নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫ ০৬:৪১ পিএম
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, যা বললেন আসিফ নজরুল
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে দায়ী করছেন কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।
পোস্টে আসিফ নজরুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই, খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর, যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়।
আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিম্ন আদালতের বিচারকরা রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহারা দেওয়া না বা কারওে চলাচলে বাধা দেওয়া না। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করব, এটা কীভাবে সম্ভব? উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন এ নিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় তার দায় দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে।
ড. আসিফ নজরুল আশ্বস্ত করে বলেন, আইনের কোনো ঘাটতি নেই। আইসিটি আইন ছাড়াও সন্ত্রাস দমন আইনের মতো আইন রয়েছে। প্রয়োজন হলে কয়েকদিনের মধ্যেই আইনি সংশোধনী আনা সম্ভব। রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি বা আদালতের রায় পেলে দ্রুতই আইনানুগভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। আমরা সে পথেই এগোচ্ছি, ইনশাল্লাহ্।
ভোরের আকাশ/এসএইচ