ছবি: সংগৃহীত
বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঢাকা শহরের সুবিধাজনক স্থানে এই একাডেমি নির্মাণ করবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। রোববার (২৯ জুন) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করা হবে। বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলে এটি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, ‘তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপন করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে কাজ করবে।’
বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশন। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন এবং মহাসচিব মো. মামুন অর রশিদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবকে ধন্যবাদ জানান।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গত এপ্রিল মাসের সমন্বয় সভায় বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, বর্তমানে তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ একাডেমি নেই। একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এপ্রিল মাসের সমন্বয় সভার কার্যবিবরণীতেও একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে উদ্যোগ গ্রহণের কথাও কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কর ফাঁকিতে সহযোগিতা করা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক রিকাবদার, এনবিআর সদস্য (আয়কর নীতি) একেএম বদিউল আলমসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।রোববার (২৯ জুন) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য (আয়কর নীতি) একেএম বদিউল আলম; অতিরিক্ত কর কমিশনার, কর অঞ্চল-৮ মির্জা আশিক রানা; বিসিএস একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান; যুগ্ম কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা; ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কমিশনার হাছান তারেক রিকাবদার এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু।অভিযোগের বিষয়ে দুদক জানায়, এনবিআরের কিছু অসাধু সদস্য ও কর্মকর্তা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কর দাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে প্রতিবছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন বলে জানা যায়।দুদক জানায়, অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে এই কর হিসাবনিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরও অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়।অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে নিজেরাও কামিয়ে নিচ্ছেন মোটা টাকা। একইভাবে বিগত ২০-২৫ বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, কারো হাতিয়ার হয়ে দুদক কাজ করে না। যাচাই-বাছাই করেই অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সচিবালয়ে ক্যান্টিন পরিচালনা নিয়ে মারামারির ঘটনায় এক পক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে অন্যপক্ষ।রোববার (২৯ জুন) দুপুরে সচিবালয় কর্মকর্তার-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ‘নূরুল-মোজাহিদ’ অংশের মহাসচিব মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে অন্তত ২০-২৫ জন কর্মচারী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। তারা পরিষদের অন্য অংশের সভাপতি বাদিউল কবীরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন।এ সময় মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যায় নূরুল ইসলামসহ পরিষদের শীর্ষ নেতাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। নূরুল ইসলাম এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেদিন সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সব সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। এটা কার নির্দেশে?সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সচিবালয় মাস্তানি করার জায়গা না। ১৮ হাজার কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের প্রতিহত করবো। আজ হোক, কাল হোক- এখান থেকেই বিচার করবো।সমাবেশে সংযুক্ত পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মিলন মোল্লা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের আন্দোলনে আর কেউ যাবেন না। তাদের প্রতিহত করতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় শহীদ সাংবাদিক পরিবারকে সম্মাননা, বিশেষ অনুদান ও উপহার দেবে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এ উপলক্ষ্যে আগামী ৫ জুলাই জাতীয় জাদুঘরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নির্মিত ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ার শো আয়োজন করা হবে। সারাদেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শন করা হবে।এছাড়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এবং ঢাকার চারটি বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত চলচ্চিত্র, প্রামাণ্যচিত্র, ডকুমেন্টারি দেশব্যাপী প্রদর্শন করবে। এদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করা হবে।গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকায় বিশেষ ফিচার, নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন, ফটোকার্ড তৈরি ও প্রচার এবং পোস্টার, ফেস্টুন মুদ্রণ ও বিতরণ করা হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত প্রকাশনা উৎসব, গণঅভ্যুত্থানের আলোকচিত্র ও গ্রাফিতিগুলো প্রদর্শন করা হবে।এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার অংশগ্রহণে বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি, কোরানখানি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঢাকা শহরের সুবিধাজনক স্থানে এই একাডেমি নির্মাণ করবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। রোববার (২৯ জুন) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু করা হবে। বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হলে এটি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, ‘তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপন করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে কাজ করবে।’বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশন। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন এবং মহাসচিব মো. মামুন অর রশিদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবকে ধন্যবাদ জানান।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গত এপ্রিল মাসের সমন্বয় সভায় বিসিএস ইনফরমেশন একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, বর্তমানে তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ একাডেমি নেই। একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। এপ্রিল মাসের সমন্বয় সভার কার্যবিবরণীতেও একাডেমি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।এ বিষয়ে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে উদ্যোগ গ্রহণের কথাও কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ