নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫ ১০:১১ পিএম
সংগৃহীত ছবি
দেশের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে অথবা জটিল করে তোলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (৩১ আগস্ট) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আইইবি মিলনায়তনে ‘বিএনপি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনাসভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, যতবারই দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছিল, গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছিল, দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ বারবার প্রতিবার দেশ এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় বিএনপির নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভলগ্নে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। গণতন্ত্রকামী স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ আপনারাই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পলাতক স্বৈরাচারের মতো বিএনপির বিজয় ঠেকানোর অপরাজনীতির পরিবর্তে আসুন আগে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার গঠন করি। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর আরো সকল যৌক্তিক দাবিগুলোর সমাধানের পথ খুঁজি।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র রাজনীতিতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শর্ত শিথিল করে নির্বাচনের পথে হাঁটাই এখন সময়ের দাবি। জনগণের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনকেন্দ্রিক গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে যদি আমরা রাষ্ট্র এবং সমাজে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি তাহলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর গণতান্ত্রিক দাবিগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়নের পথ সহজ হয়ে যাবে।
তারেক রহমান বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত একটি অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরাসরি ভোটে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়। প্রায় এক বছর আগে আমি বলেছিলাম, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। জনগণ লক্ষ্য করতে শুরু করেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ বিনষ্ট করার ক্ষেত্রে সেই অশুভ শক্তির অপতৎপরতা সাম্প্রতিক সময় ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।
বিএনপি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, কারণ বিএনপি মনে করে আগে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত নির্বাচিত সরকার জনপ্রত্যাশা পূরণে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে পরবর্তী নির্বাচনে জনগণ ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ পাবে। যা গণতান্ত্রিক বিশ্বে প্র্যাকটিস করা হয়ে থাকে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এজেডেএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল ইসলাম মজনু, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, ছাত্র দলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুর রহমান বক্তব্য দেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ