আবদুল হামিদের দেশত্যাগ
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ মে ২০২৫ ০৯:৫৬ পিএম
উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। গত ৭ মে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আবদুল হামিদ কীভাবে দেশ ছাড়লেন তা পর্যালোচনা করবে এই কমিটি। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১১ মে) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়েছে। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সি আর আবরারকে। আর সদস্য হিসেবে রয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
কমিটির কাজের পরিধিতে বলা হয়েছে, কমিটি সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাওয়ার প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করে তিনি কীভাবে বিমানবন্দর দিয়ে গেলেন তা পরীক্ষা করবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি বা ব্যত্যয় হয়েছে কিনাÑ তাও খুঁজবে কমিটি। যারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সেই সুপারিশও করবে কমিটি।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কাজে কমিটি প্রয়োজনীয় দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি ও প্রমাণ চাইতে পারবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। সব সংস্থা কমিটির নির্দেশনা পালন ও সহায়তা দিতে বাধ্য থাকবে। কমিটি ইচ্ছা করলে অতিরিক্ত সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সচিবিক সহায়তা দেবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুইবার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করা হামিদ গত বুধবার গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন। তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গেছেন বলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, আবদুল হামিদের দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাকে ‘চিকিৎসার জন্য’ যেতে দেওয়া হয়েছে। দুজন আত্মীয় তার সঙ্গে ছিলেন। কিশোরগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আব্দুল হামিদকেও আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং রাতের পালায় বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজহারুল ইসলাম এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) টিএসআই মো. সোলায়মানকে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/আমর