নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ০৫:৩৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য একটি ইলেকটোরাল কলেজ গঠনের বিষয়ে প্রায় সব দলই একমত পোষণ করেছে। এই কলেজের সঠিক কাঠামো কি হবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রস্তাবিত দুটি কক্ষবিশিষ্ট সংসদের (উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ) সদস্যদের পাশাপাশি জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশনের একজন করে প্রতিনিধির সমন্বয়ে মোট ৫৭৬ সদস্যের একটি ইলেকটোরাল কলেজ গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সব পর্যায়ের ৭০ হাজার জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি বৃহত্তর ইলেকটোরাল কলেজের ধারণাও আলোচনায় এসেছে।
একইসঙ্গে ৭০ অনুচ্ছেদে সংস্কার এনে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরির বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে। অর্থাৎ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ এবং গোপন ব্যালটে নির্বাচন- এই দুটি বিষয়ে মোটা দাগে ঐকমত্য হয়েছে বলে তিনি জানান।
জোনায়েদ সাকি দৃঢ়ভাবে বলেন, তারা মনে করেন, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বৈঠকটি ছিল জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের তৃতীয় দিনের প্রথম পর্বের সভা।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান, রাষ্ট্রের মূলনীতি ও নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ বিষয়ে আয়োচনা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ