জরুরি যৌথসভা ডেকেছে বিএনপি
জরুরি যৌথসভা ডেকেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা ২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উপস্থিত থাকবেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক/সদস্য সচিবরা।
যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, অল্পসময়ের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আদালত ঘোষিত ইশরাক হোসেনকে শপথ গ্রহণ করানোর ব্যবস্থা হোক। তা নাহলে ঢাকার চলামান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হয়তো আরও বৃহত্তর আন্দোলন হতে পারে। সোমবার বিকালে তিনি সিলেট নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে সিলেট বিভাগে বিএনপির নতুন সদস্য সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ঢাকার রাজপথে নগরভবনে আজকে কয়েকদিন যাবত জনগণ ঘেরাও করে রেখেছে। আল্টিমেটাম দিয়েছে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে। আদালতের রায়ে যিনি মেয়র হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন যার নামে গেজেট প্রকাশ করেছে আদালতের রায় মেনে তাকে আপনারা শপথ গ্রহণ করাবেন না। বিভিন্ন রকমের কলাকৌশল করছেন। তাহলে কি এটা আইনের শাসন হলো?সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই সংস্কারের ফল আমাদের পেতে হলে একটি নির্বাচিত সংসদের বিকল্প নেই। আমরা নির্বাচনের কথা বললে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব নারাজ হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন দাবি করবে না? তো কী দাবি করবে? কিছু কিছু উপদেষ্টা বলছেন তারা নাকি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত। গণঅভ্যুত্থান নাকি তাদের নির্বাচিত করেছে। তারা যদি সেভাবে নির্বাচিত হয়ে যায় বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা কেন আছে? নির্বাচন কমিশনের কাজ কী? এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক পন্থায় হাঁটছেন। আপনারা কথা বলছেন গণতন্ত্রের বিপরীত ভাষায়। আপনারা কাজ করছেন আইনের শাসনের বিরুদ্ধে। সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, বিএনপি থাকলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে, বিএনপি দুর্বল হলে বাংলাদেশ দুর্বল হবে। বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হত না। বিএনপি সুসংগঠিত না থাকলে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হত না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু হতো না। তাই বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার।বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছের সভাপতিত্বে ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম. রাসেদুজ্জামান মিল্লাত। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী ও এম.এ মালিক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসমবায়-বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার।সভায় সূচনা বক্তব্য দেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে দায়িত্বে) তারিকুল আলম তেনজিন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম. নাসের রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি শেখ সুজাত মিয়া, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি আহ্বায়ক ফজলুল করিম ময়ুন, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনো অরাজনৈতিক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে বাজেট সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। সিপিডি ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এ বৈঠক আয়োজন করে।অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যপরিধির প্রতি ইঙ্গিত করে এ সরকারের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, এখন মানবিক করিডোরের কথা বলছেন। এটি সেনসেটিভ ইস্যু, বাংলাদেশের সিকিউরিটির প্রশ্ন। জিও স্ট্যাটিজিক ডিসিশন। আপনারা তো এই ডিসিশনের দিকে যেতে পারেন না।তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে ডিসিশনে যাচ্ছেন। একটা নন-পলিটিক্যাল গভর্নমেন্ট, একটা ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের কি এসব সিদ্ধান্তে যাওয়ার দরকার আছে?বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, একটা ডেমোক্র্যাটিভ সিদ্ধান্তের জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে। দেশের মালিকানা ফেরানোর জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেই আলোচনা বাদ দিয়ে বাকি সবকিছু আমরা করছি। এসবের মাধ্যমে আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) কী প্রমাণ করতে চাচ্ছেন?অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ইন্টেরিম সরকারের ওপর খুব বেশি প্রত্যাশাও নেই। কারণ, এ ধরনের সরকারের কিছু লিমিটেশন আছে। তারা জনগণের মেন্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে না। তারা পাবলিক ফিডব্যাক, জনগণ ও বিজনেস কমিউনিটির নার্ভ ফিল করতে পারে না।তিনি বলেন, এই সরকারের ওপর মানুষের যেটুকু এক্সপেকটেশন সেটা একটু ভিন্ন। ডেমোক্র্যাটিভ অর্ডারে ফিরে যাওয়ার জন্য যে কাজগুলো করা দরকার সেটাই হচ্ছে এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু আমরা সেখানে কতটুকু এগোচ্ছি?ভোরের আকাশ/এসএইচ
জরুরি যৌথসভা ডেকেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা ২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হবে।বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।উপস্থিত থাকবেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক/সদস্য সচিবরা।যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব।ভোরের আকাশ/আজাসা
জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ দেশের সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি মনে করেন, এ ধরনের নির্বাচন কয়েকটি দিক থেকে দেশের জন্য উপকারী হবে।সোমবার (১৯ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এই দাবি তুলে ধরেন এবং স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের তিনটি মূল উপকারিতার কথা উল্লেখ করেন।সারজিস আলম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হলে বিএনপির ইশরাক হোসেনের মতো যোগ্য প্রার্থীরা তুলনামূলক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। এতে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে প্রকৃত জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা সম্ভব হবে।তিনি বলেন, বর্তমানে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে জনগণের সেবা ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয় নির্বাচন হলে সেই সেবা কার্যক্রম পুনরায় সচল হবে।দ্বিতীয় উপকারিতা হিসেবে সারজিস উল্লেখ করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের জন্য একটি লিটমাস টেস্ট হিসেবে কাজ করবে। এতে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কতটা নিরপেক্ষ ও দক্ষভাবে কাজ করছে তা মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে। ফলে জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংশোধনী গ্রহণ করা যাবে, যা সরাসরি জাতীয় নির্বাচনে সম্ভব নাও হতে পারে।তৃতীয়ত, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত ‘মাই ম্যান’ নয়, বরং প্রকৃত জনপ্রিয় ব্যক্তি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এতে চাঁদাবাজ, তেলবাজ বা ক্ষমতার অপব্যবহারকারীরা জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসতে পারবেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন।সারজিস আরও বলেন, বিএনপি বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। দলটির জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে অনেক নেতারই নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নেতারাই বেছে নেওয়া সম্ভব হবে।পোস্টের শেষে তিনি স্পষ্ট করে দেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের এই দাবি যেন জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হিসেবে ব্যাখ্যা না করা হয়। প্রয়োজনে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ আগেই নির্ধারণ করে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।ভোরের আকাশ//হ.র