ফাইল ছবি
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চিকিৎসার কাজ নির্বিঘ্নে করার স্বার্থে হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করতে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে। পরে এটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।তিনি বলেন, “আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন হলে বিদেশ থেকেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হবে।”সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। পরে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও একই বক্তব্য জানানো হয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।আইএসপিআরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়ীতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ক্যাম্পাসে একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণে বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।আসিফ নজরুল বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্তিগতভাবে দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। সরকার হতাহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। আমরা সবাই তাদের পাশে আছি।”তিনি আরও বলেন, “এই বিয়োগান্তক ও মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল, কেন ঘটল—তা তদন্ত করে দেখা হবে। সত্য উদঘাটনে আমরা কোনো ছাড় দেব না।”এদিকে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় সরকার মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। এদিন দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।এ ছাড়া নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনার কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
রাজধানীর দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে, আর আহত হয়েছেন অন্তত ১৭১ জন।আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের উদ্ধার করে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।আইএসপিআরের তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা ২০ জনের মধ্যে রয়েছেন—জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ২ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন, ঢাকা সিএমএইচে ১২ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতালে ২ জন এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ১ জন।বর্তমানে আহতদের মধ্যে:জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে রয়েছেন ৭০ জনউত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ৬০ জনঢাকা সিএমএইচে ১৭ জনউত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতালে ১১ জনকুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৮ জনঢাকা মেডিক্যালে ৩ জনকুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১ জনউত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১ জনসব মিলিয়ে বর্তমানে ১৭১ জন আহত ব্যক্তি রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এ ঘটনার পর থেকে রাজধানীতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সরকার ইতোমধ্যেই মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সারাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত সবার চিকিৎসা করাবে বলে ঘোষণা করেছে সরকার।সোমবার (২১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সকল বেসরকারি হাসপাতালে এই দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।এতে বলা হয়, যেকোনো ধরনের অপারগতায় রোগীকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউট অথবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেছেন, ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটনে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।সোমবার (২১শে জুলাই) 'মাদ্রাসা রেজিস্ট্যান্স ডে' উপলক্ষ্যে যাত্রাবাড়ির জামিয়া মাহমুদিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অবদান স্মরণ করে তিনি বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সামনে থেকে লড়াই করেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অনেক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী শহিদ হয়েছেন। উপদেষ্টা শহিদ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।জুলুম ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, আলেম সমাজ ও ধর্মপ্রাণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে, সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।আওয়ামী সরকারের গত ১৫ বছরের শাসনামলে আলেম সমাজের ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও আলেমদের প্রতি বিদ্বেষ রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত করা হয়েছিল। ওই সময় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আলাদাভাব ট্রিট (মূল্যায়ন) করার একটি প্রবণতা ছিল। ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলা চত্বরের সমাবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই দিন রাতে নির্বিচারে গুলি করে ৬০-৭০ বা এর চেয়ে বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন।মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নবিজির আখলাক (চরিত্র) থেকে আপনাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এবং সেই শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, "কাউকে আমরা যেন মজলুম না বানাই। আমরা মজলুম ছিলাম, আমরা যেন জালিম না হয়ে যাই।" তিনি যেকোনো জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ