নতুন ৩ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্রজনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ সহ নতুন তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা পরিষদের ২৯তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্রজনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ ছাড়াও সভায় ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উপস্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নযোগ্য কিনা, বাস্তবায়নযোগ্য হলে বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সময়সীমা এবং বাস্তবায়নের প্রভাব বা সংশ্লেষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ দফাওয়ারী সুচিন্তিত মতামত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।
এদিন বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে নৌ-প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। সেইসঙ্গে মৎস্য সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ বিষয়ক একটি অধ্যাদেশও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নির্বাচনের সময় হলফনামায় দাখিল করা সম্পদ বিবরণী ও তার আয়কর বিবরণী সম্পদের হিসাবে গরমিল পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ।হলফনামায় অসত্য তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ এর আওতায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে দুদক।এ ব্যাপারে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এখানে দুটি বিষয়। একটি অংশ নির্বাচন কমিশনের কাছে চলে গেছে, নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিয়ে। আরেকটা অংশ হচ্ছে হলফনামায় দাখিল করা সম্পদ বিবরণী ও তার আয়কর বিবরণী সম্পদের হিসাব করে আমাদের অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্যানুসারে দুদক পৃথকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। সেটা খানিকটা সময়সাপেক্ষ বিষয়।ভোরের আকাশ/জাআ
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্রজনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ সহ নতুন তিনটি অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা পরিষদের ২৯তম বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং আহত ছাত্রজনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ ছাড়াও সভায় ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উপস্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নযোগ্য কিনা, বাস্তবায়নযোগ্য হলে বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সময়সীমা এবং বাস্তবায়নের প্রভাব বা সংশ্লেষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ দফাওয়ারী সুচিন্তিত মতামত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে। এদিন বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে নৌ-প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। সেইসঙ্গে মৎস্য সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ বিষয়ক একটি অধ্যাদেশও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। ভোরের আকাশ/জাআ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আমরা পশু পরিবহন নিয়ে চিন্তিত, আমরা চাই এবার যেন খামারিরা কোরবানির পশু আনতে গিয়ে কোনো প্রকার কষ্ট না পান এবং পশুরাও যেন কোনো কষ্টের শিকার না হয়।তিনি বলেন, সুষ্ঠু বাজার, পরিবহন ও দামে সঠিক বাস্তবায়ন হবে এবার। প্রাণির প্রতি যেন কোনো নৃশংসতা না হয় এবং কোনো ধরনের ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার করে প্রাণীকে মোটাতাজা না করা হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।বুধবার দুুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সারা বছর গ্রামের খামারিরা কোরবানির পশু লালন পালন করেন। এবার আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা হলো সরবরাহ ব্যবস্থা, এই যে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় কোরবানির পশু আসবে। সেক্ষেত্রে যেন একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা থাকে। পরিবহনে স্থল, নৌপথ ও ট্রেনেও বিশেষ ব্যবস্থা যেন হয়।তিনি বলেন, প্রাণিকল্যাণ আইন-২০১৯ রয়েছে, আমরা সেটা নিয়েও আলোচনা করেছি। আইন যেন মেনে চলে, কোনো প্রকার নিষ্ঠুরতা না হয় সে বিষয়ে আমরা সচেতনতা তৈরি করবো। কোরবানির পশুতে যাতে কোনো রকম ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে যেন রিষ্ট-পুষ্ট না করা হয়। এ লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।উপদেষ্টা বলেন, পশুর হাটে ভেটেরিনারিক্লিনিকের সার্জনরা থাকবেন। হাটে তারা স্থায়ীভাবেও থাকবেন এবং মোবাইল ক্লিনিক নিয়ে কাজ করা হবে। এসব সুবিধা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।প্রসঙ্গত, এ বছর কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতসহ কোরবানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি হয় গত ২০ মে। উচ্চ পর্যায়ের কমিটিতে আছেন ১৭ সদস্য, যার আহ্বায়ক বাণিজ্য উপদেষ্টা।এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা, ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, শিল্প সচিব, এনজিও প্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বেসরকারি প্রতিনিধি (সরকার মনোনীত)। কমিটিতে সদস্য সচিব, বাণিজ্য সচিব।কমিটি সঠিকভাবে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং এজন্য পর্যাপ্ত লবণের সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া নির্ধারণ; চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা এবং কোরবানির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবেন।এছাড়া চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান; কোরবানির হাট, পশু পরিবহন এবং পরিবহনের সময় নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের বিষয়ে নির্দেশনা জারি এবং চামড়া শিল্প নগরী, সাভারসহ সারা দেশে দ্রুত ও যথাযথভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে এ কমিটি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ দেওয়া হচ্ছে আগামী ১ জুনের টিকিট। তবে স্টেশনের কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ আসনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ৮টায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়, দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট।এবার ঈদে পাঁচ রুটে ১০টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এসব ট্রেনের মধ্যে কিছু ট্রেন আগামী ৪ থেকে ৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। এ ছাড়া ঈদের দিনও কিছু ট্রেন চলবে। স্পেশাল ট্রেনের টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে পাওয়া যাবে, অনলাইনে বিক্রি হবে না।এ ছাড়া এবার ঈদে ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে সারাদেশে। এসব ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার ৩১৫। এর বাইরে প্রতিটি ট্রেনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে স্টেশনের কাউন্টার থেকে।ঈদ উপলক্ষ্যে রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা যায়, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩১ মে’র আসন বিক্রি হয়েছে গত ২১ মে; ২ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৩ মে; ৩ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৪ মে; ৪ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৫ মে; ৫ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৬ মে এবং ৬ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৭ মে।রেলওয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগে ৭ দিনের ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করবে। এ সময় কেনা টিকিটগুলো যাত্রীরা রেলওয়েকে ফেরত দিতে পারবেন না। প্রতিজন টিকিটপ্রত্যাশী ৪টি আসনের টিকিট একবার একসঙ্গে সংগ্রহ করতে পারবেন।ভোরের আকাশ/আজাসা