ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জন্য পুরনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ পুনরায় বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে দলটি।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) নির্বাচন কমিশন থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নামীয় দলের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন দলীয় প্রতীকসহ পুনর্বহাল করা হলো।
২০০৮ সালে দলটিকে ১৪ নম্বর দল হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের দলটির নিবন্ধন বাতিল করে সংস্থাটি।
এর আগে ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক প্রশাসনিক আদেশের দলটির প্রতীক দাঁড়িপাল্লা বাতিল করে ইসি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শুধু একাত্তর নয়, ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যত মানুষ কষ্ট পেয়েছেন, কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন সেই সকল মানুষের কাছে মানুষগুলো তাদের সকলের কাছে আমি বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়েছি। সম্প্রতি একটি টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।তাকে প্রশ্ন করা হয়, ‘যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার পর আপনি একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন- জামায়াতে ইসলামী বা তার কোন নেতাকর্মীর মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে তার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই। এই ক্ষমা প্রার্থনায় কি মুক্তিযুদ্ধের সময়টাও আছে কিনা সেটা সেদিন আপনি স্পষ্ট করেননি।আজকে এটা স্পষ্ট করবেন কি? অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে জামাতের আমির ক্ষমা কিসের জন্য চাইলেন?’জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, শুধু একাত্তর নয়, ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যত মানুষ কষ্ট পেয়েছেন, কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন সেই সকল মানুষের কাছে মানুষগুলো তাদের সকলের কাছে আমি বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়েছি।ড. শফিকুর রহমান বলেন, ব্যক্তি হিসেবে মানুষ যেমন ভুল করতে পারে, মানুষের সমষ্টি একটি দলেরও ভুল সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। কোনটা ভুল কোনটা সঠিক সেটা ইতিহাস নির্ধারণ করবে। আজকে যেটাকে ভুল বলা হচ্ছে কাল সেটাই হয়তো সবচেয়ে বড় সঠিক হিসেবে প্রমাণিত হবে।তিনি বলেন, আমরা আদর্শবাদী একটা দল। আমরা বিশ্বাস করি আমরা মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নই। আমাদের দ্বারা, আমাদের সহকর্মীদের দ্বারা মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কষ্ট পেতে পারে, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমি সবকিছুর জন্য কোন শর্ত আরোপ না করেই মাফ চেয়েছি।মাফ চাওয়ার মধ্যে কোন পরাজয় নেই, লজ্জা নেই। তিনি বলেন, আমার মানবিক মূল্যবোধ এবং দায়িত্বের জায়গা থেকে মাফ চেয়েছি। ভোরের আকাশ/জাআ
বরিশাল মহানগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তারা।পদত্যাগকারীরা হলেন—মহানগর কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদ ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক জান্নাত আরা রিয়া এবং সংগঠক অনন্যা ইসলাম এশা।বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, সংগঠনটি যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পথচলা শুরু করেছিল, তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’তে (এনসিপি) যোগ দিয়ে সাংগঠনিক শূন্যতা সৃষ্টি করেছেন। এছাড়া তারা ‘লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে’ জড়িয়ে আন্দোলনের মূল চেতনা ও জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন বলেও দাবি করেন।পদত্যাগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের জেলা ও মহানগর পর্যায়ের কিছু নেতা দুর্নীতি, মামলা ও দখলবাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তারা আন্দোলনের কর্মী হিসেবে বিব্রতবোধ করছেন।এ বিষয়ে মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, “তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারা সংগঠনের নিয়মিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।”এর আগে গত ১ জুন একই অভিযোগ তুলে জেলা কমিটির মুখ্য সংগঠক হাসিবুল আলম তুরান, যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম আবিদ ও সদস্য তাহসিন আহমেদ রাতুল সংগঠন ত্যাগ করেন।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় দফতরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।ছবি: সংগৃহীতজামায়াতের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকটি ‘আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত হয় এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ‘বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা’ হয়। তবে আলোচনার নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।বৈঠকে জামায়াতের আমিরের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জামায়াতের সঙ্গে বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন কূটনৈতিক তৎপরতা গুরুত্ব পাচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জন্য পুরনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ পুনরায় বরাদ্দ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে দলটি।মঙ্গলবার (২৪ জুন) নির্বাচন কমিশন থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়েছে, আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নামীয় দলের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন দলীয় প্রতীকসহ পুনর্বহাল করা হলো।২০০৮ সালে দলটিকে ১৪ নম্বর দল হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ২০১৩ সালে হাইকোর্টের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের দলটির নিবন্ধন বাতিল করে সংস্থাটি। এর আগে ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক প্রশাসনিক আদেশের দলটির প্রতীক দাঁড়িপাল্লা বাতিল করে ইসি।ভোরের আকাশ/এসএইচ