নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৫ ১২:৩৭ এএম
অস্থিরতার শেষ কোথায়
নিখিল মানখিন : ঘরে-বাইরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশের মানুষ! তাদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ। কাটছে না ‘মব জাস্টিস’ আতঙ্ক। এর মাঝেই সম্প্রতি বেড়েছে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড, ছিনতাই, ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা। প্রকাশ্যে এমন সব ঘটনা ঘটলেও পরিস্থিতির শিকার ব্যক্তি বা পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসছে না কেউ। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে দেখা মিলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চলছে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম। যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে নানাভাবে রাগ-ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় পুরো দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাপক হামলা, অনাস্থা আর আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য পুলিশ কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় দুষ্কৃতকারীদের কেউ কেউ সুযোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে বলে মনে করছে পুলিশ।
অপরাধ বিশেষজ্ঞ বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না বলেই অপরাধী চক্রগুলো সুযোগ নিচ্ছে। আবার নতুন করে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ার ভয়েও অনেক ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কোনো সদস্য। এসব কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, যা জনজীবনে উদ্বেগ তৈরি করছে।
গত দুই মাসে (জানুযারি-ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস ডাকাতির মতো বেশ কয়েকটি ঘটনা আলোচনায় এসেছে। সমসাময়িক বেশকিছু হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় মানুষ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনা, গণপিটুনিতে হত্যা, বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করারও ঘটনা রয়েছে। পুরো পরিস্থিতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এক ধরনের আতঙ্ক।
মানবাধিকার সংগঠনের হিসাব অনুযায়ী বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাত মাসে মব ভায়োলেন্স তৈরি করে ১১৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৬ জন নারী ও শিশু। একই সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা গেছেন ১৬ জন। পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী গত জানুয়ারিতে খুন হয়েছেন ২৯৪ জন। আগের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে খুন হয়েছিলেন ২৩১ জন।
বেড়েছে খুন : সর্বশেষ রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন পুরানপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয়েছেন শান্তিনগরের হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভুঁইয়া। গত সোমবার ভোরের দিকে কোনো এক সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনারের দায়িত্বে থাকা আহাম্মদ আলী জানান।
গত মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পল মজুমদার খোকন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় খোকনের ছেলে পিয়াস মজুমদারকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করে সব লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। খোকন একজন দন্ত চিকিৎসক ও তার স্ত্রী অনিতা বৈদ্য একজন নার্স। এর আগে গত সোমবার সকালে রাজধনীর উত্তরার উত্তরখান থানা এলকার পুরান পাড়ার একটি বাসার চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মাদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া। গত শনিবার মাদারীপুরে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সাইফুল সরদার ছিলেন মাদারীপুরের খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সাইফুলের অপর দুই ভাই হলেন, আতাউর সরদার (৪০) এবং চাচাতো ভাই পলাশ সরদার (১৫)। এই ধরনের অপরাধের ঘটনা এখন প্রতিদিনই ঘটছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছর ৫ আগস্ট থানা থেকে অস্ত্র লুট এবং জেল থেকে অপরাধী ও সন্ত্রাসীরা অনেকে বেরিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নাজুক হলে কেউ কেউ সুযোগ নিচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা ধরনের ঘোষণা দিয়ে কাজ করা হলেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত জানুয়ারিতে দেশে খুন হয়েছেন ২৯৪ জন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ২৩১ জন। অর্থাৎ খুন বেড়েছে ৬৩টি। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) রিপোর্ট বলছে, গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা গেছেন ১৬ জন।
ধর্ষণও বেড়েছে : এর মধ্যে মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। গত দুই মাসে (জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) ২৯৪ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৬ জন এবং এর মধ্যে ৪৪ জন শিশু রয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৯ নারী (ধর্ষণের সংখ্যা ২১টি এবং দলবদ্ধ ধর্ষণের সংখ্যা ১৮টি) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ওয়েবসাইট ও আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
শুধু গত ফেব্রুয়ারি মাসে ধর্ষণের ৫৭টি, এর মধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৭টি, ধর্ষণ ও হত্যার দুইটি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে পাঁচ জন প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারী। ধর্ষণের শিকার ৫৭ জনের মধ্যে ১৬ জন শিশু, ১৭ জন কিশোরী, অপরদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিন জন কিশোরী ও ১৪ জন নারী এবং ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন দুই জন নারী। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ১৯টি, যৌন হয়রানি ২৬টি, শারীরিক নির্যাতনের ৩৬টি ঘটনা ঘটেছে।
গণপিটুনিতে নিহত ১১৯ : অন্তর্বর্তী সরকারের সাত মাসে দেশে গণপিটুনির অন্তত ১১৪টি ঘটনা ঘটেছে। এতে ১১৯ জন নিহত এবং ৭৪ জন আহত হয়েছেন। আর গত ১০ বছরে গণপিটুনিতে মারা গেছেন কমপক্ষে ৭৯২ জন। আহত হয়েছেন ৭৬৫ জন। আজ বুধবার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এসব তথ্য জানিয়েছে। এইচআরএসএসের তথ্যমতে, গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২০১টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে গত বছরে। গত বছর গণপিটুনিতে মারা গেছেন ১৭৯ জন। আহত হয়েছেন ৮৮ জন। গত বছরের মতো গণপিটুনির ঘটনা বেশি ঘটেছে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। এই দুই বছর গণপিটুনিতে ২৩২ জন নিহত হন।
বেপরোয়া ডাকাতি ও ছিনতাই : গত ছয় মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি পর্যন্ত ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ১৪৫টি, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। দেশে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। তারা মানুষকে জিম্মি করে, অস্ত্র ঠেকিয়ে, গুলি করে অথবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে নিরাপত্তাহীনতাবোধ ও আতঙ্ক। সর্বশেষ রাজধানীর বনশ্রীতে বাসায় ফেরার সময় এক সোনা ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়।
পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিককালে ডাকাতি ও দস্যুতার (ছিনতাই) ঘটনায় মামলা বেড়েছে। গত জানুয়ারিতে দেশে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৪২টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৯টি বেশি (৬৯ শতাংশ)। ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় গত ডিসেম্বরে মামলা হয়েছে ২৩০টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৫টি (৭০ শতাংশ) বেশি। সব মিলিয়ে গত আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ১৪৫টি, যা ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের তুলনায় ৩৮২টি বেশি (৫০ শতাংশ)।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে বেশি কাজে আসছে না সরকারি সিদ্ধান্ত : রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। প্রকাশ্য হত্যা, গণপিটুনিও হচ্ছে কোনো কোনো এলাকায়। এসব বিষয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সেগুলো বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। গত ২ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে রয়েছে-চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী এবং মাদক ও চোরা কারবারিদের ধরতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে বিশেষ অপারেশন শুরু হয়েছে। পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল বাড়ানো ও দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের অংশগ্রহণে সারা দেশে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটপ্রধান, উপপুলিশ কমিশনার, সেনাবাহিনীর মাঠে নিয়োজিত ব্রিগেডপ্রধান ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে গণমাধ্যমে ব্রিফ করা হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশিচৌকি বা চেকপোস্ট ও অপরাধপ্রবণ এলাকায় টহলসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী টার্গেট এলাকাগুলোতে জোরদার অপারেশন পরিচালনা করছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নিয়মিত প্যাট্রোলের পাশাপাশি নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের অতিরিক্ত প্যাট্রোল নিয়োজিত করা হয়েছে। ছিনতাইকারী, ডাকাত, কিশোর গ্যাং ও অন্যান্য অপরাধপ্রবণ স্থানগুলোতে কম্বাইন্ড অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। থানাভিত্তিক সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ করে ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির পুলিশ সদস্য, বিজিবি, আনসার ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল ক্রয়ের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যাতে করে তাৎক্ষণিকভাবে অলিগলিতে টহল দিয়ে অপরাধীদের ধরা সম্ভব হয়। মিথ্যা, গুজব ও প্রোপাগাণ্ডার বিপরীতে সত্য তথ্য প্রচারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভোর ও গভীর রাতে ঝটিকা সফরে থানা, চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম পরিদর্শন ও মনিটরিং করছেন।