচরণ ভবিষ্যতে কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নৈতিক অবস্থানকেই দুর্বল করবে।”আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মাহফুজ আলম আইনি পথে হাঁটবেন কি না, তা তার সিদ্ধান্ত। তবে আন্দোলনের নেতৃত্বের উচিত প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করা এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া।”এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এনসিপি নেতা। তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর উপদেষ্টারা দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। তারা ছাত্র উপদেষ্টাদের সামনে ঠেলে দিয়ে নিজেদের দায়সারা ভাব দেখাচ্ছেন।”বিশেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও এখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সরকারকে অবশ্যই এর ব্যাখ্যা দিতে হবে।”ভোরের আকাশ//হ.র