দুর্নীতিবিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে পুরস্কার দেবে টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২৫-এর জন্য বাংলাদেশি মালিকানাধীন ও বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত সংবাদপত্র, অনলাইন সংবাদমাধ্যম ও টিভি চ্যানেলে কর্মরত সাংবাদিকদের কাছ থেকে দুর্নীতিবিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আহ্বান করেছে।
জানা গেছে, মোট চারটি বিভাগে প্রকাশিত ও প্রচারিত সব ধরনের দুর্নীতিবিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে নিরপেক্ষ বিচারকমণ্ডলী কর্তৃক নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মৌলিক শর্তাবলী পূরণসাপেক্ষে প্রাপ্ত প্রতিবেদন মূল্যায়নের জন্য বিবেচিত হবে।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিত ও প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৮ মে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন https://ti-bangladesh.org/ija
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত পুলিশ বিভাগের সদস্যদের জন্য মাসিক ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ২৮ জুলাই (সোমবার) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চার ক্যাটাগরির পদের জন্য চাকরির বয়স অনুযায়ী ৫টি ধাপে মাসিক ভাতার হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ হচ্ছে যথাক্রমে ১ হাজার ৮০০ টাকা ও ৬ হাজার ৪৮০ টাকা।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঘোষণাকৃত এ মাসিক ঝুঁকি ভাতা অর্থ বিভাগ থেকে চাকরি (বাংলাদেশ পুলিশ) (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ ২০১৫-এর অনুচ্ছেদ-২৬ সংশোধনসংক্রান্ত এসআরও জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী জাতীয় বেতন স্কেল (নবম বেতন স্কেল)-এ ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকবে।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কনস্টেবল পদে চাকরির শুরু থেকে ৫ বছর পর্যন্ত মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ১ হাজার ৮০০ টাকা; ৫+ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ২ হাজার ১৬০ টাকা; ১০+ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ২ হাজার ৬৪০ টাকা; ১৫+ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার টাকা এবং চাকরির বয়স ২০+ থেকে তদূর্ধ্ব হলে মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ৩ হাজার ৬০০ টাকা।নায়েক পদে পদে চাকরির শুরু থেকে ৫ বছর পর্যন্ত মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ২ হাজার ৪০ টাকা; ৫+ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ টাকা; ১০+ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ২ হাজার ৮৮০ টাকা; ১৫+ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৮০ টাকা এবং চাকরির বয়স ২০+ থেকে তদূর্ধ্ব হলে মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ৪ হাজার ৮০ টাকা।এএসআই (সশস্ত্র/নিরস্ত্র) গ্রেড-১৪ পদে চাকরির শুরু থেকে ৫ বছর পর্যন্ত মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ২ হাজার ১৬০ টাকা; ৫+ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ২ হাজার ৬৪০ টাকা; ১০+ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার ২৪০ টাকা; ১৫+ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৪০ টাকা এবং চাকরির বয়স ২০+ থেকে তদূর্ধ্ব হলে মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ৪ হাজার ৫৬০ টাকা।এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই (গ্রেড-১০) পদে চাকরির শুরু থেকে ৫ বছর পর্যন্ত মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ৩ হাজার ২৪০ টাকা; ৫+ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৪০ টাকা; ১০+ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৬০ টাকা; ১৫+ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ৫ হাজার ৪০০ টাকা এবং চাকরির বয়স ২০+ থেকে তদূর্ধ্ব হলে মাসিক ঝুঁকি ভাতার পরিমাণ ৬ হাজার ৪৮০ টাকা।ভোরের আকাশ/জাআ
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল বলেন, থানায় এসে কেউ যেন অপমানিত না হয়, থানার দরজা যেন মানুষের জন্য খোলা থাকে। থানার পরিবেশ যেন হয় সাহচর্যের, আতঙ্কের নয়। থানাই হোক ন্যায় বিচারের প্রথম ঠিকানা।আইজিপি বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে থানায় হয়রানিমুক্ত ও আইনগত সার্ভিস ডেলিভারি দেওয়ার মাধ্যমে জনআস্থা পুনরুদ্ধারে পুলিশের করণীয় শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, আমাদের পেছনের পথ ছিল অনেক ভুল সিদ্ধান্তের ফলাফল। আমরা মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছি, আমাদের আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আমরা যেন হয়রানিমুক্ত সেবা দেই। থানায় অভিযোগ করতে এসে কেউ যেন অপমানিত না হয়, থানার দরজা যেন মানুষের জন্য খোলা থাকে। আমাদের আচরণ যেন মানবিক হয় এবং আমরা যেন জনমুখী সেবা দিতে পারি।পুলিশ প্রধান বলেন, জুলাই বিপ্লব কেবল একটি ঘটনা প্রবাহ নয়। এটি ছিল ন্যায়, মানবতা ও দায়িত্ববোধের এক জাগরণ। এ জাগরণ আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সেবাই আমাদের প্রকৃত পরিচয়, জনগণই ক্ষমতার উৎস।বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজের ভারপ্রাপ্ত রেক্টর এস এম রোকন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিনিয়র ডাইরেক্টিং স্টাফ (ট্রেনিং) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামাল, ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।কর্মশালায় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার ৫৯ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।ভোরের আকাশ/জাআ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসন বিশিষ্ট। এ সদস্যরা মনোনীত হবেন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর), অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনে দলগুলো যে ভোট পাবে, তার ভিত্তিতে দলগুলোর মধ্যে এসব আসন বণ্টন করা হবে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত আসে।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর কমিশন এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। তবে এ সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দল ও জোটগুলো। তারা বলেছে, উচ্চকক্ষে সদস্য মনোনীত হতে হবে জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের আলোচনা চলছে। আজই আলোচনার সমাপ্তি টানতে চান বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন।আলোচনার শুরুতে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে আজকের মধ্যেই আলোচনা পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে। আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে ও যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।আগের ধারাবাহিকতায় আজকেও সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য কীভাবে মনোনীত হবেন, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব করে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো এ প্রস্তাব সমর্থন করে। অপর দিকে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো বিরোধিতা করে। সে সময়ও তারা সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দের দাবি জানায়।আলোচনায় দলগুলোর ভিন্নমত থাকায় এক পর্যায়ে বিষয়টি কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এরপর ঐকমত্য কমিশন ভোটের সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের সদস্য মনোনীত করার সিদ্ধান্ত জানায়।কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের নিজস্ব কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না। তবে, অর্থবিল ব্যতীত অন্য সব বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ উভয় কক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না। এক মাসের বেশি বিল আটকে রাখলে সেটিকে উচ্চকক্ষের অনুমোদিত বলে গণ্য করা হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি সেনাবাহিনীর আলাদা নজর নেই। গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের জীবননাশের হুমকি থাকায় তাদের সহযোগিতা করেছে সেনাবাহিনী।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।এক প্রশ্নের জবাবে কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদক ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫ হাজার ৫৭৬ জনকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেছি। চাঁদাবাজ বা অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব আইনশৃঙ্খলা এজেন্সিগুলোর সর্বাগ্রে দায়িত্ব পালন করার কথা, তারা যদি কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে আরও কমে আসবে বলে আশা করি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যে আভিযানিক দায়িত্ব আছে আমরা সেটা সর্বদা পালন করছি। আমরা সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি একসঙ্গে কাজ করি তাহলে চাঁদাবাজির মতো অপরাধ কমে আসবে বলে বিশ্বাস করি। অপরাধীদের গ্রেফতার করার পর বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করার পর আমাদের আর কিছু করার থাকে না।পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সংঘাতকে সেনাবাহিনী কীভাবে দেখছে— প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি ও মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য বিভিন্ন দুষ্কৃতকারীরা এইটা করে থাকে। আমাদের কার্যক্রম ও অভিযান জারি রেখেছি। ভবিষ্যতেও আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।বান্দরবানের আর্মি ক্যাম্প গুটিয়ে নেয়া, কুকি চিন, আরাকান আর্মি ও বান্দরবানে অস্ত্র কেনা-বেচা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রটেকশন দিয়ে যাচ্ছে। আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে যদি আমাদের ক্যাম্পের প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা টেম্পরারি অপারেটিং বেইস করে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমেও খবর এসেছে সেনাবাহিনীর মেজর সাদিক আওয়ামী লীগের লোকজনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে— এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলতে পারব।এনসিপি যখন ঝামেলায় পড়েছে তখন সেনাবাহিনী প্রটেকশন দিয়েছে, আবার এখন শোনা যাচ্ছে সেনাবাহিনী তাদের আর প্রটেকশন দেবে না— এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলকে বিশেষভাবে কখনো সহায়তা করিনি। আমাদের দায়িত্বের মধ্যে কাউকে বিশেষভাবে দেখি না। গোপালগঞ্জে যেটা হয়েছে ওইখানে ওই রাজনৈতিক দলের অনেকের জীবননাশের হুমকি ছিল। তাদের জীবন বাঁচানোর জন্যই সেনাবাহিনী সহযোগিতা করেছে। এখানে জীবন বাঁচানোই মূল লক্ষ্য ছিলো অন্য কিছু না।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল কোথায় সমাবেশ করবে, এটা ক্লিয়ারেন্স দিতে হবে স্থানীয় প্রশাসন থেকে। আমাদের কাছে এসব বিষয়ে কোনো তথ্য ছিল না। গোপালগঞ্জে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ছিল। শুধুমাত্র ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়নি, ককটেলও নিক্ষেপ করা হয়েছে। যখন সেখানে জীবননাশের হুমকি ছিল তখন আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বল প্রয়োগ করে। এখানে প্রাণঘাতী কোনো অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়নি।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে বলেছেন, গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী গুলি করেছে— এ বিষয়ে অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে কী হয়েছিল সেটার সত্যতা উদঘাটনের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি এ কমিটি সত্য ও সঠিক ঘটনা উন্মোচন করতে পারবে।বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি কি সেনাবাহিনীর দুর্বলতা আছে— এমন প্রশ্নের জবাবের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশেষ কোনো দলের প্রতি আলাদা নজর নেই। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর কাছে সবাই সমান। যেখানে জনদুর্ভোগ ও জীবননাশের হুমকি থাকে, সেখানে আমরা কঠোর হই বা জনসাধারণকে সহযোগিতা করি। গোপালগঞ্জে যদি আমরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করতাম তাহলে সেখানে অনেক হতাহত বা জীবননাশের ঘটনা ঘটতে পারত।ভোরের আকাশ/জাআ