নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৫ ১১:৪৭ পিএম
এপ্রিল ফুল নয়, নির্বাচন হতে হবে ডিসেম্বরে—১২ দলীয় জোটের দাবি
চলতি বছরের ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। তারা বলছে, দেশের জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পেতে যে আন্দোলনে নেমেছে, তা ‘এপ্রিল ফুল’ উদযাপনের জন্য নয়। তাই রাজনৈতিক, সামাজিক ও আবহাওয়াগত দিক বিবেচনায় ডিসেম্বরই নির্বাচন আয়োজনের উপযুক্ত সময়।
শনিবার (৭ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোটের নেতারা এই দাবি জানান।
নেতারা বলেন, “এপ্রিল মাসে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি শুনে মনে হয় যেন এটি একটি ‘এপ্রিল ফুল’ হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে। এপ্রিল মাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া অনিশ্চিত থাকে—একদিকে কালবৈশাখী, অন্যদিকে খরা। রমজান শেষ হওয়ার ঠিক পরেই নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি বাস্তবসম্মত নয়। এসব কারণে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন এপ্রিলের নির্বাচন চাচ্ছেন, সেটি স্পষ্ট নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কাকে খুশি করতে চাইছেন? তার এই অবস্থান রাজনৈতিকভাবে সন্দেহজনক। আমরা মনে করি, দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো একক ব্যক্তি এমন সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না।”
বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট ড. ইউনূসের একটি সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি ব্যবস্থাপনার হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এবং যারা এর বিরোধিতা করবে, তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা—এই বক্তব্য একজন প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে অনুচিত ও অগ্রহণযোগ্য। এতে তার নিরপেক্ষতা ও দেশপ্রেম প্রশ্নের মুখে পড়েছে।”
জোট নেতারা বলেন, “ড. ইউনূস আদৌ বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠেছে। দেশের জনগণই ঠিক করবে তিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন কিনা। ঈদের পর তার বক্তব্যের বিষয়ে আমরা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেব।”
তারা আরও বলেন, “দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকেই ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন আয়োজনের কথা বলা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন হবে।”
এদিন বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মুখপাত্র এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা (বাংলাদেশ জাতীয় দল), ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম), রাশেদ প্রধান (জাগপা), লায়ন ফারুক রহমান (লেবার পার্টি), শামসুদ্দীন পারভেজ (কল্যাণ পার্টি), মাওলানা আব্দুর রকিব (ইসলামী ঐক্যজোট), আবুল কাশেম (ইসলামিক পার্টি), এম এ মান্নান (নয়া গণতান্ত্রিক পার্টি), এবং ফিরোজ মো. লিটন (প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল–পিএনপি)।
ভোরের আকাশ//হ.র