লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫ ০৩:০২ এএম
বিড়ালের আঁচড়ে সংক্রমণের সতর্কবার্তা: দ্রুত চিকিৎসা না নিলে মারাত্মক রোগের আশঙ্কা
অনেকে বাড়িতে পোষা হিসেবে বিড়াল বা কুকুর পালন করেন। তবে অনেকেই ভাবেন, বিড়াল আঁচড় দিলে বা কামড় দিলে খুব একটা সমস্যা হয় না, অ্যান্টিসেপ্টিক মলম দিলেই কাজ শেষ। কিন্তু আসলে বিড়ালের আঁচড় বা কামড় থেকে সংক্রামক রোগ হতে পারে, যা যথাযথ চিকিৎসা না নিলে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিড়ালের শরীরের লালা ও নখ দিয়ে ‘বোর্টোনেল্লা হেনসেলে’ নামে একটি ব্যাকটেরিয়া মানুষের দেহে প্রবেশ করতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া ‘ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজিজ’ বা বিড়ালের আঁচড় রোগের কারণ হয়ে থাকে।
বিড়ালের আঁচড় বা কামড়ের জায়গায় প্রথমে স্থানটি ফুলে উঠতে পারে, সঙ্গে চামড়ায় পুঁজ ও ক্ষত গঠিত হয়। আক্রান্ত এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে গ্রন্থি ফুলে যায় এবং জ্বর, মাথাব্যথা, দুর্বলতা দেখা দেয়। মারাত্মক ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া মস্তিষ্কে পৌঁছে রোগী জ্ঞান হারাতে পারে।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
১. বিড়ালের সঙ্গে খেলার সময় সতর্ক থাকুন এবং পোষ্য বিড়ালের নখ নিয়মিত কাটুন।
২. বিড়ালকে আদর করার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
৩. নিয়মিত পোষা বিড়ালকে প্রয়োজনীয় সব টিকা দিন।
৪. আঁচড়ে জায়গাটি প্রথমে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে অ্যান্টিসেপ্টিক মলম ব্যবহার করুন এবং দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।
৫. যদি আঁচড়ে রক্তপাত হয়, ব্যান্ডেজ বা গজ লাগিয়ে টিটেনাসের ইনজেকশন নিন। ক্ষত গভীর হলে বা সংক্রমণ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সতর্কতা ও সময়মতো চিকিৎসার মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই পোষা বিড়ালের সঙ্গে খেলার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং ক্ষত দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা নিন।
সূত্র: আনন্দবাজার
ভোরের আকাশ//হ.র