ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৫ ১২:২০ এএম
সন্তানের সামনে যেসব কাজ এড়িয়ে চলবেন
শিশুরা আমাদের কথা শুনে নয়, বরং দেখে শিখে। বাবা–মা ও বড়দের প্রতিটি আচরণ তাদের মনে গভীর ছাপ ফেলে। তাই সন্তানকে ইতিবাচক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে কিছু কাজ কখনোই তাদের সামনে করা উচিত নয়।
১. ঝগড়া বা উচ্চস্বরে তর্ক করা
মতবিরোধ হতেই পারে, কিন্তু তা যদি চিৎকারে রূপ নেয়, শিশুর মনে ভয়, অনিশ্চয়তা ও আত্মবিশ্বাসের অভাব তৈরি হয়। সে ভবিষ্যতে সমস্যার সমাধানেও আক্রমণাত্মক আচরণকে স্বাভাবিক ভাবতে পারে।
২. অন্যকে ছোট করা
হাসি–ঠাট্টার ছলেই হোক বা সিরিয়াসভাবে—সঙ্গী কিংবা অন্য কাউকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। এতে শিশুর মনে নেতিবাচক ধারণা জন্মায়, এবং সে শিখে যায় যে অন্যকে ছোট করা স্বাভাবিক ব্যাপার।
৩. গ্যাজেটে ডুবে থাকা
সন্তানকে সময় না দিয়ে যদি বাবা–মা মোবাইল বা ল্যাপটপেই ব্যস্ত থাকেন, তবে শিশু অবহেলিত মনে করবে। এর প্রভাব পড়ে তার মানসিক ও সামাজিক বিকাশে।
৪. সবকিছুতে সমালোচনা করা
সব সময় ভুল ধরলে শিশুর আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়। তাই ভুল দেখিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ছোট ছোট সাফল্যে প্রশংসাও জরুরি।
৫. নিয়ম ভাঙা
ছোট নিয়মও ভাঙলে শিশু ধরে নেয় যে নিয়ম মানা জরুরি নয়। যেমন—রাস্তায় ট্রাফিক আইন অমান্য করা। এতে তার মানসিকতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এর বাইরেও ধূমপান–মদ্যপান, অন্যদের নিয়ে গসিপ, সন্তানের সঙ্গে অযথা কঠোর ব্যবহার বা অন্যের সঙ্গে তুলনা করা এড়ানো উচিত। এগুলো সন্তানের মনে হতাশা ও চাপ বাড়ায়।
মনে রাখবেন: শিশুরা আয়নার মতো—আপনার প্রতিটি কাজ তারা গভীরভাবে লক্ষ্য করে। আপনি কেমন কথা বলেন, কীভাবে ব্যবহার করেন—এসবই তাদের প্রথম শিক্ষা। তাই সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী, ইতিবাচক ও সৎ মানুষ হিসেবে বড় করতে চাইলে আগে নিজের আচরণেই পরিবর্তন আনুন।
ভোরের আকাশ/হ.র