ফাইল ছবি
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯৪ জন। এটি এ বছরের একদিনে সর্বোচ্চ রোগী। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৩৪ জন, যাদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও ১৭ জন নারী। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে আট হাজার ৫৪৪ জন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১৯৯ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৮০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে। যার মধ্যে ঢাকায় ৩১০ জন, বাকি ৭৭০ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগ ছাড়াও চট্টগ্রামে (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৫৮ জন, ঢাকায় (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৩৫ জন, খুলনায় (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৮ জন এবং রাজশাহীতে (সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে) ৪৪ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৪২ জন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫০ জন রোগী পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত বছর ডেঙ্গুতে মোট ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই বছর মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,০১,২১৪ এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল ১,০০,০৪০ জন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই নতুন আক্রান্তের পাশাপাশি ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে আরও ৩২৬ জন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।বুধবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুইজন ব্যক্তিই পুরুষ। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৬০ ও অপরজনের বয়স ৩৭।প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১৮ জন বরিশালের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে।এছাড়া, ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৭১, (সিটি করপোরেশন বাদে) চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৩ জন, ঢাকা বিভাগে ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৯ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন ও সিলেট বিভাগে একজন ভর্তি হয়েছেন।এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৮৭০ জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।তিনি জানান, রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পুলিশের একটি দল আজ দুপুর ২টার দিকে গ্রেপ্তার করেছে।এর আগে, রোববার (২২ জুন) সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএনপি। দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। এরপর গত ২২ জুন রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আরেক সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিডিআর বিদ্রোহে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিআরআইসিএম নতুন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানায় কমিশন।সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কারও নাম প্রকাশ করা হবে না বলেও জানান তিনি।পিলখানা হত্যাকাণ্ডের তৎকালীন তদন্ত কমিটি তাদের কাজে চরম অবহেলা করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিশনের সভাপতি । তখন গণমাধ্যমও বিষয়টি ভিন্নখাতে নেয়ার কাজ করেছে বলেও আভিযোগ করেন তিনি। তখন সময়মতো সামরিক ব্যবস্থা নেয়া হলে হত্যাকাণ্ড কমানো যেত বলে মনে করেন ফজলুর রহমান।এছাড়া তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ইতোমধ্যে ১৫৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এখনও তালিকায় আছেন ৫০ জন। বর্তমানে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা আজম ও জাহাঙ্গীর কবীর নানকও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লিখিত সাক্ষ্য দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিশন।প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পৃথিবীর সর্বনাশের জন্য যারা দায়ী তারা আমরা সবাই এখানে হাজির। আমরা আসামি।বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবং পরিবেশ ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের পৃথিবী বিভিন্ন ধরনের সংকটে জড়িত। যুদ্ধবিগ্রহ, প্রযুক্তির অপব্যবহার আমাদের সামনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু যে চ্যালেঞ্জটা আমরা এখনো অনেকে উপলব্ধি করতে পারছি না, সেটা হলো প্রকৃতির বিধ্বংসী-রূপ। এটা প্রকৃতির দোষ না, আমাদের দোষ। আমরা মানুষ যারা এখানে বসবাস করি, প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার কথা। কিন্তু তাল মিলিয়ে না চলে উল্টো পথে চলি। দোষটা প্রকৃতির না, দোষটা হলো প্রকৃতি-বিধ্বংসী এক জীব, যার নাম মানুষ।তিনি বলেন, আমাদের সামনে দৈত্যাকারে হাজির হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জলবায়ু সংকট। সে ক্রমাগত হুঙ্কার দিচ্ছে, হয় আমরা থাকবো, না হয় তোমরা থাকবে। দুইজন একসঙ্গে থাকতে পারবে না।তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার পৃথিবীতে তিন ধরনের সংকট বাড়িয়ে দিয়েছে। জলবায়ুগত সংকট, প্রকৃতিগত সংকট, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি। এটা শুধু প্লাস্টিকের জন্য। আরো বহু জিনিস আছে। প্লাস্টিক ক্রমাগত হুঙ্কার দিচ্ছে, হয় আমরা থাকবো, না হয় তোমরা থাকবে। দুইজন একসঙ্গে থাকতে পারবে না। তাদের জয়যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে আর আমাদের অসহায়ত্ব দেখছে। আমাদের উদ্যোগের অভাব দেখছে। আমরা সব জয় করে নিলাম তোমরা কিছুই করতে পারলে না। এই অসহায়ত্বের মধ্যে আমরা ২০২৫ সালে এই দিবস পালন করছি।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক না থাকায়, পৃথিবীর জলাশয়গুলো পলিথিন ও প্লাস্টিকে ছেয়ে গেছে। জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ