সংগৃহীত ছবি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে যান তিনি। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এর আগে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৫টার পর বক্তব্য শুরু করেন জামায়াত আমির। ৫টা ২০ মিনিটের দিকে প্রথমবার অসুস্থ হলে নিচে পড়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর মঞ্চের অন্য নেতাদের সহযোগিতায় তিনি উঠে দাঁড়ান।
এ সময় নেতারা তাকে ধরে রাখেন, তার খোলা মাথায় বাতাস করেন কেউ কেউ। ৫টা ২৩ মিনিটে আবার বক্তব্য শুরু করেন তিনি। ১ মিনিট বক্তব্য না দিতেই ফের অসুস্থ বোধ করলে ক্ষণিকের জন্য বক্তৃতা বন্ধ করেন। এরপর ডান হাত দিয়ে বুক চেপে ধরেন এবং তাকে পড়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় অন্য নেতারা চারপাশ থেকে তাকে ধরে বসিয়ে দেন। বসা অবস্থাতেই বক্তৃতা চালিয়ে যান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ আমার হায়াত যতক্ষণ রেখেছেন, তার এক মিনিটও বেশি থাকতে পারব না। সুতরাং এটা নিয়ে আপনারা কেউ বিচলিত হবেন না।’
আল্লাহ যাতে তাকে শহীদি মৃত্যু দেন, সেই কামনা করেন তিনি। এরপর ‘আল্লাহু আকবার, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলে বক্তৃতা শেষ করেন জামায়াত আমির।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে আবারও ‘ভয়ের সংস্কৃতি’ গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, মত প্রকাশের অধিকার হরণ করে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যা গণতন্ত্রবিরোধী।শনিবার (১৯ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।নাহিদ ইসলাম জানান, “কক্সবাজারের চকরিয়ায় আমাদের কর্মসূচিতে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা সম্প্রীতি ও সংহতির বাংলাদেশ গড়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু এখন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও হুমকির মুখে। কেউ যদি নতুন করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চায়, তাহলে জনগণ আবার রাজপথে নামবে।”তিনি আরও বলেন, “যারা গণহত্যা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে এবং জনগণকে অধিকারহীন করেছে—তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে, ন্যায়বিচার থাকবে। নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের প্রয়োজন।”জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি কোনো সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না, বরং এটি ছিল একটি নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে জনগণের গণবিস্ফোরণ। সরকার বদলালেও ব্যবস্থা বদলায়নি। আমাদের আন্দোলন সেই ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য।”নাহিদ ইসলাম জানান, ইনসাফভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচি দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে চায় এনসিপি। বান্দরবানের মতো পার্বত্য অঞ্চলেও তারা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে চায়।পথসভাটি সঞ্চালনা করেন দলের মুখ্য সম্পাদক আছাইম সায়েম হোসেন ও জেলা কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক লুক চাকমা। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—হাসনাত আবদুল্লাহ, ডা. তাসনিম জারা, জোবায়েরুল হাসান আরিফ, সামান্তা শারমিন, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমন সৈয়দ, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ, এবং বান্দরবানের জেলা প্রধান সমন্বয়ক শহীদুর রহমান সোহেল।এর আগে রাত ৮টা ২২ মিনিটে কক্সবাজার থেকে সড়কপথে বান্দরবান সদরে পৌঁছান দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে তারা বাসস্টেশন থেকে প্রধান সড়ক ধরে পদযাত্রা করে ট্র্যাফিক মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে সমাবেশে অংশ নেন।ভোরের আকাশ//হ.র
জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে জামায়াত আমিরকে দেখতে যান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, “প্রধান উপদেষ্টা জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। আমি তার পক্ষ থেকে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি এবং আজ সরাসরি দেখতে এসেছি।”তিনি আরও বলেন, “আমির সাহেব বর্তমানে ভালো আছেন। সামনে জাতীয় নির্বাচন রয়েছে। আমরা চাই দেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতারা সুস্থ থাকুন এবং দেশের উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন করুন।”এদিকে, জামায়াত আমিরের অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করে শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।রাত সাড়ে ৮টায় মির্জা ফখরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে যান। সেখানে জামায়াত আমিরের পাশে বসে তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। এ সময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের উপস্থিত ছিলেন।জামায়াত আমির বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবকে আমার পক্ষ থেকে সালাম জানাবেন।”এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। মঞ্চেই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর বক্তব্য চালিয়ে যান, কিন্তু পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়লে নেতাকর্মীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।ভোরের আকাশ//হ.র
কোনো ভুল সিদ্ধান্তের কারণে যেন ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন আসন্ন। কোনো আবেগতাড়িত বা ভুল সিদ্ধান্তে যাতে চরমপন্থা বা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবদান ও শহীদদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।তারেক রহমান বলেন, জুলাই আন্দোলন শুরু থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত হলেও গত বছরের ১৬ জুলাইয়ের পর তা আর কোটা সংস্কার আন্দোলনে সীমাবদ্ধ ছিল না। রংপুরে শহীদ আবু সাঈদ, চট্টগ্রামে ওয়াসীমসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একইদিনে কমপক্ষে ছয়জন শহীদ হওয়ার পর দেশের মাফিয়া সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে ওঠেছিল। সারাদেশে স্ফূলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়া আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন মাফিয়া সরকার বেপরোয়া হত্যা, নির্মম দমন-পীড়ন চালাতে শুরু করেছিল।তিনি বলেন, সেই মাফিয়া সরকারের দমন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে ১৮ জুলাই থেকে দল-মত নির্বিশেষে বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা যেভাবে রাজপথে সাহসের সঙ্গে রক্ত দিয়েছে সেদিন থেকে একজন রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস চলে আসে যে এখন এই সরকারের পতন কেবল সময়ের অপেক্ষা।তিনি আরও বলেন, সেটি উপলব্ধি এবং বিশ্বাস থেকে ছাত্রজনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনকে ফ্যাসিস্ট পতনের এক দফা আন্দোলনে পরিণত করে ফ্যাসিস্টের পতন নিশ্চিত করতে বিএনপিসহ দেশের গণতান্ত্রিক দলগুলো পরিকল্পনা এবং কৌশল অবলম্বন করেছিল। তবে কোটা সংস্কারের পথ ধরে ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলন যাতে দেশে বা বিদেশে যেন কোনো নির্দিষ্ট দলের আন্দোলন হিসেবে পরিচিতি না পায় এটি নিশ্চিত রাখা ছিল রাজনৈতিক কৌশলের অংশ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে যান তিনি। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।এর আগে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল ৫টার পর বক্তব্য শুরু করেন জামায়াত আমির। ৫টা ২০ মিনিটের দিকে প্রথমবার অসুস্থ হলে নিচে পড়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর মঞ্চের অন্য নেতাদের সহযোগিতায় তিনি উঠে দাঁড়ান।এ সময় নেতারা তাকে ধরে রাখেন, তার খোলা মাথায় বাতাস করেন কেউ কেউ। ৫টা ২৩ মিনিটে আবার বক্তব্য শুরু করেন তিনি। ১ মিনিট বক্তব্য না দিতেই ফের অসুস্থ বোধ করলে ক্ষণিকের জন্য বক্তৃতা বন্ধ করেন। এরপর ডান হাত দিয়ে বুক চেপে ধরেন এবং তাকে পড়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় অন্য নেতারা চারপাশ থেকে তাকে ধরে বসিয়ে দেন। বসা অবস্থাতেই বক্তৃতা চালিয়ে যান।নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহ আমার হায়াত যতক্ষণ রেখেছেন, তার এক মিনিটও বেশি থাকতে পারব না। সুতরাং এটা নিয়ে আপনারা কেউ বিচলিত হবেন না।’আল্লাহ যাতে তাকে শহীদি মৃত্যু দেন, সেই কামনা করেন তিনি। এরপর ‘আল্লাহু আকবার, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলে বক্তৃতা শেষ করেন জামায়াত আমির।ভোরের আকাশ/এসএইচ