প্রধান উপদেষ্টাকে ফারুক
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৯ পিএম
সংগৃহীত ছবি
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যারা আপনার ঘোষিত ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে বানচাল করার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তারা এখন (প্রেসক্লাব) থেকে ৫০০ ফুট দূরে রয়েছে। আপনার কাছাকাছি রয়েছে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দেশকে ভারতের কাছে নতিস্বীকার করিয়ে জাতীয় স্বার্থকে বারবার বিসর্জন দিয়েছে বলেও মন্তব্য করছেন সাবেক এই চিফ হুইফ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) অপরাজেয় বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ভারতের কালো থাবা বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শেখ হাসিনা এবং তার মেয়ে দিল্লিতে রয়েছে। এছাড়াও যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে, সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও দিল্লীতে রয়েছে। আজকে যারা আমাদের রক্তকে রঞ্জিত করে বাংলাদেশকে তছনছ করে দিয়েছে, তাদের মধ্যে যারা দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাদের মধ্যে দু-একজন ছাড়া এ সরকার কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সচিবালয় এখনো আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা রয়েছে।
ফারুক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে। ষোল বছর ধরে দেশের মানুষকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। অথচ এই সময়ে ভারতের সঙ্গে এমন সব চুক্তি করা হয়েছে যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
তিনি বলেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় সহায়তা করলেও স্বাধীনতার পর থেকেই তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ আর হিন্দুস্তান এখন একই পথের সাথী। তাই আজকের আন্দোলন কেবল বিএনপির নয়, এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন। তিনি দেশপ্রেমিক সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
ড. মুহাম্মদকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, যারা আপনার ঘোষিত ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে বানচাল করার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তারা আপনাদের কাছাকাছি রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রধান ইতোমধ্যে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। কিন্তু আপনার নির্বাচনের ট্রেনে যখন আমরা উঠলাম, নির্বাচনের ম্যাপ যখন ঘোষণা করলেন, এরা (আওয়ামী প্রেতাত্মা) আবার তড়িৎগতিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ করে প্রস্তুতি নিচ্ছে আপনার নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যারা আন্দোলনে ছিলেন, হয়তো এখন কিছুটা দূরত্ব থাকতে পারে। আমি তাদের কাছে আবেদন জানাবো, বাংলাদেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। হাসিনার মতো কথা বলে আমরা সরকারে যেতে চাই না। আমার নেতা তারেক রহমান বলেছেন, আমার ভোট আমি দেব এবং সেই ভোটে যদি আমি জয়লাভ করি, তাহলে যারা ১৬ বছর নির্যাতন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।
বিরোধী দলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, শহীদ জিয়া ও বেগম জিয়াকে দেশের মানুষ যেমনভাবে সততা এবং আপোষহীনের জন্য ভালোবেসেছে, তেমনিভাবে ১৬ বছর ধরে আপনি (তারেক রহমান) গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য নেতা-কর্মীদের যেভাবে উজ্জীবিত করে রেখেছেন, সেজন্য মানুষ আপনাকে ভালোবাসে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, 'অপরাজেয় বাংলাদেশ' এর সহসভাপতি আলহাজ্ব বাদল সরকার, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন সিরাজীসহ প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ