চার অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
দেশের চার অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ পরিস্থিতিতে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বাধার মুখে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকরা।মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর আড়াইটার পর রাজধানীর বিজয় নগরে শ্রম ভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে যমুনা অভিমুখে যেতে থাকেন তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।সরেজমিনে দেখা যায়, বেতনের দাবিতে ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে দিতে পল্টনের দিক থেকে যমুনার উদ্দেশে এগিয়ে আসেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এরপর কাকরাইল মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দিলে আন্দোলনকারীরা কাকরাইল মোড় অবরোধ করে সেখানে বসে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেওয়া পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন আশুলিয়ায় অবস্থিত চেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, গাজীপুরে অবস্থিত টিএনজেড গ্রুপের আটটি প্রতিষ্ঠান ও ডার্ড গ্রুপের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারও চালু হবে বিআরটিসি স্পেশাল সার্ভিস। ঘরমুখো মানুষের সহজ ও আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিতকরণে আগামী ৩ জুন থেকে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস' এর আয়োজন করেছে বিআরটিসি। সোমবার (১৯ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআরটিসি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ উপলক্ষে আগামী ২৪ মে থেকে বিআরটিসির সংশ্লিষ্ট ডিপো থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে এবং আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ঈদ সার্ভিসের বাস চলাচল করবে। ঢাকার মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো (চাষাড়া) থেকে বিভিন্ন রুটগুলোর (ঢাকা থেকে) অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।যেসব ডিপো থেকে রুট পরিচালনা করা হবে তার মধ্যে মতিঝিল বাস ডিপো থেকে রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট রুটে; কল্যাণপুর বাস ডিপো থেকে আরিচা, পাটুরিয়া, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল রুটে; গাবতলী ডিপো থেকে রংপুর, বরিশাল, খুলনা, গোপালগঞ্জ, পাটুরিয়া, বগুড়া রুটে; জোয়ারসাহারা বাস ডিপো থেকে রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নওগাঁ, বরিশাল, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল রুটে; মিরপুর বাস ডিপো থেকে রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, মাওয়া, পাটুরিয়া, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, ভাটিয়াপাড়া, ময়মনসিংহ রুটে; মোহাম্মদপুর বাস ডিপো থেকে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, বগুড়া, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, পাটুরিয়া, বরিশাল, গোপালগঞ্জ রুটে; গাজীপুর বাস ডিপো থেকে ময়মনসিংহ, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, খুলনা, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম রুটে; যাত্রাবাড়ী বাস ডিপো থেকে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, ভাঙ্গা, ফরিদপুর, বরিশাল রুটে; নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো থেকে রংপুর, কুষ্টিয়া, জামালপুর, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজশাহী, ভাঙ্গা, নেত্রকোণা রুটে; নরসিংদী বাস ডিপো থেকে স্বরূপকাঠী, রংপুর, নওগাঁ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, বগুড়া রুটে; কুমিল্লা বাস ডিপো থেকে সিলেট, সুনামগঞ্জ রুটে; সিলেট বাস ডিপো থেকে ময়মনসিংহ, রংপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম রুটে; দিনাজপুর বাস ডিপো থেকে ঢাকা-দিনাজপুর রুটে; সোনাপুর বাস ডিপো থেকে চট্টগ্রাম রুটে; বগুড়া বাস ডিপো থেকে যশোর, রংপুর, বরিশাল রুটে; রংপুর বাস ডিপো থেকে পঞ্চগড়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা রুটে; খুলনা বাস ডিপো থেকে রংপুর, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা রুটে; পাবনা বাস ডিপো থেকে গাজীপুর, কুষ্টিয়া, ঢাকা রুটে; ময়মনসিংহ বাস ডিপো থেকে গাইবান্ধা (সুন্দরগঞ্জ), ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, শেরপুর, ঘাটাইল, সিলেট, ঢাকা রুটে; চট্টগ্রাম বাস ডিপো থেকে রংপুর, সিলেট, ভোলা রুটে; টুঙ্গীপাড়া বাস ডিপো থেকে ঢাকা, চিলমারী, পাটগাতী রুটে; বরিশাল বাস ডিপো থেকে ঢাকা, রংপুর, কুয়াকাটা রুটে যাত্রীদেরকে বিআরটিসির ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ এর সেবাগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।বাস রিজার্ভের জন্য ম্যানেজার (অপা.) যথাক্রমে মতিঝিল বাস ডিপো-মোবা: ০১৯১৬৭২১০৪৪, কল্যাণপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১৫৬৫২৬৮৩, গাবতলী বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১২২৮১১২১, জোয়ারসাহারা বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১৪২৪০৬৫৩, মিরপুর বাস ডিপো- মোবা: ০১৭৪০০৯৮৮৮৮, মোহাম্মদপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১০৮১৫৮৫৬, গাজীপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৫৫৩৩৪৯৫৬৭, যাত্রাবাড়ী বাস ডিপো-মোবা: ০১৭৩৪১৫৫৩২৪, নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো-মোবা: ০১৭৩৬৯৮৪৯৩৫, কুমিল্লা বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১৭৭৬৩৮২০, নরসিংদী বাস ডিপো-মোবা: ০১৭২৯৩৩৯৫১৯, দিনাজপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৫৫২৪৪২৫৬৬, সোনাপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৭৩৭৭২২৮৮২, বগুড়া বাস ডিপো-মোবা: ০১৯১৩৭৪১২৩৪, রংপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১২৩৮২১৪৪, খুলনা বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১১৭০৮০৮৯, পাবনা বাস ডিপো-মোবা: ০১৯১৯৪৬৫২৬৬, ময়মনসিংহ বাস ডিপো-মোবা: ০১৭৫৮৮৮০০১১, চট্টগ্রাম বাস ডিপো-মোবা: ০১৭৯৮১৩১৩১৩, টুঙ্গীপাড়া বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১২৯০৪১২০, বরিশাল বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১১৯৯৮৬৪২, সিলেট বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১৯৪০৯৪০৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি প্লেনের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি টের পেয়ে পাইলট প্লেনটি জরুরি অবতরণ করে। প্লেনটিতে ২৯০ জন যাত্রী ছিল। মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ধারণা করা হচ্ছে, বার্ড হিটে (পাখির সঙ্গে ধাক্কা) উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে গিয়েছিল।জানা গেছে, TK713 নম্বর ফ্লাইটটি (মডেল: এয়ারবাস এ৩৩০-৩০৩) সকাল ৭টার দিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে ২৯০ জন যাত্রী নিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের প্রায় ১৫ মিনিটের মধ্যে বিমানের একটি ইঞ্জিনে স্পার্ক লক্ষ্য করেন পাইলট। তিনি বিমানটি ফিরিয়ে আনেন এবং আকাশে প্রায় দেড় ঘণ্টা চক্কর দিয়ে জ্বালানি খরচের পর সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে বিমানটি নিরাপদে জরুরি অবতরণ করে।গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগীব সামাদ বলেন, পাইলট বিমানটির একটি ইঞ্জিনে স্পার্ক দেখতে পান, যা বার্ড হিটের কারণে হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যাত্রীরা সম্পূর্ণ নিরাপদে আছেন।বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যাত্রীদের বিমান থেকে নামিয়ে হোটেলে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বিকল্প ব্যবস্থার বিষয়ে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।উল্লেখ্য, গত ১৬ মে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের বাম পাশের ল্যান্ডিং গিয়ার খুলে পড়ে যায়। সেখানেও পাইলটের দক্ষতায় ৭১ জন যাত্রীসহ বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিকসহ প্রায় সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে করণীয় ঠিক করতে আজ মঙ্গলবার জরুরি সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিকেল ৪টায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো এবং আশুকরণীয় নির্ধারণে বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।এছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।গত শনিবার ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তাতে বলা হয়েছে, কোনো স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কোনো ধরনের পোশাক পণ্য ভারতে ঢুকতে পারবে না।এছাড়া এই আদেশে ফল, ফলের-স্বাদযুক্ত পানীয় ও কার্বোনেটেড ড্রিংকস; বেকারি, চিপস, ন্স্যাকস এবং কনফেকশনারিতে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাবার; তুলা ও সুতার ঝুট; পিভিসিসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য এবং কাঠের তৈরি আসবাবপত্র আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গের চেংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী দিয়ে ভারতের আমদানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও পাথর আমদানি বহাল রেখেছে দেশটি।সেই সঙ্গে ভারতের ওপর দিয়ে ভুটান ও নেপালে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানিও অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে তারা। তাছাড়া তৈরি পোশাক এখন থেকে কেবল কলকাতা ও মুম্বাইয়ের নভসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে ভারতে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় তৈরি পোশাক। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে ৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। ভারত স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করায় এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা।এ ছাড়া ভারতের নতুন বিধিনিষেধের কারণে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে বলছেন খাতটির রপ্তানিকারকেরা। গত অর্থবছর ভারতে ১৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া গত অর্থবছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে ৪ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য, ৩ কোটি ১৩ লাখ ডলারের তুলা ও তুলার সুতার ঝুট ও ৬৫ লাখ ডলারের আসবাব রপ্তানি হয়। এসব পণ্যের অধিকাংশই স্থলবন্দর ব্যবহার করে রপ্তানি হয়ে আসছে।এদিকে গত বছর বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে। এর মধ্যে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে, যা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় পেয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছিল।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসেই গত বছরের পুরো রপ্তানির পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে। ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়া সেভেন সিস্টার্স হিসেবে পরিচিত উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতেও বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হয়েছে। এই রাজ্যগুলোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কোম্পানি নতুন নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনাও করছিলেন। এখন ভারতের নতুন বিধিনিষেধে এর দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীদের অনেকে। কারণ তৈরি পোশাক স্থল বন্দরের পরিবর্তে সমুদ্র বন্দর দিয়ে পাঠাতে হলে খরচ ও সময় দুটি বেশি লাগবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ