ভাগাড়ে ময়লা পোড়ানো যাবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা
ময়লার ভাগাড়ে কোনোভাবেই ময়লা পড়ানো যাবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মাতুয়াইলে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (ময়লার ভাগাড়) এলাকা পরিদর্শন শেষে বায়ু দূষণ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলের আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে শিগগিরই এই ময়লার ভাগাড় মাতুয়াইল থেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ময়লার ভাগাড়ে কোনভাবেই ময়লা পোড়ানো যাবে না। এ সময় ব্যাটারি পোড়ানো বা ব্যাটারির সিসা আলাদা করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক বায়ু দূষণ থেকে বাঁচতে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (ময়লার ভাগার) দ্রুত সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছে আসছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখানে ময়লা পোড়ানো বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ারও জোর দাবি তাদের।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশে ডেঙ্গু ও করোনা পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৬৯ জন ডেঙ্গুরোগী। করোনা শনাক্তের সর্বাত্মক কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। এর মাঝেও গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে ৭ জন করোনা রোগী।শনিবার (১৪ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ জন বরিশালের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে।এছাড়া, ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৩৫, (সিটি করপোরেশন বাদে) চট্টগ্রাম বিভাগে ২৮ জনও ঢাকা বিভাগে ৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৭৩৯ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু করোনা প্রতিরোধ-সংক্রান্ত তৎপরতা প্রায় নেই বললেই চলে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনার তথ্য সংগ্রহ-সংক্রান্ত কাজও ঢিমেতালে চলছে। রাজধানীর কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল ছাড়া দেশের কোথাও করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও শনাক্তের ব্যবস্থা নেই। রয়েছে কীটের তীব্র সংকট। নমুনা পরীক্ষার সুব্যবস্থা থাকলে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার অনেকগুণ বেশি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়। এগুলো হলো দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে অল্প খরচে মামলা নিষ্পত্তি করা, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং মামলার অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া। আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর প্রাথমিক খসড়ার ওপর এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা তার মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে এ কথা বলেন।শনিবার (১৪ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন জেলার আইনজীবী সমিতির নেতা, বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের প্রতিনিধি এবং আইন মন্ত্রণালয় ও আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। তারা আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ওপর বিভিন্ন পরামর্শ দেন।আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্কার কার্যক্রমের কথা বলতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অনেকগুলো কর্মসূচি নিতে পেরেছি। সংস্কার কার্যক্রমের ব্যাপারে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। একটি হচ্ছে দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে অল্প খরচে মামলা নিষ্পত্তি করা। এই লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটা পরিবর্তন ইতোমধ্যে করেছি, সেটা হচ্ছে দেওয়ানি কার্যবিধির পরিবর্তন করেছি। দ্বিতীয়ত, ফৌজদারি কার্যবিধির সংশোধনের কাজও দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছি। আশা করি এক মাসের মধ্যে এটি আইন আকারে (অধ্যাদেশ) পাস করতে পারব।’ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সংস্কারের দ্বিতীয় লক্ষ্য উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি খুব কঠিন কাজ। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটালাইজেশনের কথা চিন্তা করা হচ্ছে। বিচারকদের প্রশিক্ষণ শিক্ষাক্রমের মান উন্নত করার কথা চিন্তা করছেন। বিচার বিভাগের সবার সম্পদ বিবরণী সংগ্রহ করা হয়েছে। সেটি নিয়ে ভবিষ্যতে আরও কাজ করা হবে। এ ছাড়া আইনজীবীদের সহায়তায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দ্বিতীয় এই লক্ষ্য পূরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের তৃতীয় লক্ষ্য হচ্ছে, মামলার অভিশাপ থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া। এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য আইনগত সহায়তা সংস্থার অধীনে যেসব আইন আছে, সেগুলো পরিবর্তন করতে যাচ্ছি।’আইনগত সহায়তা প্রদান আইন সংশোধন প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থায় প্রথম সভায় তিনি জেনেছেন, প্রতিবছর গড়পড়তা দেশে ৫ লাখ মামলা হয়। সেখানে সরকারি আইনগত সহায়তার মাধ্যমে ৩৫ হাজার মামলা নিষ্পত্তি করা যায়। আদালতের তুলনায় এখানে নিষ্পত্তিতে সময় কম লাগে এবং ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট থাকেন। এটা বড় সুযোগ।যদি আইনগত সহায়তা কর্মসূচিকে আরও সম্প্রসারণ, দক্ষ ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারলে মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি এক থেকে দুই লাখে নেওয়া যাবে। এক লাখে অবশ্যই পারা যাবে। তাদের লক্ষ্য দুই লাখে নিয়ে যাওয়া। কেউ মধ্যস্থতায় সন্তুষ্ট না হলে মামলা করার সুযোগ থাকছেই বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।তিনি বলেন ‘মধ্যস্থতার জন্য আসাটা বাধ্যতামূলক করছি, মধ্যস্থতার রায় মেনে নেওয়াকে বাধ্যতামূলক করছি না। কাজেই কারও অধিকার কেড়ে নেওয়ার ব্যাপার এখানে থাকছে না।’ভোরের আকাশ/এসএইচ
দশম দেশ হিসেবে জাপানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকাভুক্ত করে এনআইডি দিতে চায় নির্বাচন কমিশন। আগামী জুলাই মাসে শুরু হচ্ছে এনআইডি সেবা কার্যক্রম।শনিবার (১৪ জুন) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা চূড়ান্ত করেছি- যেভাবে উদ্যোগ নিয়েছি আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে জাপানে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় ১৬টি মিশন অফিসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি সেবা দেওয়া হচ্ছে।জানা গেছে, মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সাতটি দেশে আবেদন করেছেন ৪৫ হাজার ১৮৪ জন। তাদের মধ্যে আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন সেরেছেন ২৮ হাজার ৯২৬ জন। তদন্তে বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৫৬৩টি আবেদন। বিভিন্ন উপজেলায় তদন্তাধীন রয়েছে ২১ হাজার ৮৮৯টি আবেদন। এ পর্যন্ত প্রবাসে ১১ হাজারেরও বেশি নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন। পর্যায়ক্রমে ৪০টি দেশে এনআইডি সেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন বর্তমানে ৯টি দেশের ১৬টি মিশন অফিসে এনআইডি সেবা কার্যক্রম দিয়ে যাচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গ্যাসজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য সতর্কতামূলক বার্তা দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এতে রান্নার আগে নির্দিষ্ট কিছু নিরাপত্তাবিধি অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।শনিবার (১৪ জুন) তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপক (মিডিয়া ও জনসংযোগ) মো. আল-আমিনের সই করা এক বার্তায় এই সতর্কতা জানানো হয়।এতে বলা হয়, গ্যাসের চুলা জ্বালানোর কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে রান্না ঘরের দরজা-জানালা খুলে দিয়ে বায়ু চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। চুলার নব, বাটন, হুসপাইপ ও পিতলের চাবিতে কোনো গ্যাস লিকেজ আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে। লিকেজ হলে রাইজারের চাবি বন্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজনে দক্ষ মিস্ত্রি দিয়ে লিকেজ মেরামত করতে হবে।বার্তায় আরও বলা হয়, গ্যাসের লিকেজ বা গ্যাসের গন্ধ পেলে এই নম্বরসমূহে ০১৯৫৫-৫০০৪৯৭-৫০০ ও কল সেন্টার ১৬৪৯৬ এ যোগাযোগ করা যাবে।একইসঙ্গে গ্যাস ব্যবহারে সচেতন হওয়া এবং দুর্ঘটনার হাত থেকে নিরাপদ থাকতে বার্তায় উল্লেখ করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ