সংগৃহীত ছবি
রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় তারেক রহমান রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া হত্যা মামলায় টিটন গাজী নামের এক আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১২ জুলাই) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুই দিনের রিমান্ড শেষে রবিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মনির।
টিটন গাজীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন আরেক তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন। ঢাকার মহানগর হাকিম হাসিব উল্লাহ গিয়াস তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত দুজনকে পুলিশ এবং বাকি দুজনকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গ্রেফতার করে। এর মধ্যে মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনের যথাক্রমে ৫ দিন ও ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় তারেক রহমান রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া হত্যা মামলায় টিটন গাজী নামের এক আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।শনিবার (১২ জুলাই) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুই দিনের রিমান্ড শেষে রবিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মো. মনির। টিটন গাজীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন আরেক তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন। ঢাকার মহানগর হাকিম হাসিব উল্লাহ গিয়াস তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। টিটন গাজীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।এর আগে শুক্রবার অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত দুজনকে পুলিশ এবং বাকি দুজনকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গ্রেফতার করে। এর মধ্যে মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনের যথাক্রমে ৫ দিন ও ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরা ও ট্রাইব্যুনালকে সার্বিক সহায়তার মাধ্যমে নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে কারাগারে অন্য বন্দিদের থেকে আলাদা রাখতে বলা হয়েছে।শনিবার (১২ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারে নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিষয়ে লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছেন।আদেশে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল মনে করে অভিযুক্ত চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করা যেতে পারে এবং সে অনুযায়ী তাকে ক্ষমা করা হলো এই শর্তে যে, তিনি জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিস্তারিত ও সত্য বিষয় তুলে ধরবেন এবং যেসব অভিযোগ এসেছে এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে সবার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেবেন, যতটুকু তিনি জানেন। এসব শর্ত এবং ট্রাইব্যুনাল যখন চাইবে তখন হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদানের শর্ত মেনে তিনি (চৌধুরী মামুন) এ ক্ষমা গ্রহণ করেছেন।আদেশে আরও বলা হয়, যেহেতু অভিযুক্ত চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন, এখন তার নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে কারাগারে অন্যান্য বন্দিদের থেকে আলাদা রাখা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেল কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হলো।সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুনের আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, রাজসাক্ষী হিসেবে জুলাই গণহত্যার সব বিষয় ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরে বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করলে, তবেই এ ক্ষমার আদেশ বাস্তবায়ন হবে। এর আগে, গত ১০ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ‘অন্বেষণ এডু’র দুই প্রতিষ্ঠাতা এবং দু'জন শিক্ষককে অশ্লীল ভিডিও অনলাইনে সম্প্রচারের অভিযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা জজ কোর্টের একাধিক আইনজীবীর পক্ষ থেকে এই নোটিশ পাঠানো হয়।শনিবার (১২ জুলাই) এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সাখাওয়াত হোসাইনসহ পাঁচজন আইনজীবী।নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি অন্বেষণ এডু’র ইউটিউব চ্যানেলে একটি ‘লাইভ ক্লাস’ চলাকালে দুই নারী-পুরুষ শিক্ষক একে অপরকে চুম্বন করেন। দৃশ্যটি সরাসরি সম্প্রচার হয়। ভিডিওটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়া অভিভাবক-শিক্ষক মহলে বিষয়টি নৈতিকতা ও শিক্ষার পরিবেশের অবক্ষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।ঘটনাটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর বিভিন্ন ধারার লঙ্ঘন বলে গণ্য করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোনো অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য যাহা চলচ্চিত্র, ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনো উপায়ে ধারণ করা ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যাহার কোনো শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই।এছাড়া এমন কন্টেন্ট প্রচার, প্রদর্শন ও বিতরণে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। নোটিশে অন্বেষণ এডু’র দুই সহ-সত্ত্বাধিকারী আকাশ, অর্ক, অভিযুক্ত শিক্ষক সামিরা ও অজ্ঞাতনামা এক পুরুষ শিক্ষকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চারজনকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে অনলাইনে সরাসরি লাইভে এসে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য নোটিশে বলা হয়। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত অনলাইন প্রস্তুতি ক্লাসের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।ভিডিওতে দেখা যায়, অন্বেষণ কোচিং সেন্টারের লাইভ ক্লাস চলাকালে শিক্ষক-শিক্ষিকার অনুপযুক্ত ঘনিষ্ঠতা প্রকাশ্যে ধরা পড়ে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধস্তন আদালতের ১৮ জন বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (প্রশাসন-১) মো. আজিজুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের ওই সদস্যরা চাকরির ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে জনস্বার্থে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারার আওতায় তাদের অবসর প্রদান করা হয়েছে।বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো বিচারকদের নাম ও পদবি নিচে দেওয়া হলো:বিকাশ কুমার সাহা — জেলা ও দায়রা জজ (মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত)শেখ মফিজুর রহমান — রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকমো. মাহবুবার রহমান সরকার — কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকশেখ গোলাম মাহবুব — কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকমো. মজিবুর রহমান — গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকমো. এহসানুল হক — ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকমো. জুয়েল রানা — খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকমো. মনির কামাল — সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারকসহিদুল ইসলাম — পটুয়াখালীর বিশেষ জজআল মাহমুদ ফায়জুল কবীর — দিনাজপুর বিশেষ জজমো. নাজিমুদ্দৌলা — টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজএকেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী — ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকফজলে এলাহী ভূঁইয়া — হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারকআবু জাফর মো. কামরুজ্জামান — জেলা ও দায়রা জজ (সংযুক্ত কর্মকর্তা)মো. রুস্তম আলী — বরিশাল প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্যমো. নুরুল ইসলাম — সংযুক্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ)একেএম এনামুল করিম — পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজমোহাম্মদ হোসেন — সংযুক্ত কর্মকর্তা, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজআইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল, যা যাচাই-বাছাইয়ের পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।ভোরের আকাশ//হ.র