ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ও পক্ষপাতের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে আরও ৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় নূরুল হুদাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরে বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২২ জুন নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ২৩ জুন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী, এ কে এম শহীদুল হক ও আরও অনেকে। মামলার পর রাতেই গ্রেপ্তার হন নূরুল হুদা। পরদিন আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে তাকে আজ আদালতে হাজির করা হলে তার আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন জামিন আবেদন করেন।
একই মামলায় গত বুধবার (২৫ জুন) গ্রেপ্তার করা হয় আরেক সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে। আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ও পক্ষপাতের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে আরও ৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় নূরুল হুদাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরে বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে ২২ জুন নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ২৩ জুন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী, এ কে এম শহীদুল হক ও আরও অনেকে। মামলার পর রাতেই গ্রেপ্তার হন নূরুল হুদা। পরদিন আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে তাকে আজ আদালতে হাজির করা হলে তার আইনজীবীরা রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন জামিন আবেদন করেন।একই মামলায় গত বুধবার (২৫ জুন) গ্রেপ্তার করা হয় আরেক সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে। আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যায় প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন দেয়ার অভিযোগে রাজধানীর শেরে বাংলা থানার মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বেলা ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে তাকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এসময় তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার এ আবেদন করেন।শুনানিকালে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে তোলা হয়। রাষ্ট্র পক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।এদিকে আওয়ালের সঙ্গে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে ফের দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে। প্রসিকিউশন শাখার এক কর্মকর্তা জানান, চার দিনের রিমান্ডে থাকা নুরুল হুদাকে আগামীকাল আদালতে তোলা হবে।উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে মামলা করে বিএনপি। মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত রোববার (২২ জুন) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহউদ্দিন খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।এছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে 'গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।ভোরের আকাশ/আজাসা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রথম শহিদ রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে প্রসিকিউশন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।গত ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা। প্রতিবেদনে আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে ৩০ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হতে পারে।এ মামলায় চার আসামি কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন- রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গতবছরের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। ভোরের আকাশ/আজাসা
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিয়ম বহির্ভূত ঋণ দিতে সহায়তা করা ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলাসহ ব্যাংকটির শীর্ষ ১০ কর্মকর্তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। এ দিন তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক।নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- মিফতাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, মোহাম্মদ সিরাজুল কবির, মুহাম্মাদ কায়সার আলী, তাহের আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, হোসেন মোহাম্মদ ফয়সাল, আহমেদ জুবায়েতুল হক ও এসএম তানভির হাসান।দুদকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপ চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ঋণ দিতে সহায়তা করা ইসলামী ব্যাংকের এই কর্মকর্তারা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে গেলে অভিযোগ অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হতে পারে। এজন্য অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।ভোরের আকাশ/এসএইচ