আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৫ ০৮:৩১ পিএম
বাদ জুমা বড় সমাবেশের ডাক
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলন জোরালো হচ্ছে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই জমায়েত হবে। এতে দল মত নির্বিশেষে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যমুনার সামনে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এই জমায়েতের ডাক দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এখানে তৈরি হচ্ছে একটি মঞ্চ।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এই আন্দোলন শুধু এনসিপির নয়, এটা দেশের সব ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মিলিত অবস্থান। বাদ জুমা থেকে বৃহত্তর জনসমাগমের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করব, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে কেউ স্বস্তিতে থাকতে পারবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকেও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বদলে এখন তাদের আবার সংগঠিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই সরকার যদি সত্যিই পরিবর্তনের প্রতীক হয়, তাহলে এখনই আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্যে বলছি- আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।’ এ সময় তিনি সবাইকে বাদ জুমা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানান। বলেন, ‘এটা আমাদের শেষ দৃঢ় অবস্থান। এখানে যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে, তা নিষিদ্ধ ঘোষণার আগ পর্যন্ত চলবে।’
এদিকে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বিক্ষোভে যোগ দেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। দলের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে তারা অংশ নেন। যমুনার সামনে একের পর এক ব্যানার ও দলীয় পতাকা স্থাপন হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। তারা বলছেন, এখান থেকেই শুরু হবে চূড়ান্ত আন্দোলনের নতুন ধাপ।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। এই আন্দোলনে একত্রিত হয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীসহ শীর্ষ নেতারা। সঙ্গে রয়েছেন ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। তাদের ভাষায়, এই সংগ্রাম একক কোনো দলের নয়— এটি জনগণের সম্মিলিত আওয়াজ। এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। রাত একটার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতা-কর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতাকর্মী যমুনার সামনে উপস্থিত হন। রাত দুইটার দিকে সেখানে যান ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা।
ভোরের আকাশ/আজাসা