লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:০৫ এএম
খেজুর: ছোট্ট ফলে অগণিত স্বাস্থ্যগুণ
স্বাস্থ্যকর উপায়ে মিষ্টি খেতে চাইলে খেজুর হতে পারে সেরা বিকল্প। মিষ্টি স্বাদ থাকলেও এতে ক্যালোরি তুলনামূলক কম, আর রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ। নিয়মিত খেজুর খেলে শরীর ও মনের সুস্থতা বজায় রাখা সহজ হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফলে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, বি ভিটামিনসহ নানা প্রয়োজনীয় উপাদান। পাশাপাশি ফাইবার ও প্রাকৃতিক শর্করা এটিকে আরও উপকারী করে তুলেছে।
হজমে সহায়ক
প্রতি ৩.৫ আউন্স খেজুরে থাকে প্রায় ৭ গ্রাম ফাইবার। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে সক্রিয় রাখে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার
খেজুরে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো প্রদাহ কমায় এবং কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, যা দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
প্রসবে সহায়তা
গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থার শেষ দিকে খেজুর খেলে প্রসব বেদনা কমে এবং স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়া সহজ হয়।
প্রাকৃতিক মিষ্টি
পরিশোধিত চিনি এড়িয়ে যেতে চাইলে খেজুর হতে পারে নিরাপদ বিকল্প। বেকিং, স্মুদি কিংবা সিরাপ—সবকিছুতেই এটি ব্যবহার করা যায়, আর সঙ্গে মেলে ফাইবার ও পুষ্টির বাড়তি সুবিধা।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা
খেজুরের ফ্ল্যাভোনয়েড মস্তিষ্কের প্রদাহ কমায় এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি হ্রাসে ভূমিকা রাখে।
শক্তি বাড়ায়
গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ থাকায় খেজুর শরীরকে দ্রুত শক্তি জোগায়। বিশেষত ব্যায়ামের আগে প্রাকৃতিক এ নাস্তা কার্যকরভাবে এনার্জি বৃদ্ধি করে।
হাড়ের জন্য উপকারী
পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খেজুর হাড়কে মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
যদিও খেজুর মিষ্টি, এর গ্লাইসেমিক সূচক কম। ফলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়তে দেয় না। উচ্চ ফাইবারের কারণে শর্করা ধীরে ধীরে শোষিত হয়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তুলনামূলক নিরাপদ করে তোলে।
ভোরের আকাশ//হ.র