লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫ ০২:০৬ পিএম
সংগৃহীত ছবি
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন পাম তেল শরীরের পক্ষে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। এই তেলের হাই স্যাচুরেটেড ফ্যাট এলডিএল কোলেস্টেরল লেভেল কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তা হলেই কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগের আশঙ্কা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে পাম তেলে বিভিন্ন রকমের যৌগ তৈরি হয়।
এশিয়ায় সাধারণত ভাজাপোড়া জিনিস খাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। সে জন্য পাম তেলে ভাজাভুজির স্বাদও হয় মুখরোচক। বিশেষ করে বেকড খাবার। পাম অয়েলে খাবার রান্না করলে স্বাদ বদলানো যায় না। খাবার সুস্বাদু হয়।
তাই পাম অয়েল দিয়ে রান্না করতে সবাই বেশি পছন্দ করেন। এ ছাড়া বাজারে যে কোনো ভোজ্যতেলের চেয়ে পাম অয়েলের দাম একটু কম। এ জন্য রেস্টুরেন্টসহ বাড়িতেও অনেকে রান্নায় পাম অয়েল ব্যবহার করে থাকেন।
কিন্তু সুস্থ জীবনযাপন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে— স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া অনেকটাই নির্ভর করে থাকে খাবারে ব্যবহৃত তেলের ওপর।
পাম অয়েল শরীরে বেশ কিছু ক্ষতি করতে পারে—
পাম অয়েলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। আর অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে, যা আমাদের হৃৎপিণ্ডের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ছাড়া স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে খারাপ এলডিএল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
আমাদের দেশে একই তেলে বারবার খাবারে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ভাজাপোড়ায়। আর পাম অয়েল বারবার গরম করলে ভিন্ন রকমের যৌগ তৈরি হয়। তাতে টক্সিন তৈরি হয়। এই তেল খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে এবং হজমজনিত সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
পাম তেলের অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণের ফলে লিভার ও ভিসারাল ফ্যাট জমাতে সাহায্য করতে পারে। যার ফলে ২ টাইপের ডায়াবেটিস হতে পারে। সেই সঙ্গে লিভারে অতিরিক্ত ফ্যাট জমা হয়ে থাকে, যা থেকে ফ্যাটি লিভার, লিভাল ফাইব্রোসিস— এমনকি সিরোসিসের মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে।
পাম অয়েলে যে কোনো রান্না সুস্বাদু হয়। এতে খাবার বেশি খাওয়া হয়। আর খাবার বেশি খেলে শরীরের ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভোরের আকাশ/তা.কা