× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রেফারেল পদ্ধতি না থাকার বিড়ম্বনা

কোথায় চিকিৎসা নেবেন ঠিক করেন রোগী নিজেই!

নিখিল মানখিন

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ০৭:৫৫ এএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিউরোরোগী মো. সেলিমকে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাকে পাঠিয়ে দিলেন রাজধানীতে। নগরীতে এসে হাসপাতাল নির্বাচন নিয়ে বিপাকে পড়লেন মো. সেলিমের পরিবার। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাকে পাঠিয়ে দিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে। আর এটাই ছিল রোগীটির জন্য প্রযোজ্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। 

কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিউরো হাসপাতাল পর্যন্ত পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই লিখিতভাবে রেফারেল পদ্ধতি অনুসরণ করেনি।রোগীটির হাতে ছিল না রেফারেল কাগজ।ফলে বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করার পেছনে চলে গেছে রোগীর জীবন বাঁচানোর সময় ও অর্থ। এভাবে রেফারেল পদ্ধতি কার্যকর না থাকায় মো. সেলিমের মতো প্রতিদিন শত শত রোগী সঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসাসেবা গ্রহণের কার্যকর নির্দেশনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক সময় সঠিক সময়ে প্রত্যাশিত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে অনেক রোগীর অকালে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের স্বাক্ষরিত ছাড়পত্র নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দৌড়াদৌড়ি করছেন মো. ইকবাল আহমেদ। রোগী ছাড়পত্রের ওপর ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে’ এই কথা লিখে স্বাক্ষর করেছেন এক চিকিৎসক। মো. ইকবাল আহমেদ ভোরের আকাশকে বলেন, ছাড়পত্রের ওপর টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালের সুপারিশ (রেফারেল) কোনো গুরুত্বই দিচ্ছেন না ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। আমরা এটাকে ‘রেফারেল’ মনে করেছিলাম। আমাদের জন্য যা দেওয়া হয়েছে তা রেফারেল পদ্ধতি নয়। এটা আগে থেকে জানতে পারলে আমরা রোগীকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারতাম বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মো. ইকবাল।

এভাবে রেফারেল পদ্ধতি কার্যকর না থাকায় রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরে গড়ে উঠেনি পূর্ণাঙ্গ রোগী রেফারেল পদ্ধতি। বিভিন্ন সময়ে এবিষয়ে গৃহিত  নানা উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখেনি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যকর রেফারেল পদ্ধতি রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করে।এই পদ্ধতি না থাকায় রোগী সরাসরি টারশিয়ারি হাসপাতাল এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না।সঠিক চিকিৎসাসেবা গ্রহণের কার্যকর নির্দেশনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

প্রাথমিক স্তর থেকে বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবার স্তর পর্যন্ত যেতে নানা অজানা পথ পাড়ি দিতে গিয়ে নানাভাবে বিভ্রান্ত ও হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীদের। এভাবে রোগীর যেমন মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক অপচয় ঘটছে, তেমনি অনেক সময় সঠিক সময়ে প্রত্যাশিত চিকিৎসাসেবা না পেয়ে অনেক রোগী অকালে মারা যায় বলে জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।  

চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে গিয়ে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হওয়ার পাশাপাশি ভুল চিকিৎসাসেবা গ্রহণের ঘটনা আজ স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে রেফারেল পদ্ধতি না থাকায় সরাসরি সঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারছেন না রোগীরা।

রোগের প্রাথমিক পরামর্শের জন্য রোগী কোথায় যাবেন, কোনো চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেবেন, কতটুকু অসুস্থ হলে কোনো পর্যায়ের হাসপাতাল কিংবা বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন- স্বাস্থ্য বিভাগের এ-সংক্রান্ত কোনো গাইডলাইনই নেই। এ অবস্থায় রোগী নিজের সিদ্ধান্তেই বড় হাসপাতাল ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী ভুল করে অন্য রোগের বিশেষজ্ঞের কাছে যান।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানান, বর্তমানে দেশে ওয়ার্ডভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন সাব সেন্টার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন টারশিয়ারি ও বিশেষায়িত হাসপাতাল চালু রয়েছে। কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসার জন্য সরাসরি ঢাকায় চলে আসছেন। অথচ প্রথমে তার কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার কথা। সেখানকার নির্দেশনা অনুযায়ী যাওয়ার কথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা, বিভাগ এবং সবশেষে টারশিয়ারি ও বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসার কথা।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই মাহবুব ভোরের আকাশকে বলেন, কার্যকর রেফারেল পদ্ধতি রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের স্বার্থ রক্ষা করে। এই পদ্ধতি না থাকায় রোগী সরাসরি টারশিয়ারি হাসপাতাল এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না। রেফারেল পদ্ধতি চালু না থাকায় সঠিক চিকিৎসাসেবা গ্রহণের কার্যকর নির্দেশনা  থেকে বঞ্চিত রোগীরা।

তিনি বলেন, রেফারেল সিস্টেম চালু না থাকায় যে রোগীর মেডিসিনের চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা, সে যাচ্ছে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে; গ্যাস্ট্রোলজির রোগী যাচ্ছে মেডিসিনের চিকিৎসকের কাছে। এতে রোগীর আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, সময় নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি হাসপাতাল ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারে অপ্রয়োজনীয় ভিড় জমছে। প্রকৃত রোগীর স্বাস্থ্যসেবাও বিলম্বিত হচ্ছে।

রেফারেল পদ্ধতি : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, রেফারেল পদ্ধতির অধীনে একজন রোগী প্রথমে নিকটবর্তী সরকারি বা বেসরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যাবেন। যদি প্রয়োজন হয়, সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র রোগীকে একটি হাসপাতালে পাঠাবে যেখানে আরও উন্নত চিকিৎসা আছে, জনবল ও যন্ত্রপাতি আছে।

আর বড় হাসপাতালগুলো ছোট হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পাঠানো রোগীদের চিকিৎসা দেবে। তবে গুরুতর রোগী হলেই চিকিৎসা দেবে, না হলে সেখানেই ফেরত পাঠাবে। সুষ্ঠুভাবে রোগী ব্যবস্থাপনা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফারেল পদ্ধতি ব্যবহার হয়। এই পদ্ধতি অনুযায়ী, শুধু যার দরকার, সেই রোগীকেই এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পৃথিবীর অনেক দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে। এসব দেশে চাইলেই কেউ যেকোনো হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন না।

যেভাবে হবে বাস্তবায়ন : ঢাকায় রেফারেল পদ্ধতি কীভাবে চালু হবে তার একটি ধারণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান। একটি বেসরকারি সংস্থা ঢাকায় জিপিভিত্তিক (জেনারেল ফিজিশিয়ান) চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। এই মডেলেই রেফারেল পদ্ধতি কাজ করবে। এ পদ্ধতিতে রোগীরা সেবা নিতে সরাসরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আগে থেকে সিরিয়াল নিতে পারবেন। 

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে জাতীয় পরিচয়পত্র, মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করাবেন। নিবন্ধনের পর একজন প্যারামেডিক রোগীকে প্রাথমিক পরীক্ষানিরীক্ষা করে সেসব তথ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটারে সংরক্ষণ করবেন। সেখান থেকে রোগীকে পাঠানো হবে চিকিৎসকের কাছে। তিনি রোগের ধরন অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র দেবেন। অথবা বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক দেখাতে হলে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করবেন।

সায়েদুর রহমান বলেন, রোগী প্রথমে যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাবেন সেই ‘পয়েন্ট অব রেফারেল’ তৈরি করতে হবে সবার আগে। এজন্য মেডিকেল কলেজ বা বড় হাসপাতালগুলোর আশপাশের কয়েকটি ওয়ার্ডের জন্য একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র করা হবে। প্রকল্পের আওতায় গড়ে তোলা প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চারজন চিকিৎসক থাকবেন। চিকিৎসকদের দুজন নারী, দুজন পুরুষ। তারা সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সেবা দেবেন।

সায়েদুর রহমান বলেন, এই ধরনের ক্লিনিকগুলোকে পুরো শহরে বিস্তৃত করার আগে রেফারেল পদ্ধতিটা চালু করা যাবে না। জিপি বেইজড রেফারেল সিস্টেম চালু করার জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে একটা বা দুইটা বড় হাসপাতালের চারপাশে ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় একটা নেটওয়ার্ক করার চিন্তা করছি। একটি প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনবল নেওয়া হবে। আমাদের সরকারি চিকিৎসক কম। ফলে ক্যাডার সার্ভিসে যারা আছেন, তাদের দিয়ে এই কার্যক্রম চালানো হবে না। আবার নতুন করে সরকারি চিকিৎসক নেওয়াও সময়সাপেক্ষ। এ কারণে আমরা আলাদা একটা জেনারেল প্র্যাকটিশনার সার্ভিস তৈরি করব।

সায়েদুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি চালুর সঙ্গে আর্থিক বিষয় জড়িত। সেটার মূল্যায়ন হচ্ছে। শুরুতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে রেফারেল পদ্ধতি চালু করা হবে।

৫৯ শতাংশ রোগী নিজেরাই চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেন : গবেষণা সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৯ শতাংশ রোগী নিজে থেকে চিকিৎসার জন্য এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে যান। রেফারেল পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা নেই ৫৮ শতাংশ রোগীর। গবেষণার জন্য ২০২২ সালে বাংলাদেশের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বেসরকারি ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮২২ জন রোগীর তথ্য নেওয়া হয়।

বাংলাদেশে রেফারেল পদ্ধতি কীভাবে কাজ করছে তা দেখতে ‘পেশেন্ট সেলফ-রেফারাল প্যাটার্নস ইন আ ডেভেলপিং কান্ট্রি : ক্যারেক্টারস্টিকস, প্রিভেলেন্স, অ্যান্ড প্রেডিক্টরস’ শিরোনামে গবেষণাটি করা হয়েছিল। ১৬ জন গবেষকের করা গবেষণা প্রবন্ধটি ২০২৪ সালের ২১ মে আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা স্প্রিঙ্গার নেচারের বিএমসি হেলথ সার্ভিসেস রিসার্চ সাময়িকীর অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়।

গবেষক দলের সদস্য ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌফিক জোয়ারদার বলেন, সারা পৃথিবীতেই রেফারেল পদ্ধতি খুব জরুরি। তা না হলে চিকিৎসার মান নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, সময়মতো চিকিৎসাসেবা পৌঁছানো যায় না। সাধারণ জ্বর সর্দিকাশি নিয়ে যদি কোনো রোগী এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে সরাসরি চলে যান তাহলে হল না।

এতে যেটা হয়, ওই সময় ওই চিকিৎসককে যার বেশি দরকার সেই রোগীকে তিনি দেখতে পারবেন না। ফলে যার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, সেই রোগী সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো। ‘রেফারেল’ চালু করতে হলে প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়াতে হবে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি রোগী যদি গিয়ে সেবা না পায়, আস্থা না পায় তাহলে সে জেলা পর্যায়ে বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাবে। রেফারেল চালু করা যেমন জরুরি তেমনি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত করাও জরুরি।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
 বাজেটে সরকারের ব্যাংক ঋণের লক্ষ্য বাড়ছে

বাজেটে সরকারের ব্যাংক ঋণের লক্ষ্য বাড়ছে

সংশ্লিষ্ট

কোথায় চিকিৎসা নেবেন ঠিক করেন রোগী নিজেই!

কোথায় চিকিৎসা নেবেন ঠিক করেন রোগী নিজেই!

৫০০ শয্যার হাসপাতাল অনুমোদন শিক্ষার্থীদের আনন্দ র‍্যালি

৫০০ শয্যার হাসপাতাল অনুমোদন শিক্ষার্থীদের আনন্দ র‍্যালি

দেশে প্রথম যাত্রা শুরু হলো স্টুডেন্টস হেলথ কার্ড

দেশে প্রথম যাত্রা শুরু হলো স্টুডেন্টস হেলথ কার্ড

সারাদেশে টিকা কার্ডের সংকট

সারাদেশে টিকা কার্ডের সংকট