আজ থেকে ট্রেনের ঈদযাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে আজ ২১ মে (বুধবার) থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। বাংলাদেশ রেলওয়ে এবারের ঈদযাত্রার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৭ জুন ঈদের দিন ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রির এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর, এবং দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলোর অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
এবার শুধুমাত্র ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যমুখী আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য ৩৩ হাজার ৩১৫টি আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।
রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ঈদের আগে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময়সূচি হবে এভাবে:
রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন, তবে এই টিকিটগুলো ফেরতযোগ্য নয়।
ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে এই বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা চলতি মাসের ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের দেনা-পাওনা পরিশোধ না করলে যেসব মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।বুধবার (২১ মে) সচিবালয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।উপদেষ্টা বলেন, ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। ঈদ সামনে রেখে শ্রমিকের পাওনা ২৮ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। যেসব মালিকের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে তারা বিদেশে থাকলে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলেছি।বেতন পরিশোধ না করলে মালিকরা দেশের বাইরে তো দূরের কথা ঢাকার বাইরে যেতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন না দেওয়ায় পাঁচ মালিকের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে। আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হবে। হয় পাওনা শোধ করতে হবে, অন্যথায় জেলে যেতে হবে।ঈদে নৌপথের নিরাপত্তায় লঞ্চে অস্ত্রধারী চারজন করে আনসার থাকবে, বাল্কহেড ঈদের আগে ও পরে তিনদিন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সচিবালয়ে থাকা আওয়ামী লীগের দোসর আমলাদের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘জুলাই ঐক্য’। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সচিবালয়ে ও প্রশাসনে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরদের তালিকা প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরে কর্মরত ৪৪ জন আমলার তালিকা এবং প্রশাসনের ৫০ জন কর্মকর্তার তালিকা প্রকাশ করে। এ সময় তারা সচিবালয়ে কর্মরত আওয়ামী লীগের দোসরদের আগামী ৩১ মের মধ্যে চাকরিচ্যুতের দাবিসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন না হলে মার্চ টু সচিবালয় কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুলাই ঐক্য প্ল্যাটফর্মটির সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ।প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয় এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে কর্মরত স্বৈরাচারের দোসর ৪৪ জন কর্মকর্তা হলেন- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ; কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান; ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইব্রাহীম; আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবাররক; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান; অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আব্দুর রহমান খান; অর্থ বিভাগের সচিব ড. মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান মজুমদার; পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. রুহুল আমিন; দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন; বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান; বিপিএটিসি সাইদ মাহবুব খান; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুকাব্বির হোসেন; স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান; জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. শহিদুল্লাহ; বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক; শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ.এইচ.এম শফিকুজ্জামান; জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরিন আফরোজ; বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (চুক্তিভিত্তিক) মোহাম্মদ জয়নুল বারী; সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান (চুক্তিভিত্তিক) মো. মুসলিম চৌধুরী; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশরাত চৌধুরী; বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক (সচিব) শরিফা খান; মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের; স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী; মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) জাহেদা পারভীন; ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদেও সিদ্দিকী; পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব এ এম আকমল হোসেন আজাদ; পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন; জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) সুকেশ কুমার সরকার; মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ; প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহমুদুল হোসাইন; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান; ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান; যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মহম্মদ সাইফুজ্জামান; বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান ডক্টর লিপিকা ভদ্র; জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আব্দুল কাইয়ূম; জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে চুক্তিভিত্তিক মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর; মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান; জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ বশিরুল আলম; ওয়াশিংটন ডিসির ইকোনমিক মিনিস্টার মেহেদী হাসান; বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ; সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক কাজী এনামুল হাসান এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান।লিখিত বক্তব্যে জুলাই ঐক্যের সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, গত ১০ মে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিকে সামনে রেখে গত ৬ মে ৩৫টি সামাজিক ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের সমন্বয়ে জুলাই ঐক্যের আত্মপ্রকাশ হয়। বর্তমান ৮০টি সংগঠন জুলাই ঐক্যের শক্তি। আমাদের আত্মপ্রকাশের পর থেকে আওয়ামী নিষিদ্ধের দাবিতে কয়েকটি কর্মসূচি পালন করে জুলাই ঐক্য। সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম যেভাবে নিষিদ্ধ করেছে তা আমরা পুরোপুরি গ্রহণ করিনি। তারপর সরকারকে আমরা এই উদ্যোগের জন্য স্বাগত জানিয়েছি।তিনি বলেন, সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে যে গ্যাজেট প্রকাশ করেছে সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম এবং ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ সরকার নেয়নি। গ্যাজেট অনুযায়ী ১৪ দলের শরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। জুলাই-আগস্টে শুধু নয় গত সাড়ে ১৫ বছর সচিবালয়ের আমলা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা যেভাবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছিল তারা এখনো সচিবালয়সহ বিভিন্ন স্থান নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি আরও বলেন, ২ হাজার প্রাণ ও ৩১ হাজার আহত ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকার পেলেও আমাদের ব্যর্থতা বিপ্লবী সরকার গঠন করতে না পারা। যে সুযোগটি নিয়েছে আওয়ামী লীগের দোসররা। দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন সহযোগিতা করছে কিছু আমলা ও প্রশাসনে থাকা কর্মকর্তারা। আমরা দেখেছি একদিন আগেও ঢাকার একাধিক স্থানে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রশাসন যদি সবর থাকত তাহলে তারা এই মিছিল করতে সাহস পেত না। এখনো আওয়ামী লীগের অনেক এমপি মন্ত্রী দেশে আছে। সরকারের সেই আমলারাই তাদের সেফ এক্সিট দিচ্ছে। সর্বশেষ আব্দুল হামিদ তার প্রমাণ। মোসাদ্দেক আলী বলেন, আমরা অনেক ধৈর্য ধারণ করেছি। আমরা দেখছি জুলাইয়ের শক্তিগুলোকে কীভাবে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমরা জুলাইয় ধারণ করে এখন পর্যন্ত বেঁচে আছি। আমাদের বেঁচে থাকার একটাই উদ্দেশ্য, জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখা। জুলাই না বাঁচলে আমরাও বাঁচব না। এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই জুলাইয়ের শক্তিদের নিয়ে আমাদের জুলাই ঐক্য। আমরা আজকে সচিবালসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং জুলাই আগস্টের আন্দোলনের সময় যে সব ম্যাজিস্ট্রেট গণছাত্র-জনতার বুকে গুলি করেছে রক্তাক্ত করেছে আমার জন্মভূমি, আমরা তাদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করেছি। এটা প্রাথমিক তালিকা। আমরা খুব শিগগিরই আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল সেক্টরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের তালিকা প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছি। পরবর্তী পদক্ষেপ তুলে ধরে জুলাই ঐক্যের সংগঠক এবি জোবায়ের বলেন, আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কালচারাল ফ্যাসিস্ট, শিক্ষাঙ্গন, চিকিৎসাঙ্গন, আইনাঙ্গন এবং গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সেক্টরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের তালিকা প্রকাশ। সরকারের কাছে দাবিগুলো হচ্ছে- আগামী ৩১ মে এর মধ্যে তালিকায় উল্লিখিত সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগের সকল দোসরদের বাধ্যতামূলক অবসর দিতে হবে। তিন সরকারি কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দৃশ্যমান কাজের অগ্রগতি দেশের জনগণকে দেখাতে হবে। দেশের তথ্য পাচারকারী ছাত্রজনতার বুকে গুলি চালানো, নির্দেশকারী এবং সহযোগিতাকারী সকল আমলা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পরিবারসহ সকলের ব্যাংক হিসাব ও অবৈধ সম্পদ জব্দ করতে হবে। স্বৈরাচারের দোসর আমলা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আগামী ৩৬ শে জুলাইয়ের (৫ আগস্ট) মধ্যে এখন পর্যন্ত চিহ্নিত সকল স্বৈরাচারের দোসরদের শ্বেতপত্র সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। আইনের ১৩২ ধারার কারণে থানায় খুনি পুলিশদের নামে মামলা নেওয়া হয় না। আগামী ৩১ মে ২০২৫ খ্রি. মধ্যে এই ধারা বাতিল অথবা সংশোধন করতে হবে। আগামী ৩১ মে এর মধ্যে সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তারা এখন কোথায় আছে এবং কত জন কার সহযোগিতায় দেশ ছেড়েছে তাদের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৪২২ কোটি টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়।এর আগে গত ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রকল্পের লট-২ এর পূর্ত কাজের ব্যয় ৪১ কোটি ২৪ লাখ টাকা বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়। একই বৈঠকে দেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে সিঙ্গাপুর থেকে ১ কার্গো এলএনজি আমদানি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া যশোরে ও কক্সবাজার ১০তলা বিশিষ্ট দুটি হাসপাতাল ভবন নির্মাণের ব্যয় অনুমোদন হয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় মরক্কো ও কাফকো থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলেগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব নিয়ে আসে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনে প্রকল্পের পূর্ত কাজ সিটি জয়েন ভেঞ্চার-এর সঙ্গে ৩ হাজার ২৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় মাঠ পর্যায়ে কাজের ক্ষেত্রে বাস্তবতার আলোকে নির্মাণ কাজের কিছু আইটেম হ্রাস বা বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৪২১ কোটি ৭৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৫৫ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।জানা গেছে, ৬০টি বক্স কালভার্টের স্থানে ১৩৬টি বক্সকালভার্ট নির্মাণ, ৫টি স্টেশনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, কালভার্টের স্পেনের দৈর্ঘ্য ৪৭৬ মিটারের পরিবর্তে ৮২৫ মিটার, ব্রিজের পাইলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিসহ আরও বেশ কিছু কাজ অতিরিক্ত করতে হয়েছে বিধায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে গত ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের লট-২ এর পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে সিসিইসসি এবং ম্যাক্স। প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ছিল ৩ হাজার ৮৬৯ কোটি ৪১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭০ টাকা। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় মাঠ পর্যায়ে কাজের ক্ষেত্রে বাস্তবতার আলোকে নির্মাণ কাজের কিছু আইটেম হ্রাস বা বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৪১ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৭ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়।সিঙ্গাপুর থেকে আসবে ৫৮৬ কোটি টাকার এলএনজি : দেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে সিঙ্গাপুর থেকে ১ কার্গো এলএনজি আমদানি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এই এলএনজি আমদানি করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৫৮৬ কোটি ৪৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৯ টাকায় এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ নির্বচন কমিশনের জন্য ৪০৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৪০ টাকার ‘ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড’ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।যশোর ও কক্সবাজারে ১০তলা হাসপাতাল : যশোরে ও কক্সবাজার ১০তলা বিশিষ্ট দুটি হাসপাতাল ভবন নির্মাণের ব্যয় অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। একই সঙ্গে কুমিল্লার পুলিশ লাইনের ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ তিন প্রকল্পে মোট ৪৭৬ কোটি ৫৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৫ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।বৈঠক সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলায় ১০তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ‘এস্টাব্লিশমেন্ট অব ৫০০ বেডেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অ্যান্ড অ্যানসিলারি বিল্ডিং ইন যশোর, কক্সবাজার, পাবনা অ্যান্ড নোয়াখালী (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলায় ১০তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি দরপত্র জমা পড়ে।৪৭৭ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার : রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় মরক্কো ও কাফকো থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৪৭৭ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। জানা গেছে, বিএডিসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে মরক্কো থেকে ডিএপি সার আমদানি করে। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দীর্ঘদিন ধরে মেগাসিটি ঢাকা বায়ুদূষণের কবলে। বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথমদিকেই রয়েছে রাজধানী ঢাকা।বুধবার (২১ মে) সকালে ঢাকার বায়ুমান আবারও ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। তবে বেশ গত কয়েক দিন শহরটির বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। এদিন সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ১৫৬ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। এই স্কোর দূষণের দিক থেকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হয়।একই সময়ে ১৮৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। এছাড়া ১৬৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, ১৬২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিযেতনামের হো চি মিন সিটি শহর, ১৫৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাইয়ের স্কোর ১৫৬।একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।ভোরের আকাশ/আজাসা