নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫ ০৬:৩৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে জনগণের যে ত্যাগ, সেই পথেই দেশ অগ্রসর হবে।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, গত ২০ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। নতুন প্রজন্মের অনেকেই কখনো ভোট দিতেই পারেনি। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই। এটি আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল।
নির্বাচনের নিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখনই নির্বাচন শুরু হবে, তখনই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থার মূল ভাবনাই হচ্ছে একটি নিরপেক্ষ সরকার। আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচনকালীন সরকার সেই নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করবে।
সংস্কার ও বিচার প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই প্রক্রিয়া চলমান এবং এটি এক দিনে শেষ হবে না। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ তার নিজস্ব গতিতে কাজ করবে। ছয় মাসের মধ্যে কিছু বিচার সম্পন্ন হতে পারে, বাকিগুলো পরবর্তী সরকারের আওতায় পড়বে। যারা দায়ী, তাদের বিচার হবেই।
প্রধান উপদেষ্টার মতো বিএনপিও কি রোজার আগেই সংস্কারের অগ্রগতি দেখতে চায়—এমন প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, সংস্কারের বিষয়টি ঐকমত্যের উপর নির্ভরশীল। ড. ইউনূস, তারেক রহমান ও বিএনপির নেতারা আগেই স্পষ্ট করেছেন, যতটুকু ঐকমত্য হবে, ততটুকুই সংস্কার হবে। বাকি অংশটা জাতির কাছে নিয়ে যেতে হবে নির্বাচনের মাধ্যমে।
এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের হোটেল ডোরচেস্টারে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হয়ে তাদের বৈঠকটি শেষ হয় ৩টা ৩৫ মিনিটে। ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের এই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডোরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন। তার আগে, ড. ইউনূসকে দুটি বই ও একটি কলম উপহার দেন তিনি।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা উপহারগুলো বেশ উৎফুল্ল হয়ে গ্রহণ করেন এবং তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ