জাতীয় সংসদ নির্বাচন
মাজাহারুল ইসলাম
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৩৮ এএম
ছবি: সংগৃহীত
আগামী রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগে ভোটগ্রহণের সময় নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। ওই ঘোষণার পরদিনই জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘাতে গণঅধিকার পরিষদেও সভাপতি নুরুল হক নুর আহত হন। একইসঙ্গে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের ওপর হামলা হয়। একইসঙ্গে কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও বিভিন্ন দাবি নিয়ে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসব ঘটনাকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পরপরই নির্বাচন বানচাল অথবা বিলম্ব করতেই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা মাঠে নেমেছেন।
প্রতিদিনেই বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তপ্ত হচ্ছে রাজপথ। এ উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে শিক্ষাঙ্গনগুলোতেও। বিভিন্ন ইস্যুতে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ, বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধসহ উত্তাল দেশের শিক্ষাঙ্গন, যার ছোঁয়া লাগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও। নতুন করে চট্টগ্রামসহ দেশের অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানজুড়ে সংঘর্ষ, অবরোধ ও আন্দোলনের ঝড় বইছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু নির্বাচন ঘিরে তুলকালাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এছাড়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সর্বাত্মক শাটডাউনসহ শিক্ষক সংগঠনের মহাসমাবেশে একাধিক দাবিতে সরব শিক্ষাঙ্গন। এমন পরিস্থিতিতে সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তহীনতায় পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। বহিরাগতদের হামলায় উত্তপ্ত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।
এমন পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনুস তার বাসভবন যমুনায় বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট ও হেফাজতে ইসলাম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর সহয়োগিতা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে অন্য দেশের থাবা মারার কোনো সুযোগ যেন না থাকে। এ জন্য নির্বাচন আয়োজনে সবার সবাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রতি পদে পদে বাধা আসবে, সবার মনে দ্বন্দ্ব তৈরি করবার চেষ্টা করবে। আমরা যেন সঠিক থাকি। সবাই এক সঙ্গে যেন সহযোগিতা করি। যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা যত রকমভাবে পারে বাধা দেবে। বাংলাদেশের সত্ত্বাকে গড়ে তুলতে তারা বাধা দেবে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে নির্বাচন বানচাল করার। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে যাতে নির্বাচন না হয়। এগুলোর কিছু কিছু লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে, সামনে আরো আসবে। এজন্য আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে। আমাদের চেষ্টা হবে নির্বাচন করার এবং নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, এবারের নির্বাচন হবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর, সাহস অর্জনের, নিজের ভঙ্গিতে দেশ পরিচালনার নির্বাচন। এই নির্বাচনে অন্য দেশের থাবা মারার কোনো সুযোগ যেন না থাকে। আমরা এই নির্বাচন আয়োজনে সবাত্মক সহযোগিতা চাই।
তিনি আরো বলেন, সামনে দুর্গাপূজায় আমাদের সবার দায়িত্ব হলো শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা। গণ্ডগোল করতে চাইবে অনেকে, তারা সব রকমের চেষ্টা করবে- এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ওপর জাতীয় পার্টির বর্বরোচিত হামলার প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনাকালে জাতীয় পার্টির কার্যক্রমও নিষিদ্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে সেপথেই যাচ্ছে জাতীয় পার্টিও। তবে বিএনপির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, নির্বাচন বানচালের কোন পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র থাকতে পারে এই হামলার পেছনে। নির্বাচনী পথনকশা ঘোষণার পর বিভিন্ন পক্ষ থেকে নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি নুরুল হক নুর ও খন্দকার লুৎফর রহমানের ওপর হামলার নেপথ্য নির্বাচন বানচাল অথবা বিলম্বিত করার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কিনা-সেটাও ভাবছে বিএনপি।
দলটির নেতারা বলছে, নির্বাচন ব্যাহত করতেই দেশি-বিদেশি নানামুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাদের সন্দেহ, হামলা-সংঘর্ষের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিয়ে কটুক্তি এবং দলের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারও নির্বাচন ঠেকানোর নীলনকশার অংশ। তারা বলছেন, একটি মহলের ‘বিপ্লবী সরকার’ গঠনের পরিকল্পনা আছে। এরই অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা চলছে।
পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভোটের আগে সংস্কার-জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, পিআর ভোট চায় জামায়াত-এনসিপি। কিন্তু পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে বিএনপি। এ বিষয়টিকেও নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে বিএনপি। দেশের এই বৃহৎ রাজনৈতিক দলটি মনে করছেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। কারণ বর্তমান সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা গেলে দেশে তাদের এক ধরনের কর্তৃত্ব থাকবে।
নির্বাচন হলে তারা হয়তো ক্ষমতায় যেতে পারবে না- এমনটি ভেবে বিএনপিকে ঠেকানোর অংশ হিসেবে নানা ঘটনার পরিকল্পনা করছে তারা। এ কাজে নতুন একটি দলকে তারা ব্যবহার করছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচন ঠেকানো। কারণ নির্বাচন ছাড়াই যারা ক্ষমতার স্বাদ পাচ্ছে, নির্বাচনের পর তাদের সেই ক্ষমতা না-ও থাকতে পারে। গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে বিঘ্নিত করতে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রতিশ্রুতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করতে মহলটি পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলেও ভাবছেন দলটি।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ আরও ৮ দলের সঙ্গে বৈঠকের পর ড. ইউনূসের নির্বাচন ছাড়া বিকল্প নেই- এমন কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। এতে করে নির্বাচনবিরোধী শক্তিগুলো ক্ষুব্ধ হয়েছে।
এনসিপি থেকে কেউ কেউ ইতোমধ্যে তাকে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন, আবার কেউ বলছেন এই সরকার এনজিওর মতো চলছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ড. ইউনূসকে বিতর্কিত করতেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করা হচ্ছে। এর পেছনে স্বৈরচার হাসিনার দোসররা রয়েছে, তারা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মনগড়া তথ্য প্রচার করছে। যাতে করে বাংলাদেশ ভয়াবহ বিশৃঙ্খলার মুখে পড়ে। দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়রা ‘এনার্কি’র পথে দেশকে ঠেলে দিতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
নির্বাচন বানচালে পর্দার আড়ালে গভীর ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। প্রকাশ্যে নির্বাচনের কথা বলা হলেও, এই ষড়যন্ত্রের মূল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে পিআর, জুলাই সনদ-এর সাংবিধানিকীকরণ এবং গণপরিষদ নির্বাচনের মতো জটিল ও সময়সাপেক্ষ সংস্কারের দাবি।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বানচাল করার জন্য নিত্যনতুন অপ্রাসঙ্গিক দাবি উত্থাপন করছে।
তিনি বলেন, পত্রিকায় বেরিয়ে বাংলাদেশের এক ব্যাংক লুটেরা এস আলম দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনাকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। ওই টাকা ব্যবহার করে নির্বাচন বন্ধ করা এবং শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে মিছিল, মিটিং, রাজধানীর সড়ক অবরোধ করে যে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। পাশাপাশি গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নূর ও জাগপার সভাপতি লুৎফুরের ওপর বর্বরোচিত হামলাও নির্বাচন বানচাল করা বা পিছিয়ে দিতে বাধ্য করার একটি সুক্ষ্ম কূটকৌশল বলেও ভাবছেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে না পারে সেই ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে। তিনি বলেছেন, দৃশ্যমান শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়, তবে অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচন কমিশন রোডম্যাপ ঘোষণার পরই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত। একদিকে নানা দাবিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্দোলন, অন্যদিকে স্থগিত কার্যক্রমের পরও ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে নুর ও লুৎফুরের ওপর হামলাসহ দেশবিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে, এটাকে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার এক সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র বলেও মনে করেন তিনি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভারতে পালিয়ে গেলেও নুর ও লুৎফরের ওপর হামলা এটাই প্রমাণ করে যে হাসিনা ও তার দোসররা এখনো সক্রিয়।
তিনি বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে স্বাভাবিকভাবে মানুষ মনে করেছিল দেশ স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা পালিয়েছে, এখন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। দেশ স্থিতিশীল হবে। মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারবে, চলাফেরা করতে পারবে। কিন্তু এক বছরের ভেতরেই যে পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা হয়েছি তা মর্মান্তিক।
ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রকে হত্যা করতে উৎসাহ দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ দেশে যেভাবে লুটপাট করেছে, গুম-হত্যা করেছে, গত ৫৪ বছরেও এরকম আর কেউ করেনি। আর সেই খুনি গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। শুধু শেখ হাসিনাকেই নয়, হাজার হাজার লুটপাটকারীদেরকেও আশ্রয় দিয়েছে ভারত। এই ভারত বন্ধুর নামে আমাদের দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চায়। আমাদেরকে বিপদে রাখতে চায়। যেমন যখন বাংলাদেশে পানি দরকার তখন তারা দেয় না। আর যখন দরকার নেই তখন তারা বাঁধ খুলে দেয়।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশে যাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হয়, এজন্য ষড়যন্ত্র চলছে। ভালো নির্বাচন যাতে না হয়, সেজন্য দেশি-বিদেশি নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। সেই জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, পিআর পদ্ধতিসহ নানা দাবি তুলে যারা নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছেন, তারা পরোক্ষভাবে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
সাইফুল হক বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনিশ্চিত হলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। যারা পিআরসহ নানা দাবি তুলে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছেন, তারা পরোক্ষভাবে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ