বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির ওপর পরিকল্পিতভাবে সাইবার হামলা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তার পেছনে রয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট ও সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। সেই চক্রান্তের লক্ষ্য- বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। তাকে খারাপ জায়গায় ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা। তবে বিএনপিকে এত সহজে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। বিএনপি বারবার প্রমাণ করেছে, ধ্বংসস্তূপের মাঝ থেকে জেগে উঠতে পারে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘তারেক রহমান: দ্য হোপ অব বাংলাদেশ’ নামের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বইটি সম্পাদনা করেন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কারাগারে বিএনপি নেতাদের টাকার লোভ দেখানো হয়েছে, কেউই যায়নি। এটা দলের শক্তি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আক্রমণ হয়েছে, যা অ্যালার্মিং। একটা মারাত্নক আক্রমণের শিকার আমরা। সাইবার অ্যাটাক হয়েছে আমাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে হেয় করবার জন্য, বিএনপিকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, 'সবচেয়ে মারাত্মক যেটা সেটা হচ্ছে প্রথমবারের মতো এবার আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আক্রমণ হয়েছে। তার নাম ধরে, তার কথা বলে, তাকে বিভিন্নভাবে ছোট করে কথা বলা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা ক্যাম্পেইনের জবাব সাথে সাথে দিতে হবে। দলের মধ্যে বারবার বলেছি, কিন্তু সেরকম গুরুত্ব পায়নি।
'এখন মিডিয়া পাল্টে যাচ্ছে। এখন খবরের কাগজ, ইলেকট্রনিক মিডিয়াই শুধু আমাদের প্রভাবিত করছে না। আমাদের সোশাল মিডিয়া প্রচণ্ড প্রভাবিত করছে মানুষকে। সেইসঙ্গে সাইবার ওয়ার্ল্ডের যুদ্ধ, সেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতির ব্যাপারে বারবার বলেছি। এ জায়গায় আমরা খুব দুর্বল। এই জায়গাটি আরও সবল করা দরকার,' বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, 'আইটি সেক্টরে তরুণদের আরও বেশি যুক্ত হওয়া দরকার। কারও অনুমতির অপেক্ষায় থাকার দরকার নাই। যে ক্যাম্পেইন চলছে, সেই ক্যাম্পেইনগুলোর উত্তর সাথে সাথে দেওয়ার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।'
'বিএনপির বড় দুর্বলতা বই না পড়া' উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আমাদের খুব বড় দুর্বলতা আছে। এটা স্বীকার করবেন কি না জানি না। আমরা পড়তে চাই না। পড়াশোনা আমাদের কাছে বিষয় না। এটাকে বদলাতে হবে। পড়তে হবে আমাদের সবাইকে।'
'পড়াশোনা যত ভালো হবে, লড়াইটা তত শক্তভাবে করা যাবে। এই কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। পড়তে হবে আমাদের সব বিষয়ে। ওরা কী বলছে সেটাও পড়তে হবে, ওরা কোন জায়গায় আক্রমণ করছে সেটাও জানতে হবে, একইসঙ্গে এর জবাব কী হবে তাও জানতে হবে,' বলেন বিএনপি মহাসচিব।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। চলতি মাসের মধ্যেই এসব আসনে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে। দলীয় সূত্র বলছে, বাকি আসনগুলোর কিছু জোট ও সমমনাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে, আর বাকিগুলোতে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া এখনও চলমান।দলীয় সূত্র জানায়, নভেম্বরে ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে বিএনপি ও তাদের জোট। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।গত সোমবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রার্থী চূড়ান্তের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।বৈঠকে নেতারা জানান, অধিকাংশ আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন—কোনো কোনো আসনে ১৫ থেকে ২০ জন পর্যন্ত। সেখান থেকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও তরুণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সিনিয়র কিছু নেতা বাদ পড়লেও যাতে দলীয় কোন্দল না হয়, সে বিষয়েও নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।দলীয় সূত্র জানায়, মনোনয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্তে ইতোমধ্যে পাঁচ দফা জরিপ সম্পন্ন করেছে বিএনপি। ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত এই জরিপগুলো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পরিচালিত হয়েছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা তৈরি করছেন তারেক রহমান।স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি, তবে প্রক্রিয়া চলছে। কখন ও কীভাবে প্রার্থীদের নাম জানানো হবে, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।”সমমনা ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে বিএনপি। সেপ্টেম্বরে শরিক দলগুলোর কাছে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা চাওয়ার পর এখন আলোচনা চলছে। সূত্র জানায়, অধিকাংশ শরিক দলই তালিকা জমা দিয়েছে, কেবল দু-একটি দল এখনো চূড়ান্ত করেনি।সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শরিকদের জন্য প্রায় ৫০টি আসন ছাড়ার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে আসনসংখ্যা চূড়ান্ত হবে দর-কষাকষির মাধ্যমে। স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রত্যেক আসনেই বিএনপির একাধিক যোগ্য প্রার্থী আছে। অনেক আসনে ১০-১২ জন পর্যন্ত মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন।”একই বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে সংসদ নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি।নেতারা মনে করেন, সংবিধানে গণভোট আয়োজনের বাধা এখন আর নেই। সরকার চাইলে অধ্যাদেশ বা নির্বাচনী আইনে সংশোধন এনে নির্বাচন কমিশনকে একই দিনে গণভোটের ক্ষমতা দিতে পারে। এতে সময় ও অর্থ—উভয়ের সাশ্রয় হবে বলে মত দিয়েছেন তারা।তবে জামায়াতে ইসলামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আলাদা গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা নিয়ে কমিটিতে আলোচনা হয়। বিএনপি নেতারা মনে করেন, পৃথক গণভোট আয়োজনের ফলে নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে এবং জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে।ভোরের আকাশ//হর
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠিত হওয়ায় তারা সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন।আইন সংশোধনের মাধ্যমে নতুনভাবে সংযোজিত বিধান অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার কিংবা থাকা—দুই ক্ষেত্রেই অযোগ্য বিবেচিত হবেন।সোমবার (৬ অক্টোবর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এ ধরনের অভিযোগের মুখোমুখি কোনো ব্যক্তি স্থানীয় সরকার সংস্থার সদস্য, চেয়ারম্যান, মেয়র, প্রশাসক বা কমিশনার পদেও নির্বাচিত বা নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারবেন না। একইভাবে তিনি প্রজাতন্ত্রের কোনো চাকরিতে বা সরকারি দায়িত্বেও নিয়োগ পাওয়ার অযোগ্য হবেন।তবে কেউ যদি ট্রাইব্যুনালে অব্যাহতি বা খালাস পান, সেক্ষেত্রে এই বিধান তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের পর ইতোমধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ফলে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের আইনি পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।ভোরের আকাশ//হর
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার একটি ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দেশের শিক্ষক সমাজকে এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘শিক্ষক মহাসমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। বিএনপি-সমর্থিত শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের আয়োজনে এই সমাবেশে বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা, অবসর বয়স ৬৫ বছর নির্ধারণ, নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি তোলা হয়।ফখরুল বলেন, “আজ একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে—যাতে নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করা যায়। কেউ যেন সেই সুযোগ নিতে না পারে, সেদিকে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে।”তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটাই—শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সেই সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমাদের পথও একটাই, আর তা হলো সেই বাংলাদেশ নির্মাণের পথ।”বিএনপি মহাসচিব জানান, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি ও অধিকার বাস্তবায়নের বিষয়গুলো দলের ৩১ দফা কর্মসূচিতেও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নৈতিকতা ও আদর্শে গড়ে তুলুন, যেন তারা সত্যিকার অর্থেই আধুনিক ও মানবিক সমাজ নির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারে।”সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম আমানুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দারসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষক নেতারা বক্তব্য রাখেন।সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আফরোজা বেগম রীতা ও দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ//হর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে নায়েবে আমিররা, সেক্রেটারি জেনারেল ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলরাসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা অংশ নেন। বৈঠকে দেশের বর্তমান সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জনগণের প্রত্যাশা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে উদ্ভূত প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় বলে জামায়াতের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।এতে আরো জানানো হয়েছে, বৈঠকে জুলাই জাতীয় সনদকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি স্বীকৃতি দিয়ে তার আলোকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানানো হয়।বৈঠকে আরো বলা হয়, দেশের জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করে। তাই আমরা সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ ও স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।এ লক্ষ্যে পূর্বঘোষিত ৫-দফা দাবি আদায়ের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে।পরিশেষে বৈঠকে দেশ ও জাতির কল্যাণ, ন্যায় ও সত্যের প্রতিষ্ঠা এবং আগামীর বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ