নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫ ০২:১৭ এএম
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ
আজ ৩০ মে, শহীদ রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে, চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে বিএনপি আট দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২৬ মে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি চলবে ২ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, শহীদ জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ।
দীর্ঘ সময় পর এবার পালিত হচ্ছে দিবসটি অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশে। বিএনপির দাবি অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এই প্রেক্ষাপটে দলটি বলছে, এবার তারা কোনো বাধা ছাড়াই শহীদ রাষ্ট্রপতির শাহাদাতবার্ষিকী পালন করতে পারছে।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুল থেকে কমিশনপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধে একটি সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বীরত্বের জন্য “বীর উত্তম” খেতাবে ভূষিত হন।
রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জিয়াউর রহমান জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে তার গৃহীত নানা উদ্যোগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তিনি গণতন্ত্র চর্চার পাশাপাশি জাতীয়তাবাদের নতুন দর্শন প্রতিষ্ঠা করেন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপি—গঠন করেন, যা পরবর্তীকালে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়।
শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
কর্মসূচি:
শুক্রবার ভোরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়সহ দেশের সকল ইউনিটে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলো শহীদ জিয়াকে স্মরণ করে পোস্টার প্রকাশ করেছে এবং বিভিন্ন দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র ছেপেছে। একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দুস্থদের মাঝে চাল-ডাল ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে। জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌর ইউনিটগুলোও স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
ভোরের আকাশ//হ.র