আদালতে নুসরাত ফারিয়া
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে নেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) সকালে তাকে রাজধানীর ভাটারা থানা থেকে আদালতে নেয়া হয়।
গতকাল রোববার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে। পরে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থানা থেকে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়েছে। আজ সকালে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
যুবদল নেতা আরিফ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের ফের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল ওয়াহাবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্র পক্ষ রিমান্ডে পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল ওয়াহাব তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে গত ২৩ জুন তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে সুব্রত বাইনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখান আদালত। ওইদিন সুব্রত বাইনকে কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে উপস্থিত দেখিয়ে গ্রেফতারের বিষয়ে শুনানি করা হয়।মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলের নয়াটোলা মোড়ল গলির ‘দি ঝিল ক্যাফে’র সামনে যুবদল নেতা মো. আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ এপ্রিল মৃত্যু হয় তার। নিহত আরিফ সিকদার ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সহ-ক্রীড়া সম্পাদক।এ ঘটনায় নিহত আরিফের বোন রিমা আক্তার বাদী হয়ে সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ তদন্ত করছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন– মো. ইয়াছিন (১৯), মো. আসিফ হোসেন (২১), মো. অনিক (১৯), মো. মিরাজ (১৯), মো. আশিক (১৯), মো. ইফতি (২৪), জাফর ইমাম তরফদার মন্টু (৪০), রতন শেখ (৪৫) ও আলিফ (১৯)।গত ২৭ মে সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ চারজনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী। পরদিন হাতিরঝিল থানার অস্ত্র আইনের মামলায় সুব্রত বাইনের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে চাকরিচ্যুত মো. শরীফ উদ্দিনের চাকরি ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ফেরত দিতে হবে পাওনা সকল বেতন ও সুযোগ সুবিধাও। বুধবার (৯ জুলাই) হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সই করা এক প্রজ্ঞাপনে অপসারণ করা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন। কমিশনের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালে বেশকিছু বড় দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মো. শরীফ উদ্দিন। এরপরই একাধিক মহলের রোষানলে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে।সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি পরিবারসহ হত্যার হুমকি পান শরীফ। পরিবারসহ হত্যার হুমকি পাওয়ায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে সিসি টিভির ফুটেজসহ চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা ও আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, ব্যাংকটির সাবেক এমডিসহ ১৩ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন— সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, সার্ভ কনট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালক সারওয়াত সুলতানা মনামী, সার্ভ কনট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম, আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম সারোয়ার, সাবেক পরিচালক রাবেয়া জামালী, এ.আর. এম নাজমুস সাকিব, কামরুন নাহার আহমেদ, মো. জাফর ইকবাল, সাবেক উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. মঈনুদ্দিন, মো. নুরুল হাসনাত, বেক্সিমকো গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার কৌশিক কান্তি পন্ডিত ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।এদিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।ওই আবেদনে বলা হয়েছে, আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান সালমান ফজলুর রহমান এবং আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, প্রিন্সিপাল শাখার গ্রাহক সার্ভ কনট্রাকশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কথিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ঋণের নামে আইএফআইসি ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। এজাহারনামীয় এই আসামিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। এতে তদন্ত কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে। এজন্য মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।ভোরের আকাশ/জাআ
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় সংবিধানের যে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের বিধান করা হয়েছিল তা বাতিল করে দেওয়া হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর স্বাক্ষরের পর ১৩৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ এ রায় প্রকাশ করা হয়।সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে করা দুই রিট মামলার রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত এ রায় ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে সংবিধানে গণভোটের বিধান ফিরিয়ে আনেন আদালত।আদালত তার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে আমাদের সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ। এই গণতন্ত্র বিকশিত হয় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু দলীয় সরকারের অধীনে বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে তাতে জনগণের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন হয়নি।দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের আত্মবিশ্বাস জনগণের মধ্যে জন্ম নেয়নি।যার ফলশ্রুতিতে হয়েছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান বলেও উল্লেখ করেন আদালত।রায়ে হাই কোর্ট আরো বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এবং এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশে পরিণত হয়েছে।২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ৫৪টি ক্ষেত্রে সংযোজন, পরিমার্জন ও প্রতিস্থাপন আনা হয়েছিল। এর মধ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে রায়ে।পাশাপাশি পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ক, ৭খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।পঞ্চদশ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ১৮ আগস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট গত ১৯ আগস্ট রুল দেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় দেন হাই কোর্ট।ভোরের আকাশ/আজাসা