× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

দুই পরাশক্তি মুখোমুখি

নিখিল মানখিন

প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১০:১৫ পিএম

দুই পরাশক্তি মুখোমুখি

দুই পরাশক্তি মুখোমুখি

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ সময় পাল্টা শুল্ক ন্যূনতম ১০ শতাংশ কার্যকর হবে। অবশ্য চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর মধ্য দিয়ে পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এই বানিজ্য লড়াইয়ে কে জিতবে-এমন প্রশ্ন অনেকের।

গত বুধবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক তিন মাস স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘চীন বিশ্বের বাজারগুলোর প্রতি শ্রদ্ধার যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ধার্য করছি। এটা তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।’

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এসব প্রতিনিধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) রয়েছে। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রার মানে কারসাজি ও অশুল্ক বাধাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছে।’

এ পরিপ্রেক্ষিতে চীন বাদে অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমি ৯০ দিনের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত অনুমোদন করেছি। একই সঙ্গে এ সময়ের জন্য পাল্টা শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এটাও তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।’ ট্রাম্পের ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেন, যেসব দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি, সেসব দেশ পুরস্কৃত হবে। ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের আওতায় থাকবে মেক্সিকো ও কানাডাও।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটাকে বাণিজ্যযুদ্ধ বলব না। অবশ্য চীন এটা উসকে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই স্থগিতাদেশ আলোচনার জন্য আমাদের সময় দেবে। আরও দেশ যোগাযোগ করবে বলে আশা করছি।’

যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিরোধের নেপথ্যে : কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দু’দেশের এই বিরোধ নতুন কোনো ঘটনা নয়। এই বিরোধের রয়েছে ৭৬ বছরের পুরনো ইতিহাস। পরাক্রমশালী এই দু’ দেশকে কেন্দ্র করে অঘোষিত হলেও দৃশ্যমান পৃথক পৃথক ভূ-রাজনীতি ও অর্থনৈতিক জোট তৈরি হয়েছে। তাদের মধ্যে সামরিক সংঘাতের শঙ্কাও তৈরি হয়েছে বহুবার। বিভিন্ন দেশের মধ্যে অনেক সামরিক সংঘাত সৃষ্টিতেও এই দু’টি দেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভুমিকা থাকার কথা বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পরস্পরের বিরুদ্ধে ‘ভেটো’ প্রদান করে আসছে দু’দেশ। নানা ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন সময় ঐতিহাসিক বিরোধের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে এই রাষ্ট্র দু’টি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ১২৫ শতাংশ শুল্কারোপকে কেন্দ্র করে দু’টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের ঢামাঢোলের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। শুধু  তাই নয়, এই বিরোধের আয়তন বাণিজ্যক্ষেত্র ছাড়িয়ে ইতিমধ্যে  দু’দেশের সামগ্রিক দিক স্পর্শ করেছে, যা সামরিক ও রাজনৈতিক সংঘাতের শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন যুদ্ধের মারপ্যাঁচে পড়ে  তৃতীয়  বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো আরও ঝুঁকি তৈরি হতে যাচ্ছে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আধুনিক সময়ের কথা বললে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের  মধ্যে ঠান্ডা লড়াইয়ের সূত্রপাত হয়েছিল আজ থেকে ৭৬ বছর আগে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠাকালে। লাখো কৃষকের আশার বাতি হয়ে মাও সে তুংয়ের চীনের জন্মের সময়েই রোপিত হয়েছিল চীন-যুক্তরাষ্ট্র বিরোধের বীজ। নানা সময়ে এর মাত্রা বেড়েছে-কমেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলের প্রথম দফায়  এই উত্তেজনা এতটাই বেড়েছিল যে, মানুষের মনে এমনকি সত্যিকারের যুদ্ধের আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছিল। ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার পর এই উত্তেজনায় ভাটা পড়ার আশা দেখেছিল মানুষ। কিন্তু তা হয়নি। এই না হওয়ার পেছনে বিরোধের দীর্ঘ ইতিহাস যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে পুঁজিতান্ত্রিক অর্থনীতি ও এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিশ্বের নানা সমীকরণ। ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার শাসনামল অর্থাৎ বর্তমানে এই বিরোধের অগ্নিশিখা বহুগুণ  বেড়ে উঠছে।

বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স, বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনসমূহে বলা হয়েছে, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ হঠাৎ করেই যেন গোটা বিশ্বে নব্বইয়ের দশকের স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনার স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিল। প্রথমবার ক্ষমতায় থাকার সময়  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্তপ্ত বাক্য, চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের নেতৃত্বে বেইজিংয়ের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা এবং এসবকে কেন্দ্র করে দুই বাণিজ্যশক্তির দ্বৈরথ একেবারে নিত্যকার ঘটনা হয়ে উঠেছিল। বরাবরের মেতোই জারি ছিল ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার রাজনীতি। কথা হলো চীন-যুক্তরাষ্ট্র এমন উত্তেজনা কি হঠাৎ করেই জন্ম নিল? এটা কি শুধুই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চীনের দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণেই হচ্ছে? নাকি এর মূল আরও অনেক দূর বিস্তৃত ?

প্রতিবেনদসমূহে বলা হয়েছে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সেতুং ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর জাতীয়তাবাদী সরকার চিয়াং কেই শেককে পরাজিত করে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠা করে। তখন চিয়াং এবং তার অনুগামী হাজার হাজার সেনা তখন তাইওয়ানে পালিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র চীনের জাতীয়তাবাদে সমর্থন দিয়েছিল এবং তারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে লড়েছিল। চিয়াংকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরও তাকে সমর্থন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। মূলত তখন থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরোধ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভূ-রাজনীতি ও অর্থনৈতিককেন্দ্রিক বিরোধের তীব্রতা বর্তমানে বেড়েছে কয়েকগুণ।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ‘সামরিক, সাইবার হুমকি চীন’
গত ২৬ মার্চ প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি দেশটির জন্য সবচেয়ে বড় সামরিক ও সাইবার হুমকি হিসেবে বিরাজ করছে চীন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং ‘স্থির কিন্তু অসমভাবে’ তাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছে যা তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যবহার করতে পারে।

বাষিক হুমকি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, প্রচলিত অস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানার সক্ষমতা আছে চীনের, আছে সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে অবকাঠামো ক্ষতি করার সক্ষমতা এবং মহাশূন্যে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পত্তিতে আঘাত হানার ক্ষমতা।

এতে আরও বলা হয়েছে, বেইজিং ২০৩০ সালের মধ্যে শীর্ষ এআই শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে স্থানচ্যুত করতে চাইছে। ইরান, উত্তর কোরিয়া ও চীনের সঙ্গে রাশিয়া সুবিধা লাভের জন্য ইচ্ছাকৃত প্রচারণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ জানানোর চেষ্টা করছে। ইউক্রেইনে মস্কোর যুদ্ধ ‘বড় আকারের যুদ্ধে পশ্চিমা অস্ত্র ও গোয়েন্দা সক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিষয়ে ব্যাপক ধারণা প্রদান করছে’ বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।

মার্কিন সেনেটের গোয়েন্দা কমিটির সামনে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গোয়েন্দা প্রধানদের সাক্ষ্য দেওয়ার আগে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, চীনের গণমুক্তি ফৌজ (পিএলএ) সম্ভবত ভুয়া সংবাদ, ব্যক্তিত্ব অনুকরণ এবং আক্রমণ নেটওয়ার্ক সক্রিয় করতে বড় বড় ভাষা মডেল ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড সেনেটের ওই কমিটিকে বলেছেন, “চীনের সামরিক বাহিনী হাইপারসিনক অস্ত্র, স্টিলথ আকাশযান. সর্বাধুনিক সাবমেরিন, শক্তিশালী মহাশূন্য ও সাইবার যুদ্ধের সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে এবং পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার গড়ে তুলে সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।”গ্যাবার্ড বেইজিংকে ওয়াশিংটনের ‘সবচেয়ে সক্ষম কৌশলগত প্রতিযোগী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী এআই শক্তি থেকে স্থানচ্যুত করতে চীন প্রায় নিশ্চিতভাবে একটি বহুমুখী, জাতীয় স্তরের কৌশল প্রণয়ন করেছে।”
৩৩ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনে রাশিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়ার মতো অন্য দেশগুলো থেকে আসা সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে কথা থাকলেও চীন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগই এতে প্রাধান্য পেয়েছে। প্রতিবেদনের প্রায় এক তৃতীয়াংশজুড়ে চীনের কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, চীন তাইওয়ানের প্রতি সামরিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে চীন।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “গণমুক্তি ফৌজ সম্ভবত তাইওয়ান দখলের চেষ্টায় এবং প্রয়োজন হলে মার্কিন হস্তক্ষেপকে পরাজিত করতে যে সক্ষমতা ব্যবহার করবে তার স্থির কিন্তু অসম অগ্রগতি ঘটাচ্ছে।”

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, চীনের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ছিল গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদগুলোতে প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণ করা এবং এটিকে আর্কটিক অঞ্চলে একটি ‘প্রধান কৌশলগত অবস্থান’ হিসেবে ব্যবহার করা।

এই প্রতিবেদনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের চীন দূতাবাসের মুখপাত্র লু পাংইউ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক আধিপত্য ধরে রাখতে দীর্ঘ দিন ধরেই চীনের হুমকিবিষয়ক ‘বাগাড়ম্বরকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

সামনে এলো বাণিজ্যযুদ্ধ

বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের পণ্যে দফায় দফায় অতিরিক্ত ১২৫ শতাংশ শুল্ক বুধবার কার্যকর হয়েছে।  ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের জবাবে চীন মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যা আগে ছিল ৩৪ শতাংশ। গতকাল ১০ এপ্রিল থেকে এই শুল্ক কার্যকর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্ককে নিপীড়নমূলক আখ্যা দিয়ে তারা এই শুল্ক আরোপ করে।

এদিকে চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের বিরুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত’ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে বেইজিং। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নতুন করে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পর চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা  দেয়। গতকাল বুধবার এই হুমকি ইতিমধ্যে কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক বাড়ানোর মার্কিন হুমকিটি একটি ভুলের ওপর আরেকটি ভুল। এর মধ্য দিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতারণা করার স্বভাব প্রকাশ পেয়েছে। চীন কখনোই এটা মেনে নেবে না।’

যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়ালে চীন তার নিজস্ব অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য শক্তভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে বলেও সতর্ক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তাহলে এর শেষ না দেখা পর্যন্ত চীনের লড়াই চলবে।’

মঙ্গলবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আবারও বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপ চায়। বাণিজ্যযুদ্ধে কেউ জয়ী হতে পারে না বলেও সতর্ক করেছে তারা। ট্রাম্পের শুল্কারোপের সিদ্ধান্তকে  ‘ভুলের ওপর ভুল’ বলে অভিহিত করেছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দুই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে গত বছর, সব মিলিয়ে প্রায় ৫৮৫ বিলিয়ন ডলার (৫৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য বাণিজ্য হয়েছে।
হিসাব অনুযায়ী, গত বছর চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হয়েছে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার (৪৪ হাজার কোটি ডলার) মূল্যের বাণিজ্য পণ্য আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন আমদানি করেছে ১৪৫ বিলিয়ন ডলার (১৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার) মূল্যের পণ্য। এর ফলে ২০২৪ সালে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২৯৫ বিলিয়ন ডলার (২৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার)। এই ঘাটতি বেশ উল্লেখযোগ্য এবং এর পরিমাণ কিন্তু মার্কিন অর্থনীতির প্রায় এক শতাংশের সমান।

ইন্টারন্যাশানাল মানিটরি ফান্ড (আইএমএফ) বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ৪৩ শতাংশই দখল করে রয়েছে দুই দেশ- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। চীন বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ। সে দেশের উৎপাদনের পরিমাণ সেখানকার নাগরিকরা যা ভোগ করেন তার চাইতে বেশি। চীনের তরফে ইতোমধ্যে প্রায় এক লাখ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। এর অর্থ হলো, চীন বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আমদানির চাইতে বেশি পণ্য রফতানি করছে।

দেশীয় ভর্তুকি এবং অনুকূল সংস্থাগুলোর জন্য সস্তায় ঋণের মতো রাষ্ট্রীয় আর্থিক সহায়তার কারণে চীনে অনেক কম মূল্যে উৎপাদন সম্ভব হয়। যেমন এক্ষেত্রে ইস্পাত একটা উদাহরণ। এখন একটা ঝুঁকি থেকে যায় যে চীন যদি এই জাতীয় পণ্যগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে না প্রবেশ করাতে পারে তাহলে চীনা সংস্থাগুলো ওই পণ্য বিদেশে “ডাম্প” করার চেষ্টা করতে পারে। কিছু উপভোক্তাদের জন্য এটা উপকারী হতে পারে কিন্তু এই জাতীয় পদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে যে উৎপাদকরা রয়েছে তাদের উপর প্রভাব ফেলবে। ওই দেশে চাকরি এবং মজুরির ক্ষেত্রে তা হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
লবি গ্রুপ ‘ইউকে স্টিল’ ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের বাজারে অতিরিক্ত ইস্পাত পুনঃনির্দেশিত হওয়ার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে।

রাজনৈতিক-সামরিক বিরোধও আছে দু’দেশের 
সরাসরি বড় সামরিক সংঘাতে না জড়ালেও বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধ-বিগ্রহ সৃষ্টিতে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে ভুমিকা রেখে আসছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিককেন্দ্রিক পৃথক পৃথক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক জোট রয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের। বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত, মতামত ও সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডের বিবেচনায় চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরানসহ বেশ কিছু দেশ অভিন্ন মঞ্চে একাত্মতা প্রকাশ করে আসছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের জোটের অনেকটা ভাঙন দেখা দিয়েছে।

শুল্কসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সম্প্রতি দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্রসমূহ বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোসহ কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ওই সব দেশের দিকে ঝুঁকে পড়ছে চীন। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধেও অনেকটা সরাসরিভাবে ইউক্রেনকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর অদৃশ্য অবস্থান থেকে রাশিয়াকে সমর্থন দিয়েছে চীন। আর তাইওয়ানকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে এবং কিউবাকে দিয়ে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে মাঝে মধ্যেই রাজনীতির আগুনের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও পরস্পরের বিরুদ্ধে  ‘ ভেটো’ প্রদান করে আসছে দু’দেশ।

গত ৭৬ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলেও চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধের তীব্রতা লক্ষ্য করা গেছে। ১০৫০ সালের কোরিয়ান যুদ্ধ, ১৯৫৪ সালের শুরু হওয়া তাইওয়ান প্রণালী সংকট, ১৯৫৯ সালের তিব্বত বিদ্রোহ, ১৯৬৪ সালে পরমাণু শক্তিধর দেশের তালিকায় চীনের প্রবেশ, ১৯৭১ সালের পিংপং কূটনীতি, ১৯৭৯ সালের ‘ এক চীন’ নীতিতে মার্কিন স্বীকৃতি, ১৯৮৯ সালের তিয়েতনামে গণহত্যা, ১৯৯৬ সালের তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ২০০১ সালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রর বিমান সংঘর্ষ, ২০০৭ সালে চীনের সামরিক বাজেট বৃদ্ধি, ২০১১ সাল থেকে এশিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগিতা বৃদ্ধি, ২০১৪ সালে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সেনা মোতায়েন ইত্যাদি ইস্যুতে চীন  ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতামূলক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা দ্য গার্ডিয়ানে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক ব্যয় বাড়ানোর ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্রর পরেই চীনের অবস্থান।গবেষণাপ্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির ৬০ বছরের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির চিত্র।

সামরিক ব্যয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির মোট অর্ধেকই তারা করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক ব্যয় ২ দশমিক ৩ শতাংশ ও চীন ৬ শতাংশ বাড়িয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২০২২ সালের তুলনায় গবেষণা, উন্নয়ন, পরীক্ষা ও মূল্যায়নে আরও ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাশিয়া ২০১৪ সালে যখন প্রথম ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ও পূর্ব দনবাসে আক্রমণ করে, তখন থেকেই সামরিক ব্যয় বাড়ানোর পথে হাঁটতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তখন থেকে নতুন অস্ত্র তৈরি ও উন্নত সমর সক্ষমতার ওপর গুরুত্ব দিতে শুরু করে তারা। চীন ২০২৩ সালে সামরিক খাতে ২৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচের ঘোষণা দেয়, যা আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি। ২৯ বছর ধরে ক্রমাগত সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে চলেছে চীন।

গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ মধ্য আমেরিকার দেশ পানামা সফর করে চীনকে পানামা খাল নিয়ে সতর্কবার্তা দেন। জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর হেগসেথ হলেন দ্বিতীয় কোনো শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা, যিনি পানামা সফর করছেন। তিনি জলপথে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের খনন করা খালটি ‘ফেরত নেওয়ার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

প্রবেশপথে অবস্থিত একটি পুলিশ স্টেশনে বক্তৃতাকালে হেগসেথ বলেন, ‘আজ পানামা খাল ক্রমাগত হুমকির সম্মুখীন। কমিউনিস্ট চীন কিংবা অন্য কোনো দেশকে এই খালের অখণ্ডতা বা কার্যক্রমকে হুমকির মুখে ফেলতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।’

হেগসেথ বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, চীন এই খালটি তৈরি করেনি। চীন এই খালটি পরিচালনা করে না। আর চীন এই খালটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে না।’

মুলিনোর সঙ্গে কথা বলার সময় হেগসেথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পানামা একসঙ্গে ‘চীনের প্রভাব থেকে পানামা খালকে পুনরুদ্ধার করবে। পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে কার্যকর এবং সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধ বাহিনীর প্রতিরোধক্ষমতা ব্যবহার করে এটিকে সব দেশের জন্য উন্মুক্ত রাখবে।
বিশেষজ্ঞরা যা বললেন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম বলেন,  বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যেখানে কেবল সামরিক শক্তি ব্যবহারই তার রাজনৈতিক কর্তৃত্বকে অক্ষুন্ন রাখতে পারে। এখানে সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠা, পারস্পরিক সহাবস্থান এবং শক্তির ভারসাম্য সৃষ্টি করার মতো রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব চীন ও রাশিয়ার মতো দেশকেও উগ্রপন্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান অস্থির পরিস্থিতি তাদের এ ধরনের নীতিকে বুঝতে আমাদের সহায়তা করে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান শান্তি আলোচনার মধ্যেই নতুন করে ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর সংঘাত একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের পূর্বাভাস দেয়।

লেবাননে একসঙ্গে কয়েক হাজার পেজার বিস্ফোরণের হতাহতের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েল দায় স্বীকার না করলেও বুঝতে অসুবিধা থাকার কথা নয় যে শান্তি আলোচনার নাম করে ইসরায়েলের হাত ধরে এই অঞ্চলে সংঘাতকে প্রলম্বিত করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এটিও ঠিক যে সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে চীন ও রাশিয়ার নীতি পরিষ্কার করে জানানো না হলেও এই অঞ্চলে ইরানের মিত্র তারা এবং যখন একটি সর্বাত্মক যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠবে, তখন বৃহৎ শক্তিবর্গের নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগ থাকবে না। আন্তর্জাতিক এই সংঘাতগুলো সমাধানের জন্য যে রাজনৈতিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন, এর জন্য সর্বাগ্রে যুক্তরাষ্ট্রকেই এগিয়ে আসতে হবে।

অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এ ধরনের পরস্পরবিরোধী বাণিজ্য পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদী হলে তা বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতিকে ধীর করবে এবং এর ফলে বৈশ্বিক কর্মসংস্থানে ও বাংলাদেশের মতো স্বল্প মাত্রায় রপ্তানি করে এমন দেশগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের শিক্ষক ড. সুবর্ণ বড়ুয়া বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ করেছে চীনা রপ্তানির ওপর এবং সেটি যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির জন্য প্রযোজ্য হলেও বৈশ্বিক বাণিজ্যেই এর প্রভাব পড়বে।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
 ময়মনসিংহে আর্চ স্টিল ব্রিজ প্রকল্পে নকশা পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগ

ময়মনসিংহে আর্চ স্টিল ব্রিজ প্রকল্পে নকশা পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগ

 ২,৯০০ পদে জনবল নিয়োগ দিচ্ছে টিএমএসএস

২,৯০০ পদে জনবল নিয়োগ দিচ্ছে টিএমএসএস

 ভালুকায় বাবাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ, ছেলেকে ‘চাঁদাবাজ’ বানানোর অভিযোগ

ভালুকায় বাবাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ, ছেলেকে ‘চাঁদাবাজ’ বানানোর অভিযোগ

 রাজাপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২, শোকের ছায়া পাথরঘাটায়

রাজাপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২, শোকের ছায়া পাথরঘাটায়

 ক্লাব বিশ্বকাপে ফের মেসি ম্যাজিকের অপেক্ষা, রোববারই মাঠে নামছে ইন্টার মায়ামি

ক্লাব বিশ্বকাপে ফের মেসি ম্যাজিকের অপেক্ষা, রোববারই মাঠে নামছে ইন্টার মায়ামি

 বিতর্কিত স্ট্যাটাসের জেরে বাতিল শিরিন শিলার বিটিভির অনুষ্ঠান

বিতর্কিত স্ট্যাটাসের জেরে বাতিল শিরিন শিলার বিটিভির অনুষ্ঠান

 পাইরেসির কবলে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’, অনলাইনেই দেখা যাচ্ছে সিনেমা

পাইরেসির কবলে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’, অনলাইনেই দেখা যাচ্ছে সিনেমা

 জামালপুরে ডিবি পুলিশের অভিযানে নগদ অর্থ ও জুয়ার সরঞ্জামসহ ৫ জন আটক

জামালপুরে ডিবি পুলিশের অভিযানে নগদ অর্থ ও জুয়ার সরঞ্জামসহ ৫ জন আটক

 সুনামগঞ্জে চুরির সময় দায়ের কোপে যুবকের মৃত্যু, আটক ১

সুনামগঞ্জে চুরির সময় দায়ের কোপে যুবকের মৃত্যু, আটক ১

 মানিকগঞ্জে এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

মানিকগঞ্জে এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটি ঘোষণা

 কোচিংয়ে যাওয়ার পথে নিখোঁজ, ২ দিন পর জঙ্গলে মিলল লাশ

কোচিংয়ে যাওয়ার পথে নিখোঁজ, ২ দিন পর জঙ্গলে মিলল লাশ

 একসঙ্গে ছয়টি বিসিএস পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করল পিএসসি

একসঙ্গে ছয়টি বিসিএস পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করল পিএসসি

 আটকে পড়া ইরানি হজযাত্রীদের সহায়তায় সৌদি বাদশাহর নির্দেশ

আটকে পড়া ইরানি হজযাত্রীদের সহায়তায় সৌদি বাদশাহর নির্দেশ

 বিশ্বব্যাংকের ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন

বিশ্বব্যাংকের ২৫০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা অনুমোদন

 ইরানি হামলায় ধ্বংস ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর

ইরানি হামলায় ধ্বংস ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর

 সোমবার থেকে টানা তিন দিন  ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

সোমবার থেকে টানা তিন দিন ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

 বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

 ইরানের আসাদাবাদে ড্রোন হামলা, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ নিহত ২

ইরানের আসাদাবাদে ড্রোন হামলা, পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ নিহত ২

 আবারও  বাড়ল স্বর্ণের দাম

আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

সংশ্লিষ্ট

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, করোনা শনাক্ত ৭

ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, করোনা শনাক্ত ৭

সংস্কারের জন্য তিন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়: আসিফ নজরুল

সংস্কারের জন্য তিন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়: আসিফ নজরুল

‎জুলাই থেকে জাপানে শুরু হচ্ছে এনআইডি সেবা

‎জুলাই থেকে জাপানে শুরু হচ্ছে এনআইডি সেবা

গ্যাস দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তিতাসের সতর্কবার্তা

গ্যাস দুর্ঘটনা প্রতিরোধে তিতাসের সতর্কবার্তা