ঘরে বসে পাওয়া যাচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স, দেওয়া যাচ্ছে হোল্ডিং ট্যাক্স
নগরবাসী এখন অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারছেন। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করা এবং ফি জমা দেওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। বুধবার (১৪ মে) বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র ফারজানা ববি।
তিনি বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘ই-রেভিনিউ’ অপশনে ক্লিক করলে সিটিজেন চার্টারে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে রেজিস্টেশন করলে ব্যক্তিগত ড্যাশবোর্ড খুলে যাবে। ড্যাশবোর্ড থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স অপশনে গিয়ে তথ্য প্রদান করে ‘কুইক পে’ অপশন থেকে প্রদানকারীর ব্যাংক একাউন্ট অথবা কার্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
সিটিজেন পোর্টাল থেকে ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং, ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং ট্যাপ ও নগদের মাধ্যমে ডিএনসিসির ট্রেড লাইসেন্স ফি জমা দেওয়া যাবে। একইভাবে সিটিজেন পোর্টাল থেকে নতুন বাড়ি যেগুলো কর তালিকার আওতাধীন নেই সেগুলোর ই-হোল্ডিং নিজেই মূল্যায়ন করে হোল্ডিং ট্যাক্স অপশনে নতুন হোল্ডিং আবেদনে প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে ট্যাক্স কত টাকা, সে সংক্রান্ত তথ্য ও নতুন ই-হোল্ডিং নম্বর পেয়ে যাবেন।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন করদাতাদের কর প্রদান কার্যক্রম সহজ করতে গত ১১ মে থেকে পৌরকর মেলা আয়োজন করছে। মেলা ৩০ মে পর্যন্ত ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে ২৪টি কেন্দ্রে চলবে বলেও জানান ফারজানা ববি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উন্নয়ন হলে সে উন্নয়ন টেকসই হবে না। আমরা যদি প্রকৃতিকে ধ্বংস করে, বন কেটে, পাহাড় কেটে রেললাইন নির্মাণকে উন্নয়ন ভাবি, তাহলে আমরা ভুল পথে চলছি। এ ভুল পথ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।বুধবার (১৪ মে) ঢাকায় শেরে বাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)’র সম্মেলন কক্ষে ‘আবহাওয়া অর্থায়নের জন্য আর্থিক বিশ্লেষণ এবং বিনিয়োগ যন্ত্রের পরিচিতি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উন্নয়ন বরাদ্দ সহযোগিতা যতই আসুক, তা যথেষ্ট হবে না যদি আমরা প্রকৃতিকে সংরক্ষণ না করি, যদি আমরা অভিযোজন এবং প্রশমন উভয় ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না করি।তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত জাতিসংঘ চুক্তি এবং প্যারিস চুক্তির অধীনে যে-সব দেশে আমাদের অর্থ দেওয়ার কথা, তারা এখন প্রকৃতিনির্ভর সমাধানের কথা বলছে অথচ প্রকৃত অর্থ বরাদ্দ করছে না।তারা বলছে, তোমরা নিজেদের প্রস্তুত করো, প্রকৃতি রক্ষা করো, যাতে দুর্যোগে টিকে থাকতে পারো। কিন্তু তারা নিজেদের দায় কমিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। এটি কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান নয়। প্রকৃতি ও বন রক্ষার ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে হবে।রিজওয়ানা হাসান বলেন, একটা সুবিধার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যেখানে সিডা, এডিবি এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা সহায়তা করছে। আমরা চাই, এই প্রক্রিয়াটি ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকরভাবে শুরু হোক। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করেছি এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে বসতে যাচ্ছি।উপদেষ্টা আরও বলেন, আজকের বাস্তবতায়, অভিযোজনের জন্য অর্থায়ন না পেলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। অথচ, অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য বরাদ্দের যে গ্লোবাল সমতা, তার কাছেও আমরা পৌঁছাতে পারিনি। বেশিরভাগ অর্থই যাচ্ছে প্রশমনে, যা উন্নত দেশগুলোর দায়িত্ব। ফলে আমরা একদিকে এমন সমস্যার ভুক্তভোগী, যা আমরা তৈরি করিনি, অন্যদিকে সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের ঋণ নিতে হচ্ছে। তাই জলবায়ু অর্থায়নের রাজনীতি এবং ন্যায়বিচারের রাজনীতি গভীরভাবে বোঝা দরকার। আমাদের পরিকল্পনা আরও স্মার্ট, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সংগত হতে হবে। এখানে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অনেক কিছু হয়েছে, আরও অনেক কিছু হওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যা হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়, এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থাও যথেষ্ট নয়।অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য রাখেন। ইআরডির অতিরিক্ত সচিব একেএম সোহেল অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণের ওপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে এডিবি, সিডা, জিআইজেডসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার এদেশীয় প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে করা চুক্তির মাধ্যমেই শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। বুধবার (১৪ মে) সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেন, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছে; দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেবে দুদক।দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিক, দুইজনকেই দেশে ফেরাতে কমিশন কাজ করছে।শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল ২০১১ সালে। সে চুক্তির আওতায় তাকে ফেরত আনা সম্ভব। আমরা আদালতের আদেশ অনুযায়ী কাজ করব। ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে টিউলিপকে এদিন সকাল ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। তবে তিনি হাজির হননি।এ প্রসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক হাজির না হওয়ায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন।তিনি বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ নিয়ম অনুযায়ী সবাই পেয়ে থাকেন। কেউ উপস্থিত না হলে আন্তর্জাতিকভাবে যেটি প্রযোজ্য, সেটি অনুসরণ করা হবে।তিনি আরও বলেন, যদি আমরা স্বাভাবিকভাবে তাকে না পাই, কিংবা তিনি যদি বিদেশি নাগরিক হন অথবা পলাতক থাকেন, তাহলে অবশ্যই তাকে ‘অ্যাবস্কন্ডিং’ [পলাতক] হিসেবে বিবেচনা করব। সেক্ষেত্রে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারকে জানানো হবে। এরপর পদ্ধতিগতভাবে তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চালানো হবে, বলেন তিনি।এর আগে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ভাগনি ব্রিটেনের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছিল দুদক।প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতি করে রাজউকের আবাসন প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা করেছে দুদক।ভোরের আকাশ/এসএইচ
নগরবাসী এখন অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারছেন। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করা এবং ফি জমা দেওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। বুধবার (১৪ মে) বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র ফারজানা ববি।তিনি বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘ই-রেভিনিউ’ অপশনে ক্লিক করলে সিটিজেন চার্টারে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে রেজিস্টেশন করলে ব্যক্তিগত ড্যাশবোর্ড খুলে যাবে। ড্যাশবোর্ড থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স অপশনে গিয়ে তথ্য প্রদান করে ‘কুইক পে’ অপশন থেকে প্রদানকারীর ব্যাংক একাউন্ট অথবা কার্ডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।সিটিজেন পোর্টাল থেকে ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং, ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং ট্যাপ ও নগদের মাধ্যমে ডিএনসিসির ট্রেড লাইসেন্স ফি জমা দেওয়া যাবে। একইভাবে সিটিজেন পোর্টাল থেকে নতুন বাড়ি যেগুলো কর তালিকার আওতাধীন নেই সেগুলোর ই-হোল্ডিং নিজেই মূল্যায়ন করে হোল্ডিং ট্যাক্স অপশনে নতুন হোল্ডিং আবেদনে প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে ট্যাক্স কত টাকা, সে সংক্রান্ত তথ্য ও নতুন ই-হোল্ডিং নম্বর পেয়ে যাবেন।এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন করদাতাদের কর প্রদান কার্যক্রম সহজ করতে গত ১১ মে থেকে পৌরকর মেলা আয়োজন করছে। মেলা ৩০ মে পর্যন্ত ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে ২৪টি কেন্দ্রে চলবে বলেও জানান ফারজানা ববি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সঙ্গে রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস প্রেসিডেন্ট ক্যারি কেনেডির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (১৪ মে) সংসদ ভবনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে কমিশন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি এবং লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।এতে আর. এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটসের এশিয়ার স্টাফ অ্যাটর্নি ক্যাথরিন কুপার এবং আন্তর্জাতিক পরামর্শ ও বিচারিক কার্যক্রমের ভাইস-প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলিটা ব্যায়েন্স উপস্থিত ছিলেন।জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সমৃদ্ধশালী গণতান্ত্রিক এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায়, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা নির্দেশ করবে। এ লক্ষ্যে শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা শেষ হবে এবং দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করবে কমিশন। অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই কেবল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ জনগণের দোরগোড়ায় সুবিচার ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে পারে।এ সময় ক্যারি কেনেডি ঐকমত্য কমিশনের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কমিশনের সাফল্য কামনা করেন। ভোরের আকাশ/এসআই