আকতার হোসেন
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:১৭ পিএম
নির্বাচনি মাঠ প্রশাসন সাজানোর পরিকল্পনা
চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া এই সময়সীমা সামনে রেখেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিকে আগামী নির্বাচনের সময় মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যাদের রাখা হবে, সতর্কতার সঙ্গে তাদের তালিকা করছে সরকার। ভোটের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)।
আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকেন পুলিশ সুপার (এসপি)। এ দুই পদে নতুন কর্মকর্তাদের পদায়নের প্রক্রিয়া চলছে। ডিসি-এসপির পাশাপাশি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। ভোটের কয়েক মাস বাকি থাকতেই পুরো মাঠ প্রশাসন গুছিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। যদিও নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ প্রশাসন সাজানো নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। নতুন দল এনসিপির সঙ্গে সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় মাঠ প্রশাসন বিন্যাসে তার প্রভাব পড়বে কি না সেই সন্দেহ থেকেই এই প্রশ্ন উঠছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, এবার বিতর্কহীন তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের ডিসি করা হবে। ইসি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার সময়সীমা অতিক্রম করতে চায় না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেছেন, এই সময়সীমা যাতে পার না হয়, সে জন্য ইসি সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরেই তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
অপরদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো অল্প সংস্কারের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে একমত হলে আগামী ডিসেম্বরের ভেতরে নির্বাচন হতে পারে। আর সংস্কার কার্যক্রম প্রসারিত হলে নির্বাচন হবে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে। গতকাল বুধবার বিএনপি প্রতিনিধি দলের কাছেও একই বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দিন যতই যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সরকারের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে চাপ ততই বাড়ছে। সরকারও আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিকসহ বিভিন্ন তথ্য নিবিড়ভাবে যাচাই-বাছাই চলছে।
নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পদায়নের চূড়ান্ত তালিকা (ফিটলিস্ট) প্রস্তুত করা হচ্ছে সময় নিয়ে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রশাসন সাজাতে সতর্কভাবে পা ফেলছে সরকার। এ ছাড়া ভোটের সময় এবং তার আগে পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাঠ প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছে, সরকার নির্বাচনের আগে পছন্দের কর্মকর্তাদের দিয়ে মাঠ প্রশাসন সাজাচ্ছে। এর মধ্যে ডিসি পদে নিয়োগ আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে ডিসি-এসপি পদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা প্রাধান্য পাবেন বলে আভাষ পাওয়া গেছে।
এদিকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে ডিসেম্বরকে লক্ষ্য ধরে কর্মপরিকল্পনা সামনে আনছে এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটের অন্তত ছয় মাস আগে দুই ডজন বিষয়ভিত্তিক কাজের ফর্দ তৈরি করে রাখতে হবে। সে জন্য রোডম্যাপের আদলে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ নিয়ে খসড়া তৈরির কাজ চলছে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলছেন, ভোটের প্রাথমিক কাজ শেষ করে চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে কর্মপরিকল্পনা বা অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, বিশেষ অবস্থায় ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসন সাজাতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। দল নিরপেক্ষ, পেশাদার ও সৎ লোকজন নিয়ে প্রশাসন সাজানো উচিত। রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে নব্বইয়ের পর থেকে একটি সমস্যা তো তৈরি হয়েছে, কাজেই উনারা প্রশাসন সাজালে সমস্যা নেই। কিন্তু এখানে উনাদের নিয়ত পরিষ্কার থাকা লাগবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন করে দেবেন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য যে মানুষগুলোকে দরকার, তাদেরকেই তারা নিয়োগ দেবেন, এটি সবার প্রত্যাশা।
জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এ ধরনের নিয়োগ-বদলির বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন এলেই সরকার তাদের পছন্দমতো নির্বাচনি মাঠ সাজায়। এবারও তাই হবে। তার মতে, এখন নির্বাচন চলে গেছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে। এ জন্য সরকারকে সতর্কতার সাথে ডিসি-এসপি নিয়োগ দিতে হবে। যাতে নির্বাচনের সময় কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে পারেন।
সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, মাঠ প্রশাসন সাজানোর ব্যাপার তখনই আসে যখন দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকে। দলীয় সরকারের সময় প্রতিপক্ষ অন্যান্য রাজনৈতিক দল মনে করে ক্ষমতাসীনরা সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রশাসন সাজাচ্ছে, অতীতে এ রকম হয়ে আসছে। এখন যে রদবদল করা হবে তার সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। তারপরও এনসিপির সঙ্গে সরকারের উপদেষ্টাদের যে সম্পর্ক, তাতে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্ন তুলতেই পারে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ডিসি নিয়োগের জন্য গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর ১০৮ জনের একটি ফিট লিস্ট প্রস্তুত করে অন্তর্বর্তী সরকার। ওই তালিকা থেকে এরইমধ্যে ৬১ জনকে ডিসি পদে পদায়ন করা হয়েছে। ফিট লিস্টের অন্যদের ডিসি পদে পদায়ন না করে গত ১১ জানুয়ারি থেকে নতুন ফিট লিস্ট প্রস্তুতের কাজ শুরু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ জন্য ছয় ধাপে বিসিএস ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের ২৬৯ জন কর্মকর্তাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়।
বর্তমানে ২৪তম ব্যাচের ২৬ জন, ২৫তম ব্যাচের ২৫ জন এবং ২৭তম ব্যাচের ১৩ কর্মকর্তা ডিসির দায়িত্বে আছেন। ২৪তম ব্যাচের ২৬ জনের মধ্যে ২১ জন সম্প্রতি যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তাঁদের শিগগিরই ডিসির দায়িত্ব থেকে তুলে এনে সেখানে নতুনদের পদায়ন করা হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ডিসি পদে নিয়োগের জন্য নতুন করে ২৮তম ব্যাচের ১৫৮ জন কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নেওয়া হবে। যদিও এই ব্যাচ থেকে এখনো ডিসি পদে পদায়নের জন্য ফিট লিস্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এদিকে বর্তমানে ২৪, ২৫ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা এসপির দায়িত্বে আছেন। নির্বাচনের আগে ২৮তম ব্যাচের কিছু কর্মকর্তাকে এসপি পদে পদায়ন করা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ২১ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে নির্বাচনি প্রশাসন সাজানো শুরু করবে সরকার। এ জন্য খুব সতর্কতার সঙ্গে কর্মকর্তাদের বাছাই করা হচ্ছে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়াদের এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার চিন্তা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও বদলি নিয়ে জটিলতায় পড়ে। সমালোচনার মুখে কয়েকটি নিয়োগ বাতিল করতে হয়েছে। একারণেই এখন সতর্কতার সঙ্গে কর্মকর্তাদের বাছাই করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ভোটের সময় ডিসি-এসপির দায়িত্বে যাদের রাখা হবে, সেসব কর্মকর্তার ব্যক্তিগত তথ্য ছাড়াও তাদের পারিবারিক তথ্য একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নতুনদের পদায়ন করতে নতুন তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ অনুবিভাগের একজন পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, মাঠ প্রশাসনে রদবদল রুটিন ওয়ার্কের অংশ। তবে আগের থেকে অনেক সতর্কতার সঙ্গে কর্মকর্তাদের বাছাই করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তথ্য নেওয়া হয়। যার মধ্য দিয়ে সরকারের প্রতি কতটা অনুগত, সেটা বোঝার চেষ্টা করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতনের কর্মকর্তার মতে, সাধারণত নির্বাচনের আগে এ ধরনের নিয়োগে রাজনৈতিক বিবেচনা বেশি গুরুত্ব পায়। এরপরও পেশাদারত্ব ও মেধা-যোগ্যতার কারণেও কেউ কেউ নিয়োগ পান। যদিও সে সংখ্যা কম। তবে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হওয়ায় দলনিরপেক্ষ, মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তারাই মাঠপ্রশাসনে নিয়োগ পাবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
সূত্র জানায়, ২৫তম ব্যাচের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০০৪ সালে। তারা চাকরিতে যোগ দেন ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট। ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগ দেন ২০০৮ সালের ৩০ নবেম্বর। ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগ দেন ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর। এই বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল ২০০৬ সালের ১ নবেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে ডিসি হিসেবে যারা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন এমন ২২ কর্মকর্তাকে ফেব্রুয়ারিতে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। আবার ২০১৮ সালে রাতের ভোটের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা তৎকালীন ৩৩ ডিসিকে ওএসডি করা হয়েছে। একইভাবে যারা এসপির দায়িত্বে ছিলেন, তাদেরও বাধ্যতামূলক অবসর ও ওএসডি করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে এবার নিরপেক্ষ ও সাহসী কর্মকর্তা খোঁজা হচ্ছে।
সর্বশেষ ডিসি সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন নির্দেশনা দেওয়ার পর তা নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইনের মধ্যে থেকে ডিসিদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওপরের কোনো চাপ এলে সেটা ইসি সামলাবে। কারণ, সুষ্ঠু নির্বাচন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। ডিসি সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ডিসিরা নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন প্রাক নির্বাচন ও তফসিল পূর্ববর্তী প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা এবং তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পরিচালনার জন্য কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সূচি সংক্রান্ত চেক লিস্ট তৈরি করে কাজের সুবিধার জন্য।
২০০৭-২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো রোডম্যাপ ঘোষণা করে তৎকালীন ইসি। ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই দেড় বছরের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়, যাতে ২০০৮ সালে অক্টোবর-ডিসেম্বরে তফসিল ও ভোটের সময়সূচি ধরা হয়। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। আইন-বিধি সংস্কার, দল নিবন্ধনের পর সেই ভোটার তালিকা দিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়।
পরবর্তী সময়ে বিষয়টি রোডম্যাপ বা অ্যাকশন প্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা বা চেকলিস্ট নামে পরিচিত রয়েছে, যা ইসি এখনও অব্যাহত রাখছে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পালাবদলের পর ২০২৪ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব নেয় এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ