নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫ ০৬:৫৭ পিএম
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস পালিত
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরুর পর শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকালীন শাহাদাতবরণকারীদের জন্য এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা দেওয়ার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর বিশেষ উপস্থাপনার আয়োজন করে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সব দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিস গুইন লুইস। আরও বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী। এছাড়া জ্যেষ্ঠতম শান্তিরক্ষী হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বক্তব্য রাখেন। সবশেষে অর্থ উপদেষ্টা বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ভিটিসির মাধ্যমে মতবিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা, বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এদিন ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দর মসজিদ এলাকায় এবং অন্যান্য বিভাগীয় শহরে শান্তিরক্ষী দৌড় বা র্যালির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) প্রধান অতিথি হিসেবে শান্তিরক্ষী দৌড় বা র্যালি উদ্বোধন করেন। শান্তিরক্ষী দৌড়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের শান্তিরক্ষীরা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং আন্তঃবাহিনী সংস্থাগুলোর মনোনীত প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
ভোরের আকাশ/এসআই