‘চামড়া শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র রুখতে হবে’
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে পতিত ফ্যাসিস্টের আমলের পুরোনো চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের সোনালি আঁশ খ্যাত পাটশিল্পের ধ্বংসের বিদেশি চক্রান্ত সফল হওয়ার পর আরেক সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পের ধ্বংসের চক্রান্ত সফল হওয়ার পথে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত চামড়া শিল্পের নৈরাজ্য ও সিন্ডিকেট রুখো শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মীর্জা শরিফুল আলম, কলামিস্ট লায়ন মীর আবদুল আলীম, পরিবেশবিদ বাপ্পী সরদার প্রমুখ।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও চামড়া বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে বর্গফুটের হিসাবে চামড়ার দাম আরও কম পড়েছে। কোরবানি দাতাদের থেকে তারা সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন এবং ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রি করেছেন ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করে চামড়ার ন্যায্য দাম মিলছে না। সিন্ডিকেটের কারণে চামড়ার দাম পড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এবার বিপুলসংখ্যক পশু জবাই হলেও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আবার প্রতিবছরের মতো এবারও বেশির ভাগ ছাগলের চামড়া নষ্ট হয়েছে। বিদেশি চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে অসাধু ট্যানারি মালিকদের ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেট কৌশলে চামড়ার দাম কমিয়ে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের চামড়াশিল্প।
দেশে ও বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশচুম্বী, অথচ কোরবানির চামড়া শিল্প নিয়ে গভীর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। শুক্রবার (১৩ জুন) তাপপ্রবাহের বিস্তৃতি আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।দপ্তরের তথ্যমতে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের পাশাপাশি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে শনিবার (১৪ জুন) কিছু এলাকায় এই দাবদাহ কিছুটা কমে আসতে পারে।আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, টানা ভারি বর্ষণ না হলে গরম পুরোপুরি প্রশমিত হবে না। তার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১৬ জুন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা তাপমাত্রা কমিয়ে এনে স্বস্তি দিতে পারে।শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেটের কিছু কিছু স্থানে এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশালের একাধিক এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টিও হতে পারে।এই সময়ের মধ্যে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও রাতের তাপমাত্রায় তেমন পরিবর্তন আসবে না।শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর ডিমলায়—৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোরের আকাশ/হ.র
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের গ্লোবাল এডুকেশনের বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউনের মধ্যে শুক্রবার (১৩ জুন) একটি ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।আলোচনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের জন্য শিক্ষা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা প্রধানভাবে উঠে আসে।গর্ডন ব্রাউন বাংলাদেশের নেতৃত্বে চলমান অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের প্রশংসা করে বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার পথে দেশের যে অগ্রযাত্রা, তা প্রশংসনীয়। তিনি ইউনূসের বিভিন্ন উদ্যোগকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী শিশুদের শিক্ষার অভাব নিয়ে দুই নেতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রায় পাঁচ লাখ শিশুর শিক্ষাবঞ্চিত অবস্থাকে ‘একটি হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা প্রজন্ম’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখার ওপর গুরুত্ব দেন।ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে এই শিশুরা যেন আশার আলো নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।” একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা জনগণের সহায়তায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।গর্ডন ব্রাউন জানান, তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতায় আগ্রহী এবং তাঁর আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এতে কাজে লাগাতে প্রস্তুত। তিনি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহও প্রকাশ করেন, যাতে তিনি সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।আলোচনার একপর্যায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রয়াস ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক রূপান্তরের দিকেও উভয়ের আগ্রহ প্রকাশ পায়। ভোরের আকাশ/হ.র
জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুযোগ থাকলে ঢাকার সব বাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতাম। শুক্রবার সকালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দুটি গ্যাসকূপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।সিলেটের যেসব এলাকা থেকে গ্যাস উত্তোলন হয় সেসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কি?এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, শিল্প কারখানা যেখানে গ্যাস পাচ্ছে না সেখানে বাসা বাড়িতে গ্যাস দেওয়া অপচয়। নতুন করে আর গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হবে না। কেয়ামত পর্যন্ত এই সুযোগ বন্ধ রাখা উচিত। তবে যেসব এলাকায় গ্যাস উত্তোলন করা হয়, সেসব এলাকায় স্বল্পমূল্যে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করবে সরকার।জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের উৎপাদন কমছে। পাশাপাশি এলএনজি আমদানি বেড়েছে। এক্ষেত্রে গ্যাসের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমানোর চেষ্টা চলছে।উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, কৈলাশটিলা-৭ ও সিলেট-১০ গ্যাস কূপ থেকে থেকে প্রতিদিন ১৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। শুক্রবার সকালে গোলাপগঞ্জে কৈলাসটিলা গ্যাসফিল্ড পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি উপজেলার পৌর এলাকার কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপ এলাকা, বাপেক্সের রিগ বিজয়-১২ ও কৈলাশটিলা ১ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভারের নিমিত্ত প্রস্তুতকৃত রিগপ্যাড পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি একই উপজেলাধীন কৈলাশটিলা এমএসটি প্লান্ট পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের (অপারেশন বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. খালিদ আহমেদ, বাপেক্স/এসজিএফএলের প্রকৌশলী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেব আহমদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেহসানুল ইসলাম, সেক্রেটারি এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনির হোসেন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের ডিজিএম ফারুক আহমদ, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড এমএসটি প্লান্টের ডিজিএম জাফর রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট কূপের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে ৫ জোনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ১৫৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২৪ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে।শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। এর বাইরে (সিটি করপোরেশন বাদে) বরিশাল বিভাগে ১২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, ঢাকা বিভাগে ৯ জন, খুলনা বিভাগে ৩ ও সিলেট বিভাগে একজন রোগী ভর্তি হয়েছেন।এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৭০ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ