নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫ ০৬:৫৪ এএম
বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন, জারি হলো সংশোধিত অধ্যাদেশ
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে এ-সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) সঙ্গে সম্পৃক্ত জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ) ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যরা (এমপিএ) আর ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন না। এখন থেকে তাঁদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে গণ্য করা হবে।
অধ্যাদেশে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে মোট পাঁচটি শ্রেণির ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে:
এর আগে ১৫ মে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় অধ্যাদেশটি শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
নতুন সংজ্ঞায় বীর মুক্তিযোদ্ধা কারা?
নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালে যারা দেশের ভেতরে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, অথবা ভারতের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন—তাঁরাই হবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), পুলিশ বাহিনী, মুক্তিবাহিনী, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স ও আনসার সদস্যরাও এই সংজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
বিশেষভাবে, হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত নারীরা (বীরাঙ্গনা) এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় ফিল্ড হাসপাতালে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক, নার্স ও সহকারীরাও নতুন সংজ্ঞায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
আইন সংশোধনে নতুন সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা
সংশোধিত আইনে 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান' শব্দযুগল পরিবর্তন করা হয়েছে, তবে সংশ্লিষ্ট অংশে নতুন কী ব্যবহার করা হয়েছে, তা অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া ‘মুক্তিযুদ্ধ’ বলতে বোঝানো হয়েছে—বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সশস্ত্র সংগ্রাম।
ভোরের আকাশ//হ.ন