ফাঁসি, নির্যাতনের পরও জামায়াত পালায় নাই: এটিএম আজহারুল ইসলাম
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনকে ফাঁসি ও নির্যাতন করে শেষ করা যায় না। আজকে কারা পালিয়েছে, জামায়াত পালায় নাই। জামায়াতের নেতারা পালায় না। আমাদেরকে উপড়ে ফেলতে পারবেন না। যাদের ঠিকানা অন্য দেশে, তারা পালিয়ে গেছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ১৪ বছর জালিমের কারাগারে বন্দি ছিলাম। আমিও নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমি ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে থেকে আজ লাখো জনতার এই মহাসমুদ্রে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাকে হত্যার আয়োজন করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সরকারকে বলতে চাই, আমাদের ১০ জন ভাইকে কারাগারে হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিচার করতে হবে। তারা শোষণ নির্যাতন থেকে মানুষকে মুক্ত করতে চেয়েছিল এটাই তাদের অপরাধ। তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
জামায়াতে ইসলামী সৎ লোক তৈরির চেষ্টা করছে উল্লেখ করেএটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, তাদের (জামায়াতের) মন্ত্রীরা পাঁচ বছরের শাসনে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ দেননি। এ ধরনের সৎ লোকেরাই যদি আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসেন এবং সংসদে আল্লাহর আইন পাস করেন, তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।
তিনি বলেন, এ ৫৪ বছরে বাংলাদেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি, জনগণের নেতার ভাগ্যে পরিবর্তন হয়েছে, তাদের অনেক বাড়ি-গাড়ি হয়েছে, কিন্তু জনতার ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
শেখ হাসিনা জাতির কলঙ্ক, তাকে ক্ষমা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে কখনো ক্ষমা করা যাবে না।রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।এক শহীদ মায়ের আহাজারির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এক মা তার সন্তানের স্বপ্ন দেখেছিলেন পরিবার দেখেছিল ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই সন্তানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পড়ে গেলে একটি ভ্যানে তোলা হয়, মরে গেছে কি বেঁচে আছে তা না দেখেই আরও লাশসহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এটা কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে না।এমন নিষ্ঠুর ও অমানবিকতার জন্য হাসিনাকে কখনো ক্ষমা করা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনাকে কোনদিন ক্ষমা করা যাবে না। হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক। হাসিনা মায়েরদের কলঙ্ক। আমাদের প্রথম কাজ হবে এদের বিচার করা। দ্বিতীয় কাজ হবে শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসন করা। যারা আহত হয়েছে তাদের উন্নত চিকিৎসা দিয়ে পুনর্বাসন করা। এটা না হলে ভবিষ্যত জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছি একটি স্বাধীন দেশের জন্য। অথচ সেই রাষ্ট্রের পুলিশ, প্রশাসনযাদের বেতন আমরা দেই, তারা আজ আমাদের সন্তানদের হত্যা করছে, পুড়িয়ে মারছে। এটা নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা, আর সেই অপরাধের দায় থেকে হাসিনা রেহাই পেতে পারেন না।তিনি আরও বলেন, বিএনপি তাদের মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, সব মানুষের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ জাতি গঠন করতে চায়। যাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের সবার শ্রদ্ধা থাকতে হবে। শহীদের জন্য কিছু করতে না পারলে, জাতি কখনো আমাদের ক্ষমা করবে না।নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন দেবে বলে আশা করি। গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকলে সবাইকে নিয়েই ‘রেইনবো নেশন’ গঠন করতে চায় বিএনপি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনকে ফাঁসি ও নির্যাতন করে শেষ করা যায় না। আজকে কারা পালিয়েছে, জামায়াত পালায় নাই। জামায়াতের নেতারা পালায় না। আমাদেরকে উপড়ে ফেলতে পারবেন না। যাদের ঠিকানা অন্য দেশে, তারা পালিয়ে গেছে।শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, ১৪ বছর জালিমের কারাগারে বন্দি ছিলাম। আমিও নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমি ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে থেকে আজ লাখো জনতার এই মহাসমুদ্রে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমাকে হত্যার আয়োজন করা হয়েছিল।তিনি বলেন, সরকারকে বলতে চাই, আমাদের ১০ জন ভাইকে কারাগারে হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিচার করতে হবে। তারা শোষণ নির্যাতন থেকে মানুষকে মুক্ত করতে চেয়েছিল এটাই তাদের অপরাধ। তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।জামায়াতে ইসলামী সৎ লোক তৈরির চেষ্টা করছে উল্লেখ করেএটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, তাদের (জামায়াতের) মন্ত্রীরা পাঁচ বছরের শাসনে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ দেননি। এ ধরনের সৎ লোকেরাই যদি আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসেন এবং সংসদে আল্লাহর আইন পাস করেন, তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।তিনি বলেন, এ ৫৪ বছরে বাংলাদেশের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি, জনগণের নেতার ভাগ্যে পরিবর্তন হয়েছে, তাদের অনেক বাড়ি-গাড়ি হয়েছে, কিন্তু জনতার ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে অনেকটাই সুস্থ আছেন এবং হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই তথ্য জানান।ফেসবুক পোস্টে ডা. শফিক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এখন আমি অনেকটাই সুস্থ। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশ্রামের জন্য বাসায় এসেছি।তিনি সমাবেশে তার অনুপস্থিতিতে সৃষ্ট বিঘ্নের জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এটি আমার ইচ্ছাকৃত নয়। মহান আল্লাহ নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোনো কল্যাণ রেখেছেন।অসুস্থতার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশ-বিদেশের বহু নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং বিশিষ্টজনদের দোয়া ও খোঁজখবরে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।তিনি জানান, হাসপাতালে থাকার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, খেলাফত মজলিসের আমির হযরত মাওলানা আব্দুল বাসিত আজাদ, মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সরাসরি খোঁজ নিয়েছেন।সরকারের উপদেষ্টা পর্যায়ের একাধিক ব্যক্তিও তার খোঁজ নিয়েছেন বলে জানান তিনি। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান লেখেন, আমি তাদের সকলের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। দোয়ার জন্য ঋণী। তাদের এ ভালোবাসা ও আন্তরিকতার প্রতিদান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন সকলকে দান করেন।স্ট্যাটাসের শেষাংশে তিনি মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা জানিয়ে লেখেন, রাব্বুল আলামিন তার এ গোলামকে বাকি জিন্দেগি তার পছন্দমত মানবতার জন্য কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।উল্লেখ্য, শনিবার (১৯ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই প্রধান অতিথির বক্তব্য জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে আবারও ‘ভয়ের সংস্কৃতি’ গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, মত প্রকাশের অধিকার হরণ করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যা গণতন্ত্রবিরোধী।শনিবার (১৯ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।নাহিদ ইসলাম জানান, “কক্সবাজারের চকরিয়ায় আমাদের কর্মসূচিতে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা সম্প্রীতি ও সংহতির বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও হুমকির মুখে। কেউ যদি নতুন করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চায়, তাহলে জনগণ আবার রাজপথে নামবে।”তিনি আরও বলেন, “যারা গণহত্যা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে এবং জনগণকে অধিকারহীন করেছে—তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে, ন্যায়বিচার থাকবে। নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের প্রয়োজন।”জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি কোনো সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না, বরং এটি ছিল একটি নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে জনগণের গণবিস্ফোরণ। সরকার বদলালেও ব্যবস্থা বদলায়নি। আমাদের আন্দোলন সেই ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য।”নাহিদ ইসলাম জানান, ইনসাফভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচি দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে চায় এনসিপি। বান্দরবানের মতো পার্বত্য অঞ্চলেও তারা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে চায়।পথসভাটি সঞ্চালনা করেন দলের মুখ্য সম্পাদক আছাইম সায়েম হোসেন ও জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক লুক চাকমা। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—হাসনাত আবদুল্লাহ, ডা. তাসনিম জারা, জোবায়েরুল হাসান আরিফ, সামান্তা শারমিন, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমন সৈয়দ, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ, এবং বান্দরবানের জেলা প্রধান সমন্বয়ক শহীদুর রহমান সোহেল।এর আগে রাত ৮টা ২২ মিনিটে কক্সবাজার থেকে সড়কপথে বান্দরবান সদরে পৌঁছান দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে তারা বাসস্টেশন থেকে প্রধান সড়ক ধরে পদযাত্রা করে ট্র্যাফিক মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে সমাবেশে অংশ নেন।ভোরের আকাশ//হ.র